জানি না
ডিমের খোসায় থাকা একধরনের পর্দা বায়ুমণ্ডল থেকে নির্গত হওয়া কার্বন আটকে দেবে। এভাবেই ডিমের খোসা বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ করতে পারবে বলে ভারতীয় গবেষকরা সম্প্রতি দাবি করেছেন। কলকাতা ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কার্বন ক্যাপচার অ্যান্ড সিকুইসস্ট্রেশন (সিসিএস) পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্বন-ডাই অক্সাইড ধরে রাখা যাবে। ডিমের খোসার নিচে থাকা পর্দাটি নিজের ওজনের চেয়ে সাতগুণ বেশি পরিমাণ কার্বন ধরে রাখতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ডিমের খোসায় তিনটি স্তর থাকে।
বাইরের আবরণে থাকে একটি কিউটিকল, তার ভেতরে মধ্যস্তর এবং ভেতরের স্তরটিতে থাকে একটি স্পঞ্জি ক্যালসিয়ামের স্তর। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের প্রোটিন ফাইবারে আটকে থাকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এই পর্দাটি ১০০ মাইক্রোমিটার পুরু। আর এটি ঠিক ডিমের খোসার নিচেই থাকে। দুর্বল কোনো এসিডযোগেই এ পর্দাটি আলাদা করা যায়।
গবেষকরা বলছেন, আলাদা করা পর্দাটিই কার্বন শোষণে ব্যবহার করা যেতে পারে। কলকাতা ইউনিভার্সিটির গবেষক বাসব চৌধুরী জানিয়েছেন, কেবল ভারতেই প্রতি বছর ১৬ লাখ টন ডিম উত্পন্ন হয়। সারা বিশ্বে ২০১৫ সাল নাগাদ বছরে ডিম উত্পাদন হবে ১ হাজার ১৫৪ বিলিয়ন। এই বিপুলসংখ্যক ডিম থেকে কার্বন শোষণের উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি বের করা সম্ভব হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। বাসব চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, আমাদের খাদ্য হিসেবে ডিমের ওপর হাত না দিয়ে কেবল ডিমের খোসা ব্যবহারেই পরিবেশবান্ধব কার্বন শোষণ পদ্ধতি কাজে লাগানো সম্ভব।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং সাময়িকীতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।