চেয়ারম্যান পদের জন্য উপযুক্ত কাউকে না পাওয়া পর্যন্ত খন্দকার মোজাম্মেল হকই গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকবেন। ৫ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দিলেও গতকাল পর্যন্ত তা গৃহীত হয়নি। ফলে আইনগতভাবে তিনিই এখন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, নতুন মুখের সন্ধান চলছে। যত দিন কাউকে না পাওয়া যায়, তত দিন তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন।
কত দিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বলেন, দাফতরিকভাবে তার পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। ফলে আইন অনুযায়ী তিনিই চেয়ারম্যান রয়েছেন এবং গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তা-ই থাকবে।
সূত্রমতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারের শেষ সময়ে এসে নতুন চেয়ারম্যান পাওয়া কঠিন হবে। এটি গৃহীত নাও হতে পারে বলে জানা গেছে।
কেননা এ মুহূর্তে নতুন চেয়ারম্যান খুঁজে পাওয়া হবে সরকারের জন্য একটা কঠিন কাজ। কয়েক দিন ধরে দু-এক জনের নামও এসেছে। তাদের মধ্যে সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন এমন দু-এক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেউই দায়িত্ব নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন অর্থমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন অর্থমন্ত্রী। খন্দকার মোজাম্মেল এবং নতুন চেয়ারম্যানের বিষয়টি এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। নতুন লোক পাওয়া গেলে একটি সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে। জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের এটি সূত্র জানিয়েছে, ৯ নারী পরিচালকের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। শুরু থেকেই পর্ষদের কারও সঙ্গেই মোজাম্মেলের মতের মিল ছিল না।
ফলে পরিচালকরা তাকে অসহযোগিতা করে আসছিলেন। এ জন্য চাপের মুখে তিনি ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে অর্থমন্ত্রীর বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সেখানে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংকে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতায় হতাশ হয়ে এর আগেও কয়েকবার পদত্যাগ করার কথা মৌখিকভাবে অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।