কবঠ
সাউথ এশিয়ায় বাংলাদেশের রিজির্ভ নাকি দ্বিতীয় অবস্থানে অবস্থান করছে। এই বির্জাভের উপর ভিত্তি করেই অর্থনীতির তেজভাব ও নিস্তেজের আভাস মিলে। বর্তমান বাস্তবতায় এই রির্জাভের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৬.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বভাবতই ভরত এদিক দিয়ে এগিয়ে অর্থাৎ প্রথম। ভারতের সাথে আমাদের তুলনা না করাই ভাল।
ওদের দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ নয়। ওদের রাজনীতিকরা নীতি ও আর্দশের জন্য রাজনীতি করে আর আমরা করি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে। ভারতের কেউ কখনো কোন ভাবেই দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না। কিন্তু আমরা এর তোয়াক্কাও করি না, জিএসপি বাতিল করতে পরাশক্তির সাহায্য কামনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করি এবং ঐ প্রতিবেদনের সুত্র ধরে তারা ব্যাবস্থাও নেয়। আমরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনি।
আমাদের বেজি যেমন সাপের সাথে সংশার করে। রিজাভের এই বারবারন্ত অবস্থায় তিনি কি করে ভাল থাকবেন। তা নিয়ে কবে আবার বেজি কলম ধরবে তাই ভাবছি। এই বারবারন্তর রির্জাভের পেছনে আবার কোন কোন শুভঙ্করের ফাকির অস্তিত্ব তিনি খুজে পাবেন তাই বা এই মুহুর্তে কে বলতে পারে।
বেসরকারী মনবাধিকার সংস্থার পরিচালক আদিলুর রহমান খানকে পুলিশ ধরলেও রিমাইন্ডে নিতে পারেনি।
বিএনপির লম্বা হাত এযাত্রায় তাকে রক্ষা করতে পেরেছে। এই আদিলুর রহমান খান ছিলেন চারদলিও যোটের ডেপুটি এর্টনি জেনারেল। ক্ষমতা হাড়িয়ে অধীকার নিয়ে কাজের নামে অকাজ কুকাজ সবই তিনি বেশ বিশ্বস্ততার সাথে করে যাচ্ছিলেন। কপালে মানবাধীকারে টিকা বা শীল আর কার্যক্ষেত্রে সরকারের ছিদ্রা অন্যেষনই ছিল তার অধিকারের একমাত্র কাজ। তার কষ্টকল্পিত রির্পোটের ভিত্তিতেই বেগম জিয়া ওরফে বেজি যে একষাট্টি জন হেফাজতের কর্মি নিধনের দায় আওয়ামী সরকারের উপর চাপিয়ে ছিলেন তার পুরো কৃতিত্বটাই ছিল এই আদিলুর রহমান খানের ।
সরকার এগারো জন হেফাজত কর্মির মৃত্যুর কথা শিকার করেলেও চৌকস এই আদেলুর রহমান খান মাহামুদুর রহমানের যোগ্য ভাই হয়ে এগরোকে একষাট্টিতে রুপান্তরিত করন। সরকার বার বার বাকী পঞ্চাশ জনের সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে চেয়েও ব্যার্থ হয়ে অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।
এদিতে প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি আনু মোহাম্মদ এই গ্রেফতার নিয়ে সরকারের সৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ খুজে পেয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন মানুষ মাত্রই ভুল মানুষের ভুল হতেই পারে তাই বলে তাকে গ্রেফতার করে রিমাইন্ডে নেয়ার প্রয়োজন পড়ল। আনু মোহাম্মদকে সবিনয়ে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে আপনি ন্যায় না অন্যায়ের পক্ষে কথা বলছেন।
আইনতো সবার জন্যেই সমান তাহলে মুনতাসির মামুন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এর উপর বিএনপি আমলে খামাখাই যখন মিথ্যা মামলার ঝড় বয়ে গিয়ে ছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন। আদেলুল রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এটা কোন কল্পিত গল্প নয় তার প্রমান এখনো ওয়েবসাইটে বিদ্যমান। আপনাদের মতো জ্ঞানপাপি গুলির জন্য্ই আইন নিজের গতিতে স্বাধীন ভাবে চলতে পারছে না। আপনারা প্রভুভক্ত কুকুরের মতো লেজ নারতে নারতেই সব শেষ করে দিচ্ছেন। আপনারাই দেশের বেশী ভাল চাইতে গিয়ে আজকে দেশের এই হাল করে ছেরে দিয়েছেন।
বিশ্ববরেণ্য নবেল বিজয়ী আমর্ত সেন সেদিন অপকটে স্বীকার করে নিলেন ভারতের চাইতে বাংলাদেশের ক্রমউন্নতি ধারা আশানুরুপ না হলেও বাংলাদেশ এমন অনেক ক্ষেত্রে ভারতকে টপকে গিয়েছে যা স্বীকার না করে উপায় নেই। বাংলাদেশে নারী শিক্ষার হার, নারীর ক্ষমতায়ন, সেনেটারি ও পরিবার পরিকল্পনার মতো দুরহ কাজ গুলিতে বাংলাদেশ ভারতের চাইতে অনেক এগিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।