সোমবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে তামাকবিরোধী মিডিয়া এলায়েন্সের এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, আইনগতভাবে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ থাকলেও তামাক কোম্পানিগুলো পরোক্ষভাবে তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, যা অচিরেই বন্ধ করা উচিত।
এছাড়া তামাকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের এবং বিড়ি-সিগারেটসহ মুদির দোকানে সাইনবোর্ড বসিয়ে তাদের পণ্যের প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এধরণের প্রচারণা বন্ধসহ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে সরকারের পদক্ষেপ চান বক্তারা।
উন্নয়ন সংস্থা প্রজ্ঞা এবং ইপসার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিবছর বিশ্বে ৬০ লাখ লোক তামাক ও তামাকজাত পণ্যের সৃষ্ট রোগের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করে থাকে, যার মধ্যে ৬ লাখ পরোক্ষভাবে এর শিকার হচ্ছেন।
আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৮০ লাখে উপনীত হতে পারে বলে জানানো হয়।
সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে আগামী বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক পণ্যের ওপর উচ্চহারে কর আরোপের দাবি জানান তারা।
সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের নগর সম্পাদক এম নাসিরুল হক, সাংবাদিক সাইফুল আলম, আলমগীর সবুজ ও ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ আলী শাহীন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।