Speak no evil, hear no evil, see no evil. ভাই/ আপুরে,
১৭ বৎসর আগে এই দিনে বাঘ হইতে বিড়াল হইয়াছিলাম। আপনারা নিশ্চই আমার বিবাহের প্রথম রাতের কথা পড়িয়াছেন। না পড়িলে পড়ুন:
Click This Link
কাল রাত ১২ টা বাজার ১ মিনিট আগে টিভি রুম হইতে পা টিপিয়া নিজ রুমে আসিলাম। ভাবিলাম স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিবো। দেখিলাম আমার বউজান সারাদিন রোজা রাখিয়া ও সংসারের কাজে হয়রান হইয়া ঘুমাইয়া আছেন।
আমি আস্তে আস্তে বিছানায় উনার পাশে যাইয়া দেখিলাম চোখ মুদিয়া আছেন। কানে কানে ফিসফিসাইলাম "হ্যাপি এনিভার্সারি"!
ওমা! উনি দেখি আর এক কাঠি সরস!
চোখ মিট মিট করিয়া একটু বাঁকা হাসিয়া বলিলেন "বাঁচিয়া গেলা"!
আমি বলি "মানে কি? তুমি ঘুমাও নাই?"
উনি বলে "আমি ঘড়ি দেখিতেছিলাম। উইশ করিতে আর এক মিনিট লেট হইলেই মাইর খাইতা!"
আমি বলি "খাইছে। যাহা হউক, লেট যেহেতু করি নাই তাই মাইর দিয়ো না, অন্য কিছু দাও!!
ইহার পর স্ত্রী আমাকে হালকা নন-আদি রসাত্মক ভাবে কিছু আদর যত্ন করিলেন। কি করিলেন তাহা জাতি জানিতে চাইলেও বলা সম্ভব নহে!!
পুরা রাত আমাদের স্ম্রতি চারনে কাটিয়া গেলো!
ভাইরে, অনেক দিন গত হইয়াছে।
সেই পৌরুষ বা যোশ আর নাই। অনেক কিছু পাল্টাইয়াছে।
আগে উপহার দিতাম ফুল বা চকলেট, আর এখন দেই সংসারের জন্য টেবিল ক্লথ বা বিছানার চাদর!
আগে উনি আমাকে বকিতো দুস্টু, পাজী, নচ্ছার আর এখন ঝারি দেয় বুড়া/ হাবিলদার/ভোদর ইত্যাদি বলিয়া।
আগে দুইজনে আদর আদর খেলিতাম আর এখন খেলি বাজার বাজার (অর্থাৎ উনি আমাকে খালি বাজারে পাঠান!)
আগে একসাথে বুয়েট/ ঢাবির বাসে ক্লাশে যাইতাম (আমার বিবাহের সময় আমি বুয়েটে পড়িতাম আর উনি ঢাবিতে) আর মধুর ক্যান্টিনে নাস্তা খাইতাম আর এখন মাঝে মাঝে আমিই মধুদার মতো উনাকেই নাসতা বানাইয়া খাওয়াই!
যৌবনের মৌবনে হালকা ভাটা পড়িলেও ভালোবাসা ও টান বাড়িয়াছে। আমাদের কন্যা এখন ক্লাশ সেভেন এ পড়ে।
আমরা এখন তিনজন। আমাদের কন্যার ছবি নীচে দিলাম:
বাংলা সিনেমার মতো আমার এবং উনার মা ছিলেন ছোট বেলার বন্ধু, একসাথে স্কুলে যাইতেন। ১৯৯৪ সালের ১০ জানুয়ারী উনারা বেড়াইতে আমাদের বাসায় আসিলে আমার (হবু) স্ত্রীকে আমার মনে ধরিয়া যায়! লজ্জা শরমের মাথা খাইয়া মা'কে বলি। উহার ৭ মাস পরেই আমি পরাধীন হই!
আল্লাহর রহমতে খুব সুখে আছি। মাঝে মাঝে ঝারি খাওয়া ছাড়া সংসারে আমি বেকার।
খাই আর সুখে ঘুমাই।
দোয়া করিবেন যাতে এভাবে সারাজীবন সুখে থাকি। ভালো থাকিবেন।
-আপনাদের ডিসকো বান্দর
নোট: উনি এইমাত্র আসিয়া বলিয়া গেলেন "পোস্ট তো দিতেছো। দেখি তোমার কয়জন আপু এই পোস্টে কমেন্ট দেয়! তাহার পর তুমি ডিসকো থাকবা না কি হইবা তাহা দেখা যাইবে খন"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।