সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেশমা নিজের হাতে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন।
তবে কারো সাহায্য ছাড়া এখনো হাঁটার শক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সিএমএইচের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরীফ আহমেদ।
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে গত শুক্রবার রেশমাকে উদ্ধারের পর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
সিএমএইচ অধিনায়ক রোববার সাংবাদিকেদর বলেন, “রেশমা এখন ভালো আছেন। ধীরে ধীরে তার শারিরীক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
শনিবার রাত ও রোববার সকালে তার ‘সাউন্ড স্লিপ’ হয়েছে। ”
তবে শারীরিক দুর্বলতা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারায় রেশমা নার্সদের সহায়তায় হাঁটাচলা করেছেন বলে জানান কর্নেল শরীফ।
৪০০ ঘণ্টা অন্ধকারে আটকে থাকা রেশমা চিকিৎসকদের বলেছেন, “হাঁটতে গেলে মাথা চক্কর দেয়। ”
চিকিৎসকরা জানান, খুবই সতর্কতার সঙ্গে রেশমার চিকিৎসা চলছে। মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার দুঃসহ যন্ত্রণার কথা ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক কর্নেল মো. আজিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল রেশমার মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে গেছেন।
রেশমার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সোমবার আবার বোর্ড বসে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে।
এদিকে দিনাজপুরের মেয়ে রেশমা আক্তারের প্রতীক্ষায় থাকা গ্রামের মানুষদের উৎসুক পদভারে তাদের বাড়ি মুখরিত।
শুক্রবার বিকাল থেকেই শত শত গ্রামবাসী-স্বজন-সরকারি কর্মকর্তা-স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-রাজনৈতিক কর্মী-গণমাধ্যমকর্মী ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী গ্রামে তাদের বাড়ি এসে রেশমার খোঁজ নিচ্ছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রেশমা। ধসে পড়া ভবনে উদ্ধার কাজ চালানোর সপ্তদশ দিনে উদ্ধার হন এই নারী।
স্মরণকালের ভয়াবহতম এ ভবন ধসের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ১১শ’ ছাড়িয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।