আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদের আগে আর হচ্ছে না স্থানীয় নির্বাচন

আগামী দশম সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের আর কোনো নির্বাচন করতে চাচ্ছে না সরকার। সম্প্রতি পাঁচ সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভরাডুবির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি সূত্র জানায়, পাঁচ সিটি নির্বাচনের পর পরই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ ৪০ উপজেলার উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিল ইসি। কিন্তু সরকারের গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় নির্বাচন করা থেকে পিছু হটে তারা। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণেই তফসিল ঘোষণার পরেও সাত পৌরসভার নির্বাচনও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসি।

অন্যদিকে আরও দুটি পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ হওয়ার পথে। ইসির নির্বাচন শাখা জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আর কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চাচ্ছে না সরকার। গতকালও তিন পৌরসভা- বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, রাজশাহীর নওহাটা ও গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন স্থগিতের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- পৌরসভাগুলোয় সীমানা সম্প্রসারণের কার্যক্রম বিবেচনায় থাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুরোধেই নির্বাচন স্থগিত করা হলো। এর আগে মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, শরীয়তপুর ও ফুলবাড়িয়া পৌর নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পৌরসভা নির্বাচনের মতোই ৪০টি উপজেলার উপনির্বাচন হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ নির্বাচনের বিষয়ে ইসিকে নড়াচড়া করতে নিষেধ করেছে। একই সঙ্গে উপজেলা সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনের বিষয়েও ইসিকে চেপে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে নতুন পাঁচটি উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের গোঁয়ার্তুমিতে তিনটির নির্বাচনের সাধারণ সময় পেরিয়ে গেছে। এ তিন উপজেলায় নির্বাচন নির্ভর করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওপর।

এসব স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কেই সবচেয়ে বড় বাধা ভাবছে ইসি। এ মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতায় অনেক নির্বাচন আটকে আছে বলে দাবি করছে ইসি। জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার আর কোনো স্থানীয় নির্বাচনে যেতে রাজি নয়। পাঁচ সিটির নির্বাচনে ভয়াবহ পরাজয়ই সরকারের এ অনীহার কারণ। একইভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতায় কারণেই ঢাকা সিটি করপোরেশন, উপজেলা সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা উপনির্বাচন ও নতুন পাঁচ উপজেলায় নির্বাচন করতে পারছে না ইসি।

নির্বাচন কমিশন বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঠেকাতে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করছে মন্ত্রণালয়টি। তাদের অসহযোগিতার কারণেই ইসি ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচন করতে পারছে না। ইসি সূত্র জানায়, ডিসিসি নির্বাচনে এখন স্থানীয় সরকার নতুন করে জটিলতা তৈরি করছে। এগুলোর মধ্যে ডিসিসি উত্তরের সঙ্গে নতুন কিছু এলাকা যোগ করা হচ্ছে। এতে নির্বাচন বিঘি্নত হবে।

নতুন এলাকার সীমানা নির্ধারণ না করে নির্বাচন করা যাবে না। আবার ডিসিসি দক্ষিণের সুলতানগঞ্জ জটিলতারও দৃশ্যমান সমাধান করেনি মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের ঢিলেমিতে বিরক্ত ইসি। কেবল ডিসিসি নির্বাচনই নয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইসিকে নির্বাচনের কাজেও সহযোগিতা করছেন না। অনেক দিন আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সীমানা নির্ধারণ করে দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইসি।

কিন্তু মাসের পর মাস চলে যাওয়ার পরও এতে সাড়া দেয়নি মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ৪০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যানের পদ খালি হয়ে আছে কারও পদত্যাগ কিংবা প্রয়াণের কারণে। কিন্তু সে ব্যাপারেও সহযোগিতা করছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর বাইরে যোগ হয়েছে নবগঠিত পাঁচটি উপজেলা। এগুলোর নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে ইসি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.