লিমা রহমানের তিন সন্তান। তিনজনের বয়সই দশের ঘরে। তাঁর বাসায় ১০ বছরের আরেকটি মেয়েশিশু আছে, তাঁর গৃহকর্মী। গায়ের রং ফরসা। নাম সোহাগী।
কিন্তু সোহাগী তার গৃহকর্ত্রীর কাছে থেকে কোনো আদর-সোহাগ পায়নি। লিমা রহমান একজন নারী, একজন মা। কিন্তু সোহাগীর জন্য লিমা রহমানের মনে কোনো রহম ছিল না। তিনি অত্যাচার করতে করতে সোহাগীর গায়ের রং-ই যেন পাল্টে ফেলেছেন। গৃহকর্তাও এ অত্যাচারে কোনো বাধা দেননি।
সোহাগীকে গতকাল রোববার রাজধানীর মগবাজারের ২৭/এ, দিলু রোডের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশের বিশেষ ব্যাটালিয়ন র্যা ব। আর নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী লিমা রহমান ও গৃহকর্তা মশিউর রহমানকে আটক করা হয়।
মেয়েটি এবং উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল তা এমন—‘ঘর মুছতে বালতি থেকে পানি গড়ায়, থালা-বাসন ধুতে দেরি হয়, পান থেকে চুন খসে যায়, প্রতিক্রিয়ায় সোহাগীর যেন চামড়া খসিয়ে ফেলতে চান গৃহকর্ত্রী। সোহাগীর গালে, গলায়, ঘাড়ে, হাতে, পায়ে অসংখ্য কাটাছেঁড়া, ছ্যাঁকা, শুকিয়ে যাওয়া রক্ত তা-ই তো বলছে। র্যা ব সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলেছে-নামিয়েছে কোলে করে।
হাঁটাচলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছে মেয়েটি।
এরূপ গৃহকর্তা ও গৃহকর্তীদের কি করা উচিৎ?
সুত্র: প্রথম আলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।