জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এবং স্বাস্থ্যকে মানবাধিকার হিসেবে সংবিধানে যুক্ত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-র প্রতিনিধি দল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কার্যালয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সুপারিশ হস্তান্তরের সময় এই আহবান জানায়।
জোট-র সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে উক্ত প্রতিনিধি দলে ছিলেন জোটের উপদেষ্টা পরিবেশবিদ আবু নাসের খান, উবেনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার, প্রত্যাশা-র সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, এনডিএফ-র নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সাঈদ রানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র সৈয়দা অনন্যা রহমান এবং নীতিবিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ বলেন, বিদ্যমান আইনের অনেক অর্জন থাকলেও, কতিপয় দূর্বলতার কারণে আইনের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় আইনটি দ্রুত সংশোধন জরুরি। দেশের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু পড়ালেখা করতে পারে না, তাই আইনে ছবিসহ সতর্কবানী প্রদান জরুরি। এছাড়া কর্মস্থল, রেস্টুরেন্টসহ সকল পাবলিক প্লেস ও পরিবহন শতভাগ ধূমপানুক্তকরণ এবং তামাক কোম্পানির নাম রং, লোগো এবং সামাজিক কর্মসূচীসহ সকল ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
বক্তারা তামাক জাতীয় স্বাস্থ্যহানিকর পণ্যে ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসা খরচ তুলে আনতে এ সকল পণ্যের উপর আলাদা স্বাস্থ্যকর আরোপ এবং সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর প্রতিবছর কর বৃদ্ধি, তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশের কৃষি জমি হ্রাস এবং বন উজাড় হওয়ার প্রেক্ষিতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আইনে যুক্ত করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।