বুয়েট পড়ুয়া ইনু সাহেব কি মানবাধিকারের সংজ্ঞা জানেন না? তিনি বলেছেন, 'অধিকার' জামায়াত আর হেফাজতের মানবাধিকার রক্ষা করছে। জামায়াত-হেফাজতের কি মানবাধিকার নেই? তারা কি মানুষ না? শুধু জামায়াত বা হেফাজত নয়, একজন সিরিয়াল কিলার বা রেপিস্টেরও মানবাধিকার আছে। আর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি বা সংগঠনের কাজ হচ্ছে যে কোনো মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা। ভবিষ্যতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে আর তখন যদি জামায়াত তাণ্ডব চালায় সেই সময়ও এই আসিফ নজরুল-আদিলুর রহমানরা প্রতিবাদ করবে। আর এখন যারা বড় বড় প্রগতিশীল সেজে কথা বলছেন তখন তারা নপুংশকের মতো পালিয়ে যাবে।
চ্যালেঞ্জ করে রাখলাম। গত মঙ্গলবার চ্যানেল আইর টকশো 'গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র'-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় তিনি বলেন, এখন যাকে ইচ্ছা তাকে জামায়াত বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জামায়াত কি মানুষ না? হেফাজত-জামায়াত কোনো অন্যায় করলে অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তাই বলে তাদের মানবাধিকার নেই, সে কথা তো বলা যাবে না।
অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে আইনের এ শিক্ষক বলেন, আদিলুর রহমানের গ্রেফতার বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। অধিকার'র প্রতিবেদনে অতিরঞ্জন থাকতে পারে। কিন্তু এরপরে যখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা বলে দিল হাজার হাজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভিত্তিহীন, তাতেই কিন্তু হেজাফত নিয়ে সরকারের ইমেজ ক্রাইসিস অনেকাংশেই মৃদু হয়ে গিয়েছিল। এই গ্রেফতারের ঘটনার পর বিষয়টি আবার পৃথিবীজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আদিলুর রহমান শুভ্রর সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বিমত আছে এমন বহু ব্যক্তি ও সংগঠন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
টিআইবির সুলতানা কামাল, ইফতেখারুজ্জামান, জেড আই খান পান্নাসহ যারা দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে পরিচিত, তারাও নিন্দা জানিয়েছেন। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে রিমান্ড চাইল আর আদালত রিমান্ড দিয়ে দিল! এটা কী ধরনের বিচার ব্যবস্থা আমার মাথায় ধরে না। এতে বাংলাদেশের নিম্ন আদালতের স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে রিমান্ড দেওয়া যাবে না এমন বহু রায় উচ্চ আদালতে আছে। এ ছাড়া একজন কুখ্যাত খুনিও জামিন পায়।
আদিলুর রহমান বিশ্বে পরিচিত একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার জামিন হবে না! আসিফ নজরুল বলেন, অধিকার সম্পাদককে গ্রেফতার, তাদের অফিসের কম্পিউটার জব্দ করায় একটা খারাপ নজির স্থাপিত হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর আপনি আর জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। আপনি সংবিধানের অক্ষর মেনে তখন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু এটা কত বড় অনৈতিক ব্যাপার! আপনাকে জন্ম দিয়েছে যে পার্লামেন্ট সেটা শেষ।
জনগণের প্রতিনিধি না হয়ে আপনি যদি ক্ষমতা কন্টিনিউ করার কথা বলতে পারেন তাহলে সামরিক শাসক আর আপনার মধ্যে পার্থক্য কী? সামরিক শাসকও তো জনগণের প্রতিনিধি না। ভবিষ্যতে এর সবচেয়ে বড় ভিকটিমে পরিণত হবে আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।