আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরকম

আমি ই লাদেন ভাই.. আপাতত বাংলাদেশে আছি। ওবামারে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইছি.. একছেপ্ট করলেই যামু গা..
সিটটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন আনিস সহেব। ভারী ব্যাগটা একহাতে ধরে রেখে খালি সিটটার দিকে এগোচ্ছিলেন; এমন সময় ঊনিশ/বিশ বছরের একটা (মডার্ণ!) ছেলে প্রায় ছুটে এসে দখল করেছে সিটটা। যুগ বদলে গেছে। এটা যে খানিকটা অস্বাভাবিক বা এরকম ব্যাপারে যে ভাববার কিছু আছে তা অনেকে জানেনই না।

অগত্যা আনিস সাহেব ঝুলতে ঝুলতেই যাচ্ছিলেন। এভাবেই চলছিল খানিকক্ষন। বাসের মধ্যে যে একটা কিছু ঘটতে শুরু করেছে তা বুঝতে আনিস সাহেবের একটু দেরি হয়ে গেল। তিনি যখন ব্যাপারটা বুঝতে শুরু করেছেন তখনÑ “ভাড়া দুই ট্যাকাই ন্যায্য। ” ”শালার কোনডা ন্যায্য না কি হেইডা তুই আমারে শিখাছ?” “জ্বি দুই ট্যাকাই ভাড়া।

আপনেরতে না থাকলে কইবেন যে, নাই। চউখ গরম কইরা কতা কন ক্যান?” “চউখ গরম মানে? তরা ব্যাটা দুই পয়সার কন্ডাক্টার, আর কতা কছ বড় বড়...” “উচিৎ কতা কইতো শইল্যে লাগে...” “তরা আসলে কুত্তার জাত। এক ট্যাকার মায়াও ছাড়স না...” (এ পর্যায়ে কন্ট্রাক্টর ক্ষেপে যায়) “কুত্তার জাত মানে? ঐ মিয়া গাইল্যান ক্যান? ভাড়া কম দিছেন মিয়া চুপ কইরা থাকেন। ” কমবয়সী ছেলেটার রক্ত গরম। মুহুর্তে কিছু বোঝার আগেই ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল কন্ট্রাক্টরের গালে।

এরপর ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে লাগল। ঘটনা যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন আনিস সাহেব দেখলেন যে সেই কমবয়সী ছেলেটি বাস থেকে নেমে যাচ্ছে। গায়ের শার্টটা ছিঁড়ে গেছে। রাগে গজগজ করছে দু’জনেই। গালিগালাজ সমানতালেই চলছে উভয়পক্ষে।

আনিস সাহেব ব্যপারটা নিয়ে মাথা ঘামালেননা। দ্রুত বাসায় যেতে হবে হাতে সময় নেই। মন্টু কয়েক জায়গায় ফোন করেছে। ক্লাসমেটরা আসতে দেরী হবেনা। তার সামান্য দুশ্চিন্তাও হচ্ছে।

অবশ্য সাঈদের উপর ভরসা করা যায়। আগেরবার ও খুব ভালভাবে সবকিছু করেছিল; পুরো দিনটা রাস্তা বন্ধ ছিল। ও এসব ব্যাপারে খুব এক্সপার্ট। নিজের ছেঁড়া শার্টটার কথা আবার মনে পড়ল মন্টুর। নিউমার্কেট থেকে সাড়ে চারশ টাকায় কেনা।

এমনভাবে ছিড়ে গেছে যে আর পড়ার উপায় নেই। রাস্তাতেই ফেলে আসতে হয়েছে। আব্দুল গণি খুব দুশ্চিন্তায় আছে। স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে বাসে উঠেছেন,্ অনেক দূরের পথ। মেয়েটার গায়ে আবার জ্বর উঠছে।

তিন বছরের মেয়েটাকে শক্ত করে বুকে চেপে তার স্ত্রী রওশন ও খুব দুশ্চিন্তায় আছে। তাড়াতাড়ি পৌঁছুলে হয়। দুই দিন যাবৎ জ্বর; ভালো ডাক্তার দেখানো উচিৎ। হাতে তেমন পয়সা কড়িও নেই। এইসব ভাবতে ভাবতে আব্দুল গণি খেয়াল করেনি তাদের বাসটা থেমে গেছে এবং চিৎকার করে তিরিশ-চল্লিশ জন ছেলে লাঠি-সোটা আর ইট-পাথর নিয়ে এগিয়ে আসছে।

এমতাবস্থায় কি করতে হবে বুঝে ওঠার আগেই আব্দুল গণি মহা আতঙ্ক দেখল যে তার পাশের জানালার কাচটা ভেঙ্গে টুকরোগুলো ছিটকে এদিকে আসছে। রওশন মেয়েটাকে কোলে চেপে তারস্বরে চিৎকার করছে। তারপরের ঘটনা খুবই সহজ। ঐ রাস্তায় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। গাড়িগুলোর বদলে সেখানে অবস্থান করছে আমাদের দেশের ভবিষ্যত (!) অর্থাৎ বর্তমানে যারা ছাত্র।

ছাত্রদের সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট জটলা থেকে সিগারেট-গাঁজার ধোয়া ছুটছে। মন্টুকে সেরকমই একটা জটলায় দেখা গেল। আব্দুল গণির স্ত্রীর মুখ কাঁচ লেগে কেঁটে গেছে। রক্ত ঝড়ছে। অসুস্থ মেয়েটা ভয়ে দুর্বল শরীর নিয়ে কাঁদছে।

আব্দুল গণি কি করবে বুঝতে পারছে না। পুলিশ এসেছে অনেকক্ষণ। এরই মাঝে পুলিশের সাথে দফায় দফায় ছোটখাট সংঘর্ষ হয়ে গেছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাস অবরোধ থেকে ব্যাপারটা এখন অনেকটা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।

একজন পুলিশসহ আহত ছয় জন। ব্যাপক বাস ভাঙচুর। .............রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করলেও হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক স্বার্থে ঘটানো হয়েছে বলে দাবী করেন। তবে ঘটনার সাথে কোন দল সম্পৃক্ত তা এখনো জানা যায়নি। এব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটি জোর পদক্ষেপে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়।

.......................................................................................................................................... গাছে বসে থাকা পাখিটি অনেকক্ষনের আটকে থাকা একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ সে ভাবল দেশ ও জাতির কল্যাণে সে বদলে যাবে। হ্যা সে নিজের সিদ্ধান্তে অটল; সে বদলে গিয়ে দেশটাকে বদলে দেবে। সে এখন থেকে আর ডিম পাড়বে না; সে এখন থেকে এক টাকার কয়েন পাড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।