ঈদের পর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার পূর্ব ঘোষণা দিয়ে রোজার মাসে ইফতারি আয়োজনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতি ভালো এবং শান্তিতে কাটিয়ে দিয়েছে। মাঝখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে দুই দিনের হরতাল ছাড়া একমাস সব রাজনৈতিক দল, গ্রাম থেকে রাজধানী_ সর্বত্রই খুব খোশ মেজাজে এবং উৎসব পরিবেশে সবাই ইফতার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। একটি ইফতার মাহফিলেও আগামী দিনের রাজনীতির দুর্যোগ দেখার কোনো সম্ভাবনা বিন্দুমাত্র চিহ্ন ছিল না। বিরোধী দলের কোনো ইফতার পার্টিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি আদায়ের তেমন কোনো দুশ্চিন্তা বা উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হয়নি। তেমন উত্তাপ ছড়াতে পারেনি।
অন্যদিক দিয়ে সরকারি দলের চলন-বলনে কোথাও কোনো প্রকার উদ্বেগ দেখা যায়নি। যদিও বিভিন্ন টকশো বা মিডিয়ায় অনেক অরাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের কেউ কেউ এবং রাজনীতির পেছনের সারির অনেক বাঘা বাঘা নেতা ঈদের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন ঝক্কি-ঝামেলা আসছে বলে টেলিভিশনের পর্দায় ঝড় তোলার চেষ্টা করছেন। ঈদের বাজারে মানুষের চোখে-মুখে এর কোনো প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়নি। শিশু-কিশোররা ব্যস্ত থেকেছে ঈদের নতুন কাপড়-জুতা কেনায়। ছোট-বড় সবাই ব্যস্ত তাদের নতুন পোশাক, সাজ-সজ্জা নিয়ে।
উঠতি-মধ্য বয়সীরা ব্যস্ত ভারতীয় নতুন রঙিন পাঞ্জাবি কিনতে। আর ঢাকাবাসীর এক বৃহৎ অংশ ব্যস্ত নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আয়োজনে। সাধারণ মানুষের মনে আন্দোলন করার কোনো তাগাদা নেই। তাদের মন এবং মননে এখন নির্বাচনের হাওয়া। এ নির্বাচনের হাওয়া অাঁচ করতে পেরে মাঠ পর্যায়ের সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ছুটে যাচ্ছেন গ্রামে।
ঈদের পর তত্ত্বাবধায়ক বা অন্য কোনো সরকার ব্যবস্থার জন্য জনগণ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা কোনো অবস্থায়ই অনুভব করছে না। জনগণ যা নিয়ে চিন্তিত সেটি হলো জামায়াত। অস্তিত্বের প্রয়োজনে নেতাদের মুক্তির জন্য তারা মরণপণ লড়াই করতে বাধ্য হবে। সেই লড়াই সরকার কীভাবে মোকাবিলা করে, তার ওপর আগস্ট মাসের রাজনীতি অনেক বেশি নির্ভর করবে। এমনিতেই আগস্ট মাস আওয়ামী লীগের কাছে খুবই তাৎপর্য এবং বেদনাময়।
এই সময় একদিকে তারা যেমন থাকে শোকাচ্ছন্ন সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা অনেক বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি ও সন্তুষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা থাকে। তাছাড়া আগস্ট মাসটি বিএনপির কাছে স্পর্শকাতর। যার ফলে ওই সময় বিএনপির পক্ষেও জোরেশোরে কিছু করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর জামায়াতের জন্য আগস্ট মাস চরম বিপর্যয়ের মাস।
স্বাধীনতাবিরোধী হওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়-দায়িত্ব পরোক্ষভাবে তাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য একটি মহল সব সময় তৎপর। আগামী ১৩ এবং ১৪ আগস্ট জামায়াত হরতাল ডেকেছে। আমার মনে হয় বর্তমান সরকার, প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে হরতালে জামায়াতকে মাঠে নামার নূ্যনতম সুযোগও দেবে না।
সরকারের এ ধরনের কঠোর অবস্থান সামনে ১৫ আগস্ট হওয়ার কারণে জনগণের একটি মৌন সম্মতি পেয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বিএনপির পক্ষেও তেমন কোনো কঠিন পদক্ষেপ বা অর্থবহ কোনো সহযোগিতা জামায়াতকে করাও রাজনৈতিকভাবে কঠিন হবে।
সব কিছু মিলে আমার কাছে মনে হচ্ছে আগস্ট মাসটি মূলত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো এবারের পহেলা আগস্টে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যা এবং তৎশোক বিষয়টি সামনে না এনে গত সাড়ে চার বছরের সরকারের উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ঢাকা শহরব্যাপী যেভাবে বিলবোর্ড আক্রমণ চালিয়েছে এবং ঢাকা শহরকে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ছবি হিসেবে তুলে ধরেছে সেটি অবশ্যই রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ইতোমধ্যেই বিএনপি বিলবোর্ড রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে