শূন্য
তবু তাঁরা বেঁচে আছেন। নির্লজ্জ, বেহায়া কিংবা অভ্যাসের বসে! না....... তাঁরা বেঁচে আছেন, থাকবেন বাংলা মায়ের শির চির উন্নত রাখতে। প্রাপ্তির খাতাটি শূন্য হলেও আক্ষেপ নেই এতটুকুও। কত দিনই আর বাঁচবেন! ৫ বছর.... ১০ বছর....। তারপর.....
হু.... তাঁরা হারিয়ে যাবেন।
আমরা ভুলে যাবো ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়টুকু। আর অন্যপ্রান্তে!... যারা ৭১ এ ধর্ষণকে করেছিল যায়েজ, যারা যুদ্ধকালীন ধর্ষণকে বলেছিল ধর্মীয় বিধান, গণিমতের মাল হিসেবে নারীকে ভোগের অধিকার.......। তারাও হয়ত থাকবে না। কিন্তু তাদের উত্তরসুরীরা সেদিন প্রতিষ্ঠা করবে- “এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। হয়েছিল গৃহযুদ্ধ।
ছিলনা কোন যুদ্ধাপরাধী। শুধু কিছু কুচক্রীর ষড়যন্ত্রে বৃহত্তর একটি রাষ্ট্র ভেঙ্গে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল। তাই তো দেশে আজ এত অভাব, এত সমস্যা, অনিয়ম!”
আর এদিকে.... প্রজন্ম একদিন ডিজিটাল ইতিহাস পড়তে পড়তে বলবেঃ
বাবা, অনেক আগে কার সাথে যুদ্ধ হয়েছিল?
ভিনদেশী শত্র“দের সাথে।
ওরা এদেশের রাস্তা চিনত কিভাবে?
মানচিত্র দেখে।
কিন্তু মানুষের বাড়ী, হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আর সুন্দরী যুবতী নারী কোথায় আছে, এসব কিভাবে জানত?
বাবা..... ওহী নাজিল হতো।
তাহলে বাবা রাজাকার কি?
বাবা.... ওটা হলো ডিকশনারী থেকে হারিয়ে যাওয়া একটা শব্দ।
বাবা, ডিকশনারী থেকে হারালো কেন?
বাবা, আমাদের তো ভুলে যাওয়ার এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে!
ও.... এদেশে তবে যুদ্ধাপরাধী ছিল না, তাই না বাবা?
বাবা কিছুক্ষন চুপ করে থাকেন। ভাবেন কোথায় মুখ লুকাবো। লজ্জায় চোখে জল আসার উপক্রম। কোন রকমে বলেন- বাবা... আমাদের সময় আর প্রজন্মকে ক্ষমা করে দে!
তোমরা যেমন ডধৎ পৎরসরহধষদের ক্ষমা করেছিলে, তেমন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।