আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দরের তৈলাক্ত বাশ বেয়ে উঠা এবং দেশের বর্তমান শেয়ারবাজার!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ চার দিনে ৫ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারাল ডিএসই ফের মন্দাক্রান্ত পুঁজিবাজার তিন সপ্তাহ ভালো কাটিয়ে ফের মন্দায় আক্রান্ত হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। আর এ মন্দা বজায় ছিল পুরো সপ্তাহজুড়ে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কারণে গতকাল সরকারি ছুটি থাকায় ফেলে আসা সপ্তাহটিতে কর্মদিবস ছিল চারটি। সব ক’টি কর্মদিবসেই সূচকের অবনতি দিয়ে লেনদেন শেষ করতে হয়েছে দুই পুঁজিবাজারকে। জানুয়ারির শেষ দিকে বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয় তাতে ছেদ পড়ে ফেলে আসা সপ্তাহটিতে।

রোববার থেকে বুধবার চার কর্মদিবসের প্রতিদিনই কিছু না কিছু সূচক হারায় বাজারগুলো। দীর্ঘ পতনের ধারায় আটকে পড়া বাজারে ক’দিন আগেও যে স্বস্তির ইঙ্গিত ছিল এ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের কাছে তা আবার হতাশায় রূপ নেয়। সূচক ও লেনদেনের অবনতি দিয়েই তো সপ্তাহ শুরু করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস পার করলে লেনদেন ও সূচক দুই দিক থেকেই অবনতি ঘটে বাজারের। লেনদেন কমে যায় ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের দুই হাজার ৩৩১ কোটি টাকার স্থলে এ সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেন দাঁড়ায় এক হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। তবে এ সপ্তাহে কর্মদিবস এক দিন কম থাকায় গড় লেনদেনে এগিয়ে থাকে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন ছিল ৪৬৬ কোটি টাকা, যা এ সপ্তাহে ৪৮২ কোটি টাকা দাঁড়ায়। এ লেনদেন আগের সপ্তাহের গড় লেনদেন অপেক্ষা ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। চার কর্মদিবসের মাত্র এক দিনই ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ায় ডিএসইর লেনদেন।

বিগত কয়েক সপ্তাহের বাজার আচরণের উন্নতির পেছনে নতুন মুদ্রানীতি বড় ভূমিকা রেখেছে বলে এত দিন বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেও পুরো সপ্তাহের বাজার আচরণ তাদের আবার হতাশায় ফেলে। কারণ এর আগের তিন সপ্তাহে বাজার এমন কোনো অস্বাভাবিক বাড়েনি যাতে পুরো সপ্তাহ বাজারে সংশোধন ঘটে। তিন সপ্তাহে ঢাকা বাজারে সূচকের ২৫০ পয়েন্ট উন্নতি ঘটলেও গত চার দিনেই আবার তার ১৪০ পয়েন্টের বেশি হারায় বাজারটি। রোববার চার হাজার ৩৯৬ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে বুধবার তা শেষ করে চার হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। একই সময়ে ডিএসই-৩০ সূচক কমে ৪৯ দশমিক ১১ পয়েন্ট।

এক হাজার ৫৫১ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করলেও শেষ করে এক হাজার ৫০২ পয়েন্টে। ব্রোড ইনডেক্স ডিএসইএক্স চার হাজার ৩০৪ পয়েন্ট থেকে রোববার লেনদেন শুরু করে বুধবার স্থির হয় চার হাজার ১৫৫ পয়েন্টে। এভাবে সপ্তাহ শেষে সূচকটির ১৪৯ পয়েন্ট অবনতি ঘটে। বাজার আচরণের নেতিবাচক প্রবণতা কেড়ে নেয় বাজার মূলধনের ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ চার দিনে ডিএসই হারায় বাজার মূলধনের পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

দুই লাখ ৪৭ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার বাজার মূলধন নিয়ে রোববার ডিএসই লেনদেন শুরু করে। বুধবার লেনদেন শেষে এ মূলধন দাঁড়ায় দুই লাখ ৪২ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। সূচক ও লেনদেনের সাথে সঙ্গতি রেখে এ সপ্তাহে কমেছে লেনদেনকৃত শেয়ারসংখ্যাও। এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯২ হাজার শেয়ার বেচাকেনা হয়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৮ কোটি ৬৩ লাখ ২৪ হাজার । সে হিসাবে এবারের লেনদেনকৃত শেয়ারসংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ কম।

কমেছে হাওলার সংখ্যাও। আগের সপ্তাহের পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৯ স্থলে গত সপ্তাহে ডিএসইতে হাওলা হয় মোট পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৪৪৯টি যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। সপ্তাহের লেনদেনে তালিকাভুক্ত ২৮৭টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫টির, ২১৫টি কোম্পানির দাম কমেছে। ১৫টি কোম্পানির দাম ছিল অপরিবর্তিত। এ ছাড়া লেনদেন হয়নি দুই কোম্পানির।

http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=123088 ************** তিন সপ্তাহে(১৫ দিনে) শেয়ারাবাজারে যে সূচক ২৫০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল চার দিনেই তা ১৪০ কমে গেছে। এই হাসিনার মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর এই সূচক ২৭০০-২৮০০ ছিল। এরপর কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই বেপরোয়া ভাবে লেনদেন করতে থাকে সালমান, ফারুক, লোটাস কামাল গং। ২০০৯ সালের নভেম্বরেই এটার সূচক ৪০০০ ছাড়িয়ে যায়। ফলে এ ভাবেই কৃত্রিম কারসাজিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে শেয়ারবাজারের সূচক।

২০১০ এর ডিসেম্বর পূর্ব পর্যন্ত এটা ৮৫০০ অতিক্রম করে ৯০০০ এর কাছাকাছি ছিল; Click This Link এরপর এটা হাসিনার প্রথম আমল ১৯৯৬এর চেয়েও ভয়াবহ ভাবে ধ্বস নেমে এখন কোনমতে ৪৫০০ এর নীচে আছে। এই ধ্বস ৫৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ; Trading on the Dhaka Stock Exchange index was halted after it fell by 660 points, or 9.25%, in less than an hour. It was the biggest one-day fall in its 55-year history. http://www.bbc.co.uk/news/business-12149340 এই দ্বিতীয় ধ্বসের আগে শুধু ১০ টাকার শেয়ার দুই সপ্তাহে ৫০০ টাকা নয় বরং ক্যারিবীয় অঞ্চলেও নাম সর্বস্ব ভূয়া কোম্পানীও আইপিও ভূক্ত হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিদের্শ ছাড়া এই ভাবে শেয়ারবাজারে লুটপাট হতে পারে না। আর রাঘব বোয়ালদের ১৯৯৬এর মতই টিকিটিও স্পর্শ করা হয়নি। ৩৩ লক্ষ মানুষ পুজি হারানোতে সহজে এই বাজার আর ৫০০০ এর উপর যেতে পারছে না।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে হাসিনার হাজার পয়েন্টের রেখে যাওয়া সূচক বিগত জোট সরকার ২১০০তে টেনে তুলে। কারণ মরহুম সাইফুর রহমান সহ বিএনপির জোট সরকার এখানে কোন প্রকার কারসাজি ও র্দূনীতি করেনি। আর ফখরুদ্দিনের আমলে ৫ বছরে এটা আরও ৬০০-৭০০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। তাই বাংলাদেশের বর্তমান শেয়ারবাজার সহ অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টর এক কদম আগালে দুই কদম পিছিয়ে পড়ে।

তাই বানরের তৈলাক্ত বাশ বেয়ে উঠার কাহিনী মনে পড়ে গেল হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ডিজিটাল দিন বদল না করতে পারলেও পুরো দেশের জনগণকে বলদ বানায়া ছাড়ছে!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.