সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..
বাংলাদেশের প্রায় ৬৫ লাখ শ্রমিক প্রবাসি। যারা বিশ্বের বিভিন্ন পরদেশে পরবাসী হয়ে জীবন-যাপন করতেছেন। অনেকেই দেশের নাম বিদেশের মাটিতে উজ্জ্বল করেছেন আপন কর্মের মাঝে। আবার বেশিরভাগ শ্রমিক অদক্ষ হওয়াতে দেশের নাম কলংকিতও করতেছেন তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
তাছাড়া আামাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনেকটা দায়ি এ ক্ষেত্রে। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সববিরোধী দলের সন্ত্রাসীরা মামলার হাত থেকে বাঁচতে একটা ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে ঢুকে পড়ে। আর ঐ লোকটা কোন কাজ জানে না বলে বিদেশে এসেও নানা প্রতারণা করতে থাকে। এতে করে বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকদের কাছে বাঙালি নীচু জাতি ধারণার জন্ম হয়। এই দৃশ্যটা বড়ই বেদনা দায়ক।
অপরদিকে আমাদের জনশক্তি দপ্তর কোন লোক কাজ জানে আর কে জানেনা তার তোয়াক্কা না করে সেই আদিকাল থেকেই মিথ্যে সনদ দিয়ে আসছে তাই পাশ্ববর্তী ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আমরা। ভারতের লোকেরা যেখানে উচ্চপদস্থ হয় আমাদের লোকেরা সেখানে একজন সাধারণ শ্রমিকের কাজ করতে হয়। কিন্তু গবেষণায় জানা গেছে, বাঙালিদের মেধাশক্তি অনেক। তাহলে দেখা যাচ্ছে কারিগরী শিক্ষার অভাবে আমার এমন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু আর কতোদিন এমন যাবে? আর কতোকাল? একজন প্রবাসি কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রবাসে আসলে দেশ যেমন দ্বিগুণ পরিমাণ বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জন করতো তেমনি দেশের নাম বিদেশের বুকে আরো উজ্জ্বল হতো।
দুবাই থেকে প্রকাশিত মাসিক মুকুল এ সম্পাদক কর্তৃক লিখিত এমন এক সমস্যার বর্ণণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একটি নিবন্ধ লিখা হলে এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পদক্ষেপ নিবেন জানিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন-জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতির খসড়ায় প্রবাসে শ্রমিক পাঠাতে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। এবং ইতোমধ্যে সরকার দেশে ২৫ টি কারিগরী প্রতিষ্ঠান শুরু করেছে। শিক্ষামন্ত্রীর এই কথা থেকে আমরা আশায় বুক বাঁধি। সরকারকে সাধুবাধ জানাই ৬৫ লাখ প্রবাসি বাঙালির পক্ষ থেকে।
কিন্তু দালালচক্রের হাত থেকে অদক্ষ শ্রমিককে বাঁচানোর দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলকে নিতে হবে। একজন প্রবাসি যাতে একেকজন দূত হয় বিশ্বের নানা বর্ণের-নানা রঙের মানুষের দেশে। আমাদের সংস্কৃতি ও উজ্জ্বল ইতিহাস যেন সম্মানের সাথে স্থান পায় সবদেশে। এটা আমাদের নিত্যদিনের কামনা।
শুধু কাজের দক্ষতা নয় সেই সাথে চাই ভাষাগত জ্ঞান।
আপন ভুমি ছেড়ে পা বাড়ালেই একজন শ্রমিকের সবার আগে ভাষা বিনময করতে হয়্ তাই আমরা যদি নিজেদের অনুভূতি অন্যের কাছে প্রকাশ করতে না পারি ব্যবহারিক জ্ঞানও সেক্ষেত্রে অনেকটা অচল হয়ে যায়্। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ প্রবাসে শ্রমিক পাঠানোর আগে দক্ষ করে ভাষাগত জ্ঞানও তৈরী করে যাতে পাঠানো হয়। বিশেষকরে ইংরেজী ভাষায় দক্ষ একজন শ্রমিকের মান অনেক। তাই কারিগরী শিক্ষায় ভাষাশিক্ষাও জরুরী। একেকজন প্রবাসি শ্রমিক যেন একেকজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠে।
এই কামনা থাকলো।
লেখক : সম্পাদক, মাসিক মুকুল, দুবাই। সঁশঁষ.বফরঃড়ৎ@মসধরষ.পড়স
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।