জীবন টাকে অন্য চোখে দেখতে চাই
দীর্ঘ প্রায় চার দশক প্রতীক্ষার পর এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অন্ধকার আকাশের বুক চিরে বজ্রপাতের সুতীব্র নীল আলো আছড়ে পড়ল হাতের উদ্যত মশালের ওপর। দূর থেকে মনে হচ্ছিল যেন নির্ভীক কোনো যুবার একরোখা হাতের তর্জনী থেকে সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যুতের বাধাহীন প্রভা। ক্যামেরায় এ দৃশ্য ধারণ করতে এতটুকু দেরি করেননি জে ফাইন। এই মুহূর্তটির জন্যই তো তিনি অপেক্ষা করেছেন বছরের পর বছর।
নিউইয়র্কের ফটোগ্রাফার জে ফাইনের মাথায় অল্প বয়সেই অদ্ভূত এক ছবি তোলার নেশা পেয়ে বসে। ১৮ বছর বয়সের সময় থেকে ঝড়ঝঞ্ঝা শুরু হলে তিনি ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যেতেন হাডসন নদীর তীরে। এরপর সব বিপদ উপেক্ষা করে একটানা ছবি তুলতেন স্ট্যাচু অফ লিবার্টির। আকাশে বজ্রপাতের তীব্র আলো ঠিক যখন এ ভাস্কর্যের হাতের মশালের সমান্তরালে ঠিকরে পড়বে ঠিক সেই বিরল মুহূর্তের ছবি তোলার নেশা পেয়ে বসেছিল জে ফাইনকে। আর তাই খারাপ আবহাওয়ার খবর পেলে যেখানেই থাকুন না কেন, ক্যামেরা হাতে ঠিক পেঁৗছে যেতেন হাডসনের তীরে।
জে ফাইনের বয়স এখন ৫৮, গত প্রায় ৪০ বছরে ভাগ্য প্রসন্ন হয়নি তাঁর প্রতি। তবে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙেনি, আর তাই শেষ পর্যন্ত বহু কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি ধরা দিল তাঁর ক্যামেরায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতের আবহাওয়া তেমন সুবিধার হবে না শুনেই তিনি ছুটে যান নদীর তীরে। সুবিধা মতো জায়গা বেছে নিয়ে সন্ধ্যা থেকে পোতাশ্রয়ের সেই বিখ্যাত স্ট্যাচুর ছবি তুলতে থাকেন একের পর এর। আকাশে চমকাচ্ছিল বিদ্যুৎ, কিন্তু কোনোটাই ঠিক জুতসই হচ্ছে না।
অবশেষে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে হঠাৎ তীব্র আলোর ঝলকানি যেন ছুঁয়ে গেল স্ট্যাচু অফ লিবার্টির হাতের মশাল। সেই দুর্লভ ছবি তুলে সাফল্যের হাসি হাসলেন জে ফাইন। এর আগের দুই ঘণ্টায় সব মিলিয়ে ৮১টি নিস্ফল ছবি তুলতে হয়েছে তাঁকে।
সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।