মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন.... ঢাকা শহর থেকে সবুজ অরন্য হারিয়ে গেছে অনেক আগেই এখন হারাতে বসেছে সবুজ মাঠ। মাঝে মাঝে যখন জাদুঘেরর সামনে দিয়ে যাই তখন জাদুঘরের সামনের মাঠটি দেখ ভাবি, জাদুঘরে রাখার মত উপযুক্ত জিনিসই বটে। কয়েকদিন পর হয়ত আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে মাঠ দেখাতে হলো জাদুঘরেই যেতে হবে। আমাদের জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জাদুঘরে একটি মাঠ সংরক্ষন করার জন্য।
শুধু মাঠ কেন কয়েকদিন পর আকাশ দেখতে হলেও হয়ত জাদুঘরেই যেতে হবে।
কারন প্রেসিডেন্ট হাউজিং নামক একটি কোম্পানী দেখলাম হাইওয়ে প্যালেস নামক এপার্টমেন্ট প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে যার মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে হাইওয়ের উপরে এপার্টমেন্ট তৈরী। ব্যাপারটি আমার কাছে প্রথমে পাগলের প্রলাপ বলেই মনে হচ্ছিল কিন্তু আমার টনক নড়লো তখন যখন দেখলাম টিভিতে বুয়েটের দুজন প্রকৌশলী অধ্যাপক এটি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলছেন। মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনার পর যেটি বুঝলাম সেটি হলো, তারা চাচ্ছে হাইওয়েতে বাড়িঘর নির্মান করতে। ব্যাপারটি এমন যে বিল্ডিংএর প্রথম দুটি ফ্লোর ব্যবহার হবে হাইওয়ে হিসেবে একটি ফ্লোরে থাকবে রেললাইন তার উপরে থাকবে হাইরাইজ বিল্ডিং যেখানে সরকারী-বেসরকারী অফিস ও মার্কেট, আবাসিক এপার্টমেন্ট ইত্যাদি থাকবে। এটি করলে নাকি আমাদের মতো ছোট দেশে জায়গার সংকট মিটবে ও সবার জন্য বাসস্থান তৈরী করা যাবে।
কিন্তু আমি ভাবছিলাম অন্য কথা। আমাদের এই হিজিবিজি শহরে এখনই গলি ঘুপচি থেকে উপরে তাকালে তারের জট ও বিভিন্ন বাড়ির বারান্দা দেখা যায় কিন্তু আকাশ দেখা যায় না। শীতের দিনে সুর্যের আলো পেতে হলে এখনো বড় কোন রাস্তায় হাজির হতে হয়। এই দেশে যদি রাস্তাগুলোর উপর এরকম বাড়ি-ঘর নির্মান করা হয় তাহলে একদিন হয়তো খোলা আকাশ দেখতে হলেও জাদুঘরে যেতে হবে।
http://www.rsaworldbd.com/highwaypalace.html
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।