থিংক সিম্পল।
ব্লগে আস্তিক নাস্তিক বিতর্কে খুব সাধারণ মানের কমন কিছু প্রশ্ন আস্তিকেরা করে থাকেন। খুব সংক্ষেপে এ দুটি ধারার সংজ্ঞা দিয়ে আস্তিকতার পক্ষে প্রথম যুক্তিটি নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আস্তিকতা একটা বিশ্বাস নির্ভর জীবন দর্শন, যেখানে নাস্তিকতা কোন দর্শন নয় বরং প্রতিটি ব্যাপারে যুক্তি-তথ্য, গবেষণা-পর্যালোচনা নির্ভর অবস্থান। (Atheism is Not a Philosophy নাস্তিকতা কোন দর্শনের নাম নয়)
নাস্তিকেরা এই অবস্থান অর্জন করে দু’ভাবে, একঃ আস্তিকতার পক্ষে যুক্তি সমুহের অসারতা প্রদর্শন করে, দুইঃ সুসংলগ্ন যুক্তি সমুহের উপর নির্ভর করে।
সুসংলগ্ন যুক্তি আসলে কি? সুত্রকে যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে গৃহীত যুক্তির সিদ্ধান্তই সুসংলগ্ন যুক্তি। তাকে সিদ্ধান্তের সাথে কোন অসংলগ্ন বক্তব্য জুড়ে দিতে হয় না। অথবা উদাহরণের অন্যান্য প্রপ্রার্টি সমুহকে অস্বীকার করা হয় না। যুক্তি প্রমাণের লক্ষ্যে ব্যবহৃত উদাহরণের সব রকম ব্যাখ্যাই সুত্রকে অনুসরণ করে হয় এবং সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভিন্ন ফলাফল দেয় না।
এক্ষেত্রে বিজ্ঞানের থিউরি সমুহ যথার্থ উদাহরণ হতে পারে।
থেলিসের সময় গ্রহ উপগ্রহের বৃত্তাকার কক্ষপথের সাথে গ্রহ নক্ষত্রের সময় মিলতো না, একটা সময় তাই উপবৃত্তাকার কক্ষপথের প্রস্তাব আসলো, এবং এটা সঠিক ভাবে গ্রহ নক্ষত্রের ঘুর্ণন ব্যাখ্যা দিলো। আবার নিউটনের সুত্র হতে গৃহীত সিদ্ধান্ত সব সময় সুত্রকে অনুসরণ করে, এবং এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উদাহরণ সমুহ কখনই গ্রাভিটি নেই এরকম ফলাফল দিতে পারবে না। যখনই উদাহরণ ভিন্ন ফলাফল দিবে, তখনই থিউরিটি ভেঙ্গে পড়বে। এর সুন্দর উদাহরণ হল নিউটনের গ্রাভিটির সুত্র যে সকল উদাহরণের ক্ষেত্রে ভেঙ্গে পড়ে, সেই সকল উদাহরণের ক্ষেত্রে আইনস্টাইনের সুত্রের প্রয়োজন হয়, এবং আইনস্টাইনের এ সুত্রও একটা নির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে ভেঙ্গে পড়ে। (কিন্তু এই ভেঙ্গে পড়াকে কখনও উপেক্ষা করা হয় না, বরঞ্চ সেটাও খুব গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং সে সম্পর্কিত নতুন ধারনাগুলোকে যথাযথ পদ্ধতিতে যাচাই করা হয়।
) তাহলে দেখা যাচ্ছে যে বিজ্ঞানের সুত্র হতে সিদ্ধান্ত সমুহ সুত্রকে যথার্থভাবে অনুসরণ করছে এবং একটি নির্দিষ্ট অবস্থা পর্যন্ত ভিন্ন কোন ফলাফল দিচ্ছে না।
যখনই কারো যুক্তি তার সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়, তখনি উদাহরণটি যথার্থতা হারায়। প্রচলিত স্রষ্টার ধারনা গুলো অসংলগ্ন ধারনায় ভরপুর। আস্তিকদের অতি প্রিয় একটি উদাহরণ হল এরকম-‘ধরা যাক আপনি অনেক দীর্ঘ একটি তাসের সারির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনি দেখছেন একটি একটি করে তাস পড়ে যাচেছ এবং পড়ে যাওয়ার সময় সে পরের তাসটিকে ধাক্কা দিচ্ছে, ফলে পরের তাসটিও পড়ে যাচেছ, এভাবে একটি তাসের পতনের কারণ হচ্ছে তার পূর্বের তাসটি, তার পতনের কারণ তার পূর্বের তাসটি, তার পতনের কারণ তার পূর্বের