দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মেহেরপুরের এক সময়ের ডাকসাইট দর্শনীয় স্থান শহর থেকে ৬ কিঃমিঃ দুরে কাজলা নদীর তীর ঘেসে চল্লিশ একর জমির উপর নীলকুঠির অবস্থান। আজ তার জৌলস নেই। নেই নীলকরদের অত্যাচারীত কৃষকের হাহাকার। ভবনগুলো সব ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে। বেহাত হচ্ছে সাহেবদের জমিগুলো।
বৃটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী বিশালাকৃতির বৃক্ষরাজি ক্ষমতার পালাবদলে বিনষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলেও আজ দেখার কেউ নেই। অথচ একসময় অবিভক্ত বাংলার এই কুঠিবাড়িটির জনপদ পর্যটকদের পদচারণায় ভরপুরর ছিল। মেদেনীপুর জমিদারের এই কাছারী বাড়িটি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার অধিপতি নবাব আলিবর্দী খাঁ 'র মৃগয়ার সৃতি রয়েছ এখানে। মুঘল সেনাপতি মানসিংঘের বিজয় রথ ছুটেছে, ভাষ্কর পন্ডিতের বর্গিদল ধ্বনি উড়িয়ে গেছে কালো হাত বাড়িয়ে, বাংলার নবাবের স্বাধীনতা হরণের ষড়যন্ত্রও হয়েছে এখানে।
নানা ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ধারক এই কুঠিবাড়িটি পর্যটন ও প্রত্নত্বত্ত বিভাগের টানাপড়ন ও সিদ্ধন্ত হীনতায় এবং জেলা প্রশাসনের অবহেলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী আমঝুপি নীলকুঠিবাড়িটির ঐতিহ্য রক্ষা করে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।