আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি - তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে।
মাদারীপুর আসার পর থেকেই শুনতেছিলাম চরমুগরিয়ার বানরের কাহিনী। সময়ের অভাবে যাওয়া হচ্ছিল না। হঠাৎ সুযোগ এসে গেলো আমার দুভাই ( দুজনেই সামুর ব্লগার) ও ছেলের কল্যানে। মাদারীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কুমারনদীর পাশে ঝোপঝাড়ে, খোলা মাঠে, গাছের ডালেই এদের বাস।
চিড়িয়াখানার খাচাঁর ভেতর যারা বানর দেখে অভ্যস্ত উম্মুক্ত পরিবেশে শ'য়ে শ'য়ে বানর দেখা তাদের জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এই বানরদের নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি মুখরোচক কাহিনী প্রচলিত। যেমন বানরদের কিছু নাকি বিএনপি কিছু আওয়ামীলীগ। হায় খোদা! বানরদের মধ্যেও রাজনীতি। ভূমিকা দীর্ঘ না করি........আসুন এই বান্দরদের সাথে বানর দর্শন করে আসি.....
যাত্রা হলো শুরু (ব্যাটারীর গাড়ীতে)
কুমারনদীতে নৌকায় পাট বোঝাই....নদীর এপাশের বানরগুলো আওয়ামীলীগ এবং ওপারের গুলো বিএনপিপন্থী বানর হিসেবে পরিচিত (আল্লায় জানে বানররা তাদের এ পরিচিতি সম্পর্কে জানে কিনা?)
শুরুতেই সদাশয় সরকারের মহান উপদেশ বাণী.....
কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও তাদের দেখা নেই, কেউ বলে দুপুরে আসছি এজন্যে দেখা নাও মিলতে পারে; সন্ধ্যার দিকে নাকি দেখা পাওয়া যায়।
বানরের সংখ্যা জানতে চাইলে কেউ জানায় কয়েক শ, কেউ বলে কয়েক হাজার আবার কেউ বলে লাখের কাছাকাছি!!!
অবশেষে তাহাদের দর্শন পাইলাম.......এজন্যে পকেট থেকে গচ্ছা দিতে হয়েছে ত্রিশ টাকা দর্শনী বাবদ (বিস্কুট/পাউরুটির জন্য, হায়! বানরও ঘুষ ছাড়া দেখা দেয় না। )
খাবারের আশায়.....
খাবার ভক্ষনের পর পরিতৃপ্ত বানরবৃন্দ
বানরের সাথে বান্দর, এরা তিনজন ওরা তিনজন
বিশেষ নোট : বিশেষ কতিপয় ব্লগারকে মাদfরীপুর আসার আমন্ত্রণ জানানোর পরও না আসায় তাদের জিভে জল আনার জন্য এই ছবি পোস্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।