যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.
এটা সেই আদিকাল থেকেই চলে আসা একটি ব্যাপার। বাবা হয়ত চান তার সন্তান ঠিক যেন তার মতই হয় । আমার মা চান তার সন্তান যেন হয় তার মতই। এ নিয়ে ২ জনের মধ্যে চলে নীরব প্রতিযোগিতা। এতে করে সন্তান তখন দ্বিধার মধ্যে থাকে।
আর চিন্তা করতে থাকে কার দিকে গেলে সবচেয়ে ভাল হবে। কিন্তু আমরা একজটা জিনিস ভাবি না যে সন্তান এর জন্য ২ জনেরই ভুমিকা সমান সমান। তাহলে কেন এত বৈষম্যতা তৈরি করা হয়?
এতে সন্তান এর মানসিক দিক দিয়ে যে একটা প্রভাব পরে সেটা আমরা বুঝেও তা মেনে চলি না। দেখা যায় সন্তান তার বাবার কথা শোনে না। আবার দেখা যায় মায়ের কথা শোনে না।
অথচ এ জন্য তারা ২ জনই দায়ী।
এখন আসুন জ়েনে নেই কি কি কাজ আছে যা সন্তান এর সামনে করা যাবে না -
•২ জনকেই সন্তান এর প্রতি ভালমত খেয়াল রাখতে হবে
•২ জনের সিদ্ধান্তই সমান হতে হবে । একজন এক কথা আর একজন আর এক কথা বললে সেটা ভাল হবে না।
•সন্তানকে আদর সাধারনত নাকি মায়েরাই বেশি করেন। কিন্তু বাবাদের কেও সমান তালে করতে হবে।
•শাসন করতে হলে যে কোন একজন করুন। আর একজন সন্তানকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।
•কখনই সন্তান এর সামনে ঝগড়া করবেন না।
•গায়ে হাত দেয়ার (২ জনের মধ্যে) অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন।
•একটা কমন ব্যাপার দেখা যায় যে সন্তান কে নিজের মত করে রাখার জন্য বাবার কাছ থেকে দূরে রাখেন অনেকে।
আবার বাবা রাখেন মায়ের কাছ থেকে। এটা কখনই করবেন না।
•আবার দেখা যায় বাবার দোষ ত্রুটি গুলি সন্তানকে বলে দিয়ে একটা বিদ্রুপ ধারনা পোষন করতে অনেকে বাধ্য করেন। আবার বাবারা ও করে থাকেন। এসব থেকে দূরে থাকুন।
•সন্তান এর সামনে ২ জনই স্বতস্ফুর্ত আচরণ করুন।
•সন্তান কোন দোষ করলে তাকে অধিক শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
•তবে বেশি আদর দিয়ে সন্তানকে বিগড়ে দিবেন না।
•সন্তান এর সামনে একজন আর একজনকে হেয় করে কথা বলবেন না।
•তার সাথে বন্ধুর মত আচরণ করুন।
এগুলোই এখন মনে পরছে । বিদায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।