জ্ঞানের সাগরের এক ফোঁটা জল এখনো গ্রহণ করতে পারিনি। তবুও নিজেকে সবজান্তা বলি। সকলকে কিছু জানাতে পারার জন্যই লিখে থাকি। সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু দাগ যা মানুষের মনে কেটেছে, সেগুলো রয়ে যাবে।
যেসব সন্তানেরা তাদের মায়ের বুক খালি করে অকালে প্রাণ হারিয়েছে, তারা আর কখনোই ফিরে আসবে না। সেসব মায়েদের সন্তানদের মাঝে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও কিন্তু আছেন।
পুলিশ হত্যাকারীরা কি একটুও ভেবেছেন, কেন তাঁদের মারছেন? তারা তো কোনো দোষ করেননি। তারা শুধুই নির্দেশ পালন করেছেন। সেটাই তো তাঁদের চাকুরি।
জামাত-শিবিরের এই উত্তাল, মারমুখী আচরনের কারনে বহির্বিশ্বের প্রত্যেকটা মানুষের মনে এই ধারনাটি কি জন্মাবেনা যে, ইসলাম ধর্মটাই সকল কিছুর মূল।
উত্তাল পরিস্থিতি শান্ত হবে। কিন্তু মানুষের মনে বদ্ধমূল হওয়া ধারনাগুলো কখনোই দূর হবে না।
সকলে দেখবে জামাত-শিবিরের সহিংসতা, যারা রাত-দিন ইসলাম-ইসলাম করে চেঁচাই।
ফলাফল? সবাই ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যাবে।
কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে পারবে না, এরা ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করছে। এই ধর্মের অবমাননা করছে। ইসলামকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। একজন মুসলমান হিসেবে আমি কখনোই তা মেনে নিতে পারি না।
এভাবেই জামাত-শিবির নাস্তিকদের ইসলাম বিরোধী কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে।
*ইসলাম ধর্মে কি বলেছে, কেউ নাস্তিকতা করলে জবাই করে হত্যা করতে হবে? আমাদের প্রিয় নবী(সঃ) কি বলে যাননি, কাউকে জোর করে ধর্মান্তরিত না করতে? তিনি কি বলেননি অপরের ধর্মকে সম্মান করতে?
*ইসলাম কি মসজিদকে কোনো স্বার্থান্বেষী দলের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে? মসজিদকে যুদ্ধের ঘাঁটি বানানোর অনুমতি জামাত-শিবিরকে কে দিয়েছে?
সেদিন যখন জুমা'র নামাজের পর অতর্কিত হামলা করল, টেলিভিশনে খবর দেখে মনে হয়েছিল, মাদ্রাসা ছুটি হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসছে।
*মাদ্রাসার নিচু ক্লাসের বাচ্চা ছেলেগুলোকে রাস্তায় নামিয়ে না দিলেই কি হয়না?
দেশ আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত। সকলের প্রতি অনুরোধ, চোখ-কান খোলা রাখুন। সেটাই করুন যা করতে আপনার বিবেক সাড়া দেই।
কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
যারা বলেন, রাজাকারদের বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা, রাস্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা মিথ্যা, সকল মথি-প্রমান মিথ্যা; তাদের বলি, মিথ্যা মামলায় বিচার করতে চাইলে সরকার অনেক আগেই