আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বর্তমান সমুদ্রসীমা সমস্যা বনাম রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা

আমি সত্যের এবং সুন্দরের পুজারী। কজন মানুষের সাথে হাসিমুখে মিষ্টি ভাষায় যারা কথা বলে তাদের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা । আর যারা নিজেদের অনেক বড় ভাবে, তাদের প্রতি আমার রয়েছে করুণা ।

এটি আমার লেখা প্রথম ব্লগ। ব্লগ লেখার সামান্যতম ধারণা ও আমার নেই।

যদি কখনো কেউ ভুলক্রমেও আমার লেখাটা পড়ে থাকেন, তবে আমার লেখা র ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এটাই অনুরোধ । আর যদি আপনাদের মতামত ও জানান তবে নিঃসন্দেহে খুশি হব অনেক । আমার লেখার শিরোনামটি নিঃসন্দেহে সবার মনে প্রশ্ন জাগাবে কারণ ২ টা সমস্যা তো ভিন্ন হওয়ার কথা না। তাহলে ??? কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আজ এক ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে দেখতে পাই, দেশের সমস্যা আর আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমস্যা ভিন্ন । আমাদের দেশের সমুদ্রসীমায় ভারত এবং মিয়ানমারের তাণ্ডবের কথা আমি প্রথম জানতে পারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রথম আলো থেকে ।

এরপর এ বিষয় খোঁজখবর করা শুরু করি ইন্টারনেট, পত্রিকা বিভিন্ন জায়গায় । যা জানতে পারি তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। আমাদের সমুদ্র সীমার ভিতরে যে জায়গায় গ্যাস পাওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা সে জায়গার বেশ কিছু ব্লকে এই ২ দেশ অভিযান চালানো শুরু করেছে আমাদের জানানোর প্রয়োজন নেই ধরে নিয়ে । বাংলাদেশের এই জিনিসটা খেয়াল করতে সময় লেগেছে অনেক বছর। এমন কি এখন খেয়াল করার পর বাংলাদেশ যখন আরবিট্রেশনে গেছে, তখন ও অনিশ্চিত আমাদের সীমা আমাদের থাকবে না অন্যদের দখলে চলে যাবে ।

যদি আমরা আরবিট্রেশনে হেরে যাই, তাহলে আমরা কি করব? আমাদের সরকার খালি শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা ভেবে বসে আছেন। কিন্তু যদি কখনো মিয়ানমারের সাথে আমাদের যুদ্ধ বাধে আমরা কি প্রস্তুত ? মিয়ানমার যে বাংলাদেশ কে আমলে নিতে চাচ্ছে না , তা কিন্তু তারা তাদের আচরণেই বারংবার প্রকাশ করে চলেছে। আমাদের দেশে রোহিঙ্গা দের মাধ্যমে যে ইনভেশন তারা চালাচ্ছে তাকে সামরিক ইনভেশন বলা হয়ত যাবে না, কিন্তু ডেমোগ্রাফিক ইনভেশন তো বটেই। এমনকি সীমান্তে নাসাকা বাহিনীর বেপরোয়া আচরণ থেকে আমরা কি এখনো উপলব্ধি করতে পারছি না যে তারা বিপজ্জনক হয়ে উঠতেছে। এবং তারা আমাদের তখনি ঘাটাবে না, যদি আমরা নিজেরা শক্তিশালী হয়ে উঠি।

ভাবতে অবাক লাগে জাতিসংঘের ২য় বৃহত্তম শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী পাঠানো দেশ আমরা, অথচ আমাদের সীমানায় নিরীহ মানুষ দিনরাত মারা যাচ্ছে। চীন, কোরিয়ার সাহায্য নিয়ে মিয়ানমার পারমাণবিক বোমা বানানোর পথে রয়েছে । ওরা যদি বানিয়ে ফেলে তাহলে সামনে আরো বিপদ অপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীন এই তিনটি দেশের সাথেই আমাদের বৈদেশিক নীতি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে মেইন্টেইন করা উচিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যেখানে আমাদের নৌবাহিনী আরো ১০ গুণ শক্তিশালী করা উচিত, বৈদেশিক নীতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত সেখানে আমাদের প্রধান ২ দলের শিশুদের মত আচরণ সচেতন নাগরিক কে স্তম্ভিত করে দেয়।

কারণ তারা যেসব বিষয় নিয়ে কালক্ষেপণ করছে, তা নিয়ে ঝগড়া করতে বোধ করি শিশুরাও লজ্জা পাবে। আর সংসদে গিয়ে তারা যে সব অকথ্য ভাষায় নিজেদের গালিগালাজ করে তাতে আমাদের দেশে চলমান তথাকথিত গণতন্ত্র আর দেশের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে পারি না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.