তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...
নিজের মাঝেই হারিয়ে ফেলি নিজেকে। গতকালই যে বিষয়টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আজই তা ভীষণ বিরক্তিকর! এই কদিন আগেই দেখলে মেজাজটা সপ্তমে উঠে যেত, আজই তাকে না দেখলে চোখে খিদে কমেনা! এটাই তো নিজের মাঝে নিজেকে হারানো! নাকি?
আমি জানি- প্রত্যেকটা মানুষের কাছে তার কাটিয়ে আসা আসা অতীত একেবারে মূল্যহীন। অর্থহীন। কখনো কখনো হাস্যকরও।
এও জানি- এর বিপক্ষ ভাড়ী হবে। ওজনদার হবে। তবু এটাই আমার মত। আমার একান্ত নিজের উচ্চারণ।
মাঝে মাঝে অতীতের নষ্ট দিনেরা ফিরে আসে চলার পথের ব্যারিকেড হয়ে।
আমি সে ব্যারিকেড ডিঙিয়ে যাই। নষ্ট অতীত মুখ থুবড়ে পিছনেই পড়ে থাকে। কিন্তু আমার শরীরে লেগেই থাকে নষ্ট অতীতের নষ্ট আচড়। আমি তাই বন্দি থাকি। মুক্তি আমার হয়না।
বরাবরের মতো নিজেকে হারিয়ে ফেলি আমি। এবং অবশ্যই নিজের মাঝে...
হারিয়ে খুজে বেড়াই নিজেকে। মনের ঘরের বন্ধ দরজায় কড়া নাড়ি। প্রিয়ানুর চেনা কন্ঠের প্রশ্ন আসে- কে? উত্তর আমি দেইনা। কড়াটাই নাড়ি আরেকবার।
প্রিয়ানু বুঝে ফেলে- কে এসেছে। সে খুলে দেয় অভিমানী কথার ভরে রাখা হৃদয়। আমি সব শুনি। শুনে শুনে প্রিয়ানুকে আবারো কথা দেই। আমার স্পর্শ সে চায়।
কিন্তু আমি দেই না। দিতে পারিনা- যে নিজেকেই হারিয়ে বসে আছে, সে আবার কী দিবে কাকে..!?
ভাবনারা এলোমেলো হয়ে যায়। দলছুট বুদবুদের মতো। ঝরে পড়া শুকনো পাতার মতো। আমি পাগল হয়ে ভাবনাদের ফিরিয়ে আনতে যাই।
আমি ভাবনাদের কুড়িয়ে আনতে যাই। এক সময় আনিও। তারপর লুকিয়ে রাখি ডাইরীর পাতায় পাতায়। লুকিয়ে রাখা সেই ভাবনারা কখনো কখনো কবিতা হয়ে দরাজ গলায় বেজে উঠে। আবার কখনো সূরে আবদ্ধ গান হয়ে দোলা দিয়ে যায় হাজার জনের হৃদয়-মন।
আমি হারিয়ে যাই। আমি খুজে বেড়াই নিজেকে। প্রিয়ানুর সামনে পড়ি। সে ভাবনাদের উড়িয়ে দেয়। আমি তা ধরে এনে লুকিয়ে রাখি।
এক সময় তা কবিতা হয়। গান হয়। ঘোষণা করে আমার নতুন অস্তিত্ব। আসলে আমি হারিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বারবার ফিরে আসি নতুন অস্তিত্ব নিয়ে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।