দিয়েছে। সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা এখানে, তাহলো তারা ঢাকা মহানগরীতে যেভাবে বিলবোর্ড আক্রমণ চালিয়েছে সে আক্রমণের শিকার ঢাকা মহানগরীর কোনো নাগরিকের দৃষ্টিগোচর না হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। যদিও এ বিলবোর্ড রাজনীতি সাম্প্রতিককালে কলকাতায় ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছিল এবং ভারতের অনেক রাজ্যে আইটি উন্নয়নের সুবাধে মায়াবতী থেকে শুরু করে গুজরাটের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির আগামী দিনের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিলবোর্ড প্রচারের খবর অনেক সচেতন মহলের কাছেই জ্ঞাত।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সরকার অত্যন্ত সফল ও চমকপ্রদ এবং দ্রুতগতিতে যেভাবে বিলবোর্ড অপারেশন সফল করেছে, তাতে আওয়ামী লীগের কর্মদক্ষতা যে বৃদ্ধি পেয়েছে কোনো সচেতন ব্যক্তি তা অস্বীকার করতে পারবে না। গত পাঁচ বছর দেশে ছোট-বড় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে ছোটখাটো এবং বড় বড় বিলবোর্ডের মাধ্যমে আত্দপ্রচারের একটি প্রচলন দেখা গেছে। কিন্তু সরকারের উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানোর এমন মহাযজ্ঞ কারোর কল্পনায়ও ছিল না। মানুষের অগোচরে এবং সবাইকে বিস্মিত করে যে ত্বরিতগতি এবং চমকপ্রদভাবে বিলবোর্ড রাজনীতি শুরু হয়েছে তা দেশের রাজনীতিতে অবশ্যই নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই বিলবোর্ড রাজনীতি সবচেয়ে বড় সফলতা হলো ঢাকার নাগরিকদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
এই বিলবোর্ড নিয়ে অবশ্যই আগামী কিছু দিন মাঠ-ঘাট-অফিস-আদালত-বাড়ি-গাড়ি এবং টেলিভিশনের টকশো মেতে থাকবে। এই নতুন মাতামাতিতে অন্তত কিছু দিন আন্দোলন পিছিয়ে পড়বে। আমরা সব সময় দেখে আসছি আগস্ট মাসজুড়ে আওয়ামী লীগ তথা তাদের সরকার দেশব্যাপী একটি দুঃখের অবয়ব সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু এবার লক্ষণীয়, সরকার জাতির দৃষ্টি বঙ্গবন্ধু হত্যা ও শোক পালন থেকে সরে উন্নয়ন ও সরকারের ধারাবাহিকতা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অবয়ব ও মানসিকতা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে ব্যস্ত থেকেছে। চমকপ্রদভাবে সরকার ও আওয়ামী লীগ যেভাবে বিলবোর্ড রাজনীতি ছড়িয়ে দিয়েছে এর বিপরীতে বিএনপি তথা অন্য যে কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবস্থান সৃষ্টি করা অন্তত আগামী এক বছরের মধ্যে কঠিন হবে।
সরকারের প্রচারণার বিলবোর্ডের পাশাপাশি নেতিবাচক কোনো বিলবোর্ড আগামী এক বছরের মধ্যে তৈরি করার ক্ষমতা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব হবে না। বিলবোর্ড রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ দৃশ্যত আগামী এক বছর দাপটের সঙ্গে একক আধিপত্য রাখতে সম্ভব হবে। প্রতিদিন এই বিলবোর্ড দেখে জনগণের মধ্যে অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি হবে। এটিই প্রচারণার সবচেয়ে বড় সুবিধা। বিলবোর্ড প্রচারণার বিশ্বাস এবং গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই অনেক বড় বড় বহুজাতিক দেশি ও বিদেশি মেগা কোম্পানি তাদের পণ্যের একচেটিয়া বাজারের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচারণা চালায়।
বিলবোর্ড দেখে মানুষ যেমন ইউনিলিভারের পণ্যাদি বা গ্রামীণ বা রবির মোবাইল প্যাকেজ অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য যদি বাজারমাত করতে পারে তাহলে আওয়ামী লীগ সরকারের বিলবোর্ডে প্রচারিত উন্নয়নের পণ্য কেন বিক্রি হবে না। খুবই সরল সমীকরণ। বিলবোর্ড রাজনীতির মানসিকতা দেখে বোঝা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত করাতে বদ্ধপরিকর। সে নির্বাচনে তার জয় নিশ্চিত করার সব রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতেও সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন, সরকারের বিরোধী শক্তি সেই নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে কি সেভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে? আমার তো মনে হয় সরকার খুবই পরিকল্পিত এবং সুচিন্তিতভাবে বিএনপিকে আন্দোলনে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে।
সে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যর্থ করে দিয়ে বিএনপিকে অত্যন্ত অপ্রস্তুত অবস্থায় নির্বাচনে আসতে বাধ্য করবে। যেমন গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার একদম শেষ পর্যায়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করেছিল। এখানে আমি বিনয়ের সঙ্গে মনে করিয়ে দিতে চাই, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ বেগম খালেদা জিয়াকে রাত ১২টার মধ্যে নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই চূড়ান্ত সীমার আধা ঘণ্টা দেরি করে একটা ৩ লাইনের বিবৃতি দিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, 'তবে সে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হতে হবে।
' অথচ আওয়ামী লীগ তার একমাস আগেই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং সেনাবাহিনীর সুপারিশে প্রায় ১০০ নতুন প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সহযোগিতায় নির্বাচনে খুব সহজ জয় পেয়েছে। এবারও বিএনপি একই ফাঁদে পা দিতে যাচ্ছে। বিএনপির ধারণা আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করতে পারবে। তাদের এ ধারণা বাস্তবতার চেয়ে অনেক দূরে। প্রকৃত বাস্তবতা হলো দেশি ও আন্তর্জাতিক একটি চক্র অত্যন্ত সুকৌশলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি সংঘাত ও অচলাবস্থার সৃষ্টি করে ইজিপ্ট স্টাইলে আবারও একটি সেনা সমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠা করে অন্তত আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন সরকার কায়েম করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
কিন্তু এবার সমস্যাটি হলো ২০০৬ সালের বিএনপির পক্ষে কোনো বিদেশি শক্তি ছিল না। এবার খুবই লক্ষণীয়, সরকারের পেছনে শক্ত ভ্যানগার্ডের মতো দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান বিশ্বের নতুন পরাশক্তি ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আপনজন বন্ধুরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের ভূরাজনীতির স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যাবে না। নিকটতম অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে ভারতের পরামর্শ এবং দাবি সব সময়ই মার্কিনিদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণীয়।
২০০৭ সালের সিডরে ব্যাপক ক্ষতির সময় প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমেরিকার মেরিনের নেতৃত্বে ত্রাণবাহিনী পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছিল। সেটি নিশ্চয়ই আমরা ভুলে যাইনি। সেদিন মার্কিন ত্রাণবাহিনী চলে যাওয়ার কারণ বা যুক্তি ছিল প্রণব মুখার্জির একটি ঘোষণা যে, ভারত সরকার বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ টন চাল, ১০ হাজার বাড়ি এবং ত্রাণ তৎপরতায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর পর্যাপ্ত হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। সেই পাঁচ লাখ টন চাল, ১০ হাজার বাড়ি আর কতগুলো হেলিকপ্টার এসেছিল তার পরিসংখ্যান এখনো সরকার দিতে পারেনি। অতএব, যার মাথায় ঘিলু আছে তার চাণক্য রাজনীতির খেলা বুঝতে দেরি হওয়ার কথা নয়।
ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারও বলে দিয়েছে তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে বিশ্বাস করে না। জামায়াত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছে। কাজেই হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতাও আগামী সময়ের জন্য ঝুলে থাকছে। জামায়াতের পক্ষে সর্বত্র আন্দোলন করার সুযোগও সীমিত হয়ে আসছে। আগামী কোনো একসময় জামায়াতের নতুন প্রজন্ম '৭১-এর দায়দায়িত্ব পুরনো নেতাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে জাতির সামনে নতুন অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসার সম্ভাবনাকে আমি উড়িয়ে দিতে পারছি না।
সে ধরনের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ জনমনে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেই সচেতন মানুষের বিশ্বাস। আগামী তিন মাসের রাজনীতি দেশে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসবে, যা সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং ইঙ্গিত ঢাকার আগ্রাসী বিলবোর্ড এবং তত্ত্বাবধায়ক নির্দলীয় সরকারের দাবির আন্দোলন বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট নিদর্শন।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।