মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের আদেশের অনুলিপি আমাদের হাতে এসেছে। সে অনুযায়ী তাকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ”
চার দলীয় জোট সরকারের সময়ের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলকে এর পরপরই পুরান ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী আদেশ দেবে।
শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে গত ৫ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে অধিকার।
সরকারের পক্ষ থেকে অধিকারের কাছে ওই তথ্যের সপক্ষে প্রমাণ চাইলে তারা নিহতদের নামের তালিকা বা পরিচয় জানাতে অস্বীকার করে।
এই প্রেক্ষাপটে গত শনিবার রাতে ডানপন্থীদের সমর্থনপুষ্ট এই মানবাধিকার সংগঠনটির সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন অধিকারের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ল্যাপটপ ও তিনটি কম্পিউটারসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
বিকৃত তথ্য প্রচার এবং রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে রোববার আদিলকে আদালতে হাজির করা হলে হাকিম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার রিমান্ড স্থগিত করে কারাফটকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।
তাকে কারাগারে পাঠাতে বলার পাশাপাশি পুনরায় হেফাজতে না নেয়ার বিষয়েও আদেশ হয়েছে হাই কোর্টে।
রোববার রিমান্ডে পাওয়ার পর সোমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা।
এর ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “সব নিয়মকানুন মেনেই আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, নিহত ৬১ জনের তালিকা এখন তার কাছে নেই। তবে জব্দ করা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ওই তালিকা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
”
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করার নিয়ম রয়েছে। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী আদালতে অভিযোগ দাখিল করতে হয়।
এই আইনে গ্রেপ্তারের জন্য কোনো পরোয়ানা লাগে না উল্লেখ করে মনিরুল বলেন, “অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে এ আইনে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখেন তদন্ত কর্মকর্তা। ”
গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই সময় পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আদিলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা তার থানায় নথিভুক্ত হয়নি।
বিদেশি কয়েকটি সংস্থা এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আদিলের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তার মুক্তি দাবি করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার একটি প্রেসনোট দেয়।
এতে বলা হয়, আদিলের নির্দেশনায় অধিকারের প্রতিবেদনে ৬১ জন নিহত হওয়ার যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও কাল্পনিক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।