মিসরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের সংঘর্ষে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তপাতের ঘটনার পরদিনই গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। সিনাই উপদ্বীপে মুরসিপন্থীরা হামলা চালিয়ে সাত সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেছে। ক্ষুব্ধ জনতা আগুন দিয়েছে সরকারি স্থাপনায়। বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সড়ক যোগাযোগ। নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড।
এদিকে, আগের দিনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫৭৮-এ দাঁড়িয়েছে বলে স্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি, দুই হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ১০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ব্রাদারহুড বলেছে, এসব ঘটনার পরও তারা দমবে না। মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী গত বুধবার সকালে রাজধানী কায়রোর দুটি অস্থায়ী বিক্ষোভ শিবির থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুররিস সমর্থকদের সরিয়ে দিতে গেলে ওই ভয়াবহ রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিসরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনা-সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা করেছেন।
মিসরে সর্বসম্প্রতি সহিংসতায় ওবামা গতকালই প্রথম মন্তব্য করলেন। পাশাপাশি তিনি মিসরের সঙ্গে নির্ধারিত যৌথ সামরিক মহড়া ‘ব্রাইট স্টার’ বাতিল ঘোষণা করেছেন। এদিকে গতকাল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া এক যৌথ বিবৃতিতে মিসর পরিস্থিতি নিয়ে অবিলম্বে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বানের দাবি জানিয়েছে। বুধবারের ওই বিভীষিকাময় দিনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা এবং রাজধানীসহ ১৩টি প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু জরুরি অবস্থার মধ্যেই গতকাল আবারও রাজপথে বড় ধরনের বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড।
কায়রো এবং অপর বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় বিক্ষোভ-সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে থাকে দলটি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।