বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আইন বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ২৯ এপ্রিল ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন-২০১৩ পাস হয়।
এই আইনে তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও তামাক ব্যবসায়ীরা ‘আইনের চোখ ফাঁকি’ দিয়ে এসব কাজ করছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে জনহিতকর কাজ করে তারা জনগণের আনুকূল্য পেতে চায়। সরকার ও প্রশাসনকেও তারা প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
”
আগামী ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় আগামী ১১ জুন ‘তামাকের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের তামাক দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠান হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তামাকের ক্ষতিকারক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চান মুজিবর রহমান।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় এবং তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে।
স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।