তাসটি, এভাবে যেতে থাকলে একটি তাসে গিয়ে আপনাকে থামতেই হবে যেটি প্রথম তাস ৷ এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে, প্রথম তাসের পতনের কারণ কি? উত্তরে বলা যাবে না যে সেটিও একটি তাস, ফলে বুঝতে হবে যে প্রথম তাসের পতনের কারণ এমন কিছু যে নিজে তাস নয় ৷ হয়ত সে একজন মানুষ যে প্রথম তাসটিকে টোকা দিয়েছে ৷ এই মানুষটি যেহেতু তাস নয়, সেজন্য তাসের ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যসূচক প্রশ্ন করা যাবে, এই মানুষের ক্ষেত্রে তা করা যাবে না ৷ যেমন তাসের ক্ষেত্রে প্রশ্ন করা যায় যে “তাসটি কি হরতন না ইস্কাপন?”, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি অবান্তর। “ অথবা বাড়ী তৈরীর উদাহরণটি।
এখন ধরা যাক তাসের সারিটি এত লম্বা এবং এমন একটি পথের মাঝ দিয়ে গিয়েছে যার শেষ মাথায় যাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি, তাহলে আমরা বলি কিভাবে যে প্রথম তাসটি কোন মানুষই ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে? হতে পারে তাসটি বাতাসের ধাক্কায় পড়ে গিয়েছে, অথবা তীব্র কোন শব্দের কারণে কেঁপে উঠায় পড়েছে, হতে পারে পানির স্রোত, অথবা আগুন ধরে শুধুমাত্র প্রথম তাসটি পরেছে, অথবা কোন ল্যংটা পাগল বায়ু ত্যাগ করায় প্রথম কার্ডটি পড়েছে, এমনকি এটাও হতে পারে যে প্রথম কার্ডটি এতই দুর্বল ছিল যে সেটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি, অর্থাৎ আদি কারণ তাস নিজেও হতে পারে। এখন আমরা এ সকল সম্ভবনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র একটিই সম্ভবনা সম্পর্কে কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছি? আমরা কেউই শেষ প্রান্তে গিয়ে দেখিনি যে আসল কারণটা কি? তাহলে কিভাবে বলছি প্রথম কারণটি মানুষ? এতগুলো সম্ভাবনা থেকে সবগুলো বা যে কোন একটা দাবী কেনই বা গ্রহন করবো? দেখা যাচ্ছে উদাহরণটি সুসংলগ্ন নয়। সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমি অন্যান্য সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করছি শুধুমাত্র পূর্বাহ্নে কৃত অনুকূল ধারণার কারণে। এমনকি শেষ মাথায় যেয়েও অনেকগুলো সম্ভাবনা পাওয়া যেতে পারে। সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমি অন্যান্য সকল সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র সেই সম্ভাবনাকেই গ্রহন করেছি যে পূর্বধারণা আগে থেকেই আমার মাঝে বিদ্যমান ছিল অথবা আমার পক্ষে যায়।
এবার আসুন স্রষ্টার ব্যাপারে অসংলগ্ন যুক্তি সমুহের প্রথমটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রথম যুক্তিটি অনেকটা এরকম; যা কিছু আছে, এর পেছনে কারণ আছে, জগৎ আছে, অতএব এর পেছনে কারণ আছে, সেই কারণটা আল্লাহ। আস্তিকেরা এই কারণকে আল্লাহ বললেও আরো যে অনেকগুলো সম্ভবনা আছে সে গুলোকে প্রি মাইন্ড সেট এর কারণে তারা উপেক্ষা করেন। আস্তিকেরা যদিও তাদের একই যুক্তি স্রষ্টার উপর ব্যবহার করতে রাজি নয়। এখন আমরা এই যুক্তির অন্যান্য প্রপ্রার্টিগুলো কী বলে দেখবো।
আমরা মানুষেরা কার্যকারণ (Law of Cause) বিহীন ফলাফল ধারনা করতে পারি না। কিন্তু কার্যকারণ সম্পর্ক যেটা বলে সেটা হল প্রভাবক যেটাকে প্রভাবিত করবে, তা আগে থেকেই বর্তমান। কোন অবর্তমান কিছুর উপর প্রভাবক প্রভাবিত করতে পেরেছে, এমন উদাহরণ বস্তু জগতে নেই। একটি উদাহরণ দেয়া যাক- মনে করুন ‘ক’ একটা প্রভাবক। সে হয় ‘খ’ এর উপর ইফেক্ট করে তাকে ‘গ’ তে পরিণত করবে, অথবা করতে পারবে না।
যেমন অক্ষর দ্বারা গঠিত বাক্য কারো মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করবে যদি তিনি পূর্ব থেকেই বাংলা অক্ষর সম্মন্ধে জ্ঞাত থাকেন। তারপর তার জ্ঞাত ধরা যাক ‘খ’ কে প্রভাবিত করে তাকে ‘গ’ তে পরিণত করবে। এ ‘গ’ কে পরিবর্তিত তথ্য বলতে পারেন। আর অক্ষর জ্ঞান না থাকলে জ্ঞাত জ্ঞানের কোন পরিবর্তন আসবে না। এভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বস্তু জগতের কোথাও প্রভাবক; প্রভাবিত করা যায় না এমন (নন এফেক্টবেল) কোন কিছুকে প্রভাবিত করেছে তার কোন উদাহরণ নেই।
মহাজাগতিক যুক্তির প্রথম সুত্র বলে সবকিছুর পেছনে কোন কারণ আছে, এই যে ‘সব কিছু’ আমরা বলছি, তা আগে থেকেই বর্তমান আছে। বর্তমান নাই, এমন কিছুর পেছনে কোন কারণ নাই। কিন্তু স্রষ্টার সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা মহাজাগতিক যুক্তির প্রথম সুত্রের সিদ্ধান্তের বিপরিত বলছি। অর্থাৎ স্রষ্টা প্রভাবিত করেছে এমন কিছুর উপর যা আগে থেকে ছিল না। আপনার সিদ্ধান্ত আপনার সুত্রকে অনুসরণ করতে পারছে না।
এখানে এসে আপনি দাবী করছেন যে স্রষ্টা যাদুকরি কিছু একটা করেছেন, আসলে আপনি আপনার অজানাকে স্বীকার না করে ত্যানা প্যাচানি উত্তর দিলেন যার বস্তুগত কোন মুল্য নেই, এটা আপনার পূর্বের এবং পরের জ্ঞানের কোন পরিবর্তন আনবে না। তাসের উদাহরণটি দেখুন, তাসের সারি আগে থেকেই বর্তমান ছিল বলেই কিছু একটা ঘটতে পেরেছে, কোন একটা কারণ একটা ফলাফল বা পরিবর্তন এনেছে। এখানেই আমরা প্রভাবককে যা ইচ্ছা তাই বলে প্রত্যেকেই দাবী করতে পারি। কেউ বলতে পারি ঘোরার ডিম পাক, অথবা কেউ আল্লাহ পাক।
এবার ধর্ম গ্রন্থে বর্ণিত স্রষ্টার ধারনার এ গলদটা দেখানো যাক।
আমরা মানুষ আগে কোন কিছু করার ইচ্ছা করি, তারপর তা বাস্তবায়ন করি, নানান রকম প্রয়োজন আমাদের ইচ্ছা তৈরীতে সাহায্য করে, যেমন ক্ষুধা লাগলে খাদ্য গ্রহনের ইচ্ছা আমরা করি। আপনি ইচ্ছা করা থেকেই শুরু করুন। আমরা প্রথমে ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, ইচ্ছা হলে তারপর কর্মটা বাস্তবায়ন করি। ইচ্ছা না হলে কোন কিছু করেছি এমন উদাহরণ নেই। ইচ্ছার পর করা কর্মটি আবার সময়ের সাথে সম্পর্কিত।
অর্থাৎ আমরা সময় এবং ইচ্ছার উপর মুখাপেক্ষী। অথচ স্রষ্টা নাকি সকল কিছুর সৃষ্টি কর্তা। স্রষ্টার সৃষ্টির বাইরে অন্য কোন সৃষ্টি রয়েছে এমন কোন কিছু ধর্মানুসারীরা মানতে চান না। কিন্তু কুরানে এটাই বলা আছে যে যখন স্রষ্টা কোন কিছু 'ইচ্ছা' করেন, তখন বলেন ‘হও’ আর তা হয়ে যায়। এর কারণ কি? কারণ এটাই কি নয় যে আমরা আসলে জ্ঞানের বাইরে কোন কিছু বলতে পারি না।
তাই আমরা স্রষ্টাকে সময়ের সাথে সম্পর্কিত করে ইচ্ছার উপর নির্রভরশীল করে দিচ্ছি। ভাবছি স্রষ্টা আমাদের মতই ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এক সত্বা, যে চিন্তা করতে পারে এবং মানবীয় আবেগ অনুভুতি তার মধ্য থেকে উৎপন্ন হয়। আবার যুক্তির কাঠামোর বাইরে গিয়ে দাবী করছি যে স্রষ্টা কোন কিছুর মুখাপেক্ষী না। এক্ষেত্রে ধর্মতত্ববিদেরা অসংখ্য অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করে দেন। তারা এক মুখে বলেন যে মানুষ ইন্দ্রিয়ের বাইরে কিছু বলতে পারে না।
আবার নিজেরাই ইন্দ্রিয়ের বাইরের সত্য জেনেছেন বলে দাবী করেন। এই ‘ইচ্ছা করা’ বৈশিষ্ট আসলে কার? মানুষেরই তো? তাহলে কেউ যখন বলেন যে তাসের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট সুচক প্রশ্ন করা গেলেও মানুষের ক্ষেত্রে করা যাবে না, আবার মানবীয় বৈশিষ্ট যুক্ত স্রষ্টার কথা বলা হচ্ছে, এটা কি এক মুখে দুই কথা না? স্রষ্টার ৯৯টি নামের প্রতি লক্ষ্য করুন। একটাও ইন্দ্রিয় জ্ঞানের বাইরে না। সবকটাই কল্পনা শক্তির ভেতরে। মানুষ ঘুমায়, এটা তার দুর্বলতা, তাই মানুষ কল্পনা করেছে এমন এক স্রষ্টার যে ঘুমায় না।
অথচ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার প্রতি ধারণা থাকলে মানুষ এটা ভাবতো না। স্রষ্টা কি এমন একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা তৈরী করতে পারত না যা চালু করে দিয়ে সে ঘুমাতে পারত। এখন দেখা যাচ্ছে এক্ষেত্রে মানুষ স্রষ্টা থেকে শক্তিশালী। আমরা কম্পিউটারে গেইম খেলার সময় অটোসেভ করতে পারি, যাতে অটো-প্লেতে খেলা অবস্থায় সমস্যা হলে লাস্ট-সেভ থেকে আবার খেলতে পারি।
কার্যকারণ সম্পর্ক সুত্রকে আব্রাহামিক ধর্মে স্রষ্টার ধারণার পক্ষে ব্যাবহার করতে না পারলেও বিপক্ষে খুব জোড়ালো ভাবেই ব্যবহার করা যায়।
আমরা জানি প্রত্যেক ফলাফলের পেছনে কারণ আছে। এখন এই ফলাফলটা কি খোলা পথ, না বদ্ধ পথ? বস্তু জগতে এটা আসলে বদ্ধ পথ, যেমন খাদ্যচক্র, পানিচক্র থেকে নিয়ে শক্তির নিত্যতার সুত্র (ল অফ থার্মো ডাইনামিক্স) এ প্রত্যেকটা চক্রেই বিন্দু আছে, যে কোন একটা বিন্দু সরিয়ে নিলেই পুরো চক্রটা নাই হয়ে যায়। যেমন ক্ষুধা>খাদ্য সংগ্রহ>>খাদ্য গ্রহণ>খাদ্য শক্তিতে পরিণত করণ>শক্তির ব্যাইয়ের মাধ্যমে জীবন ধারণ>ক্ষুধা। এ চক্রের কোন একটিকে সরিয়ে নিলে পুরো চক্র ভেঙ্গে পড়বে। খাদ্য না পেলে জীবন বাঁচবে না, আবার জীবন না থাকলে খাদ্য লাগবে না।
খুব ভাল ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বস্তু জগতের সবকিছুই একটা চক্র তৈরী করার চেষ্টা করে। উপরের উদাহরণে দেখা যাচ্ছে কার্যকারণ সম্পর্ক সুত্র একটা চক্রের ভিতর কাজ করছে, অথচ আমরা বলছি স্রষ্টা এ চক্রের বাইরের কেউ। আমরা থারমোডাইনামিক্স এর সুত্র জানি, তবে মহাবিশ্বের পুরো চক্রটি আমাদের এখনো অজানা। হয়ত কোন একটা বিন্দু আছে যেটা সরে গেলে এ মহাবিশ্ব ঐ চক্রের মতই নাই হয়ে যাবে। তাই নাস্তিকতা হাজার রকম স্রষ্টার ধারণা বা সম্ভবনা গ্রহন না করে সবচেয়ে সৎ যে অবস্থান তথা ‘আমরা জানিনা’ এই অবস্থানটাই গ্রহন করে, আর আস্তিকেরা না জেনেও ত্যানা প্যাচায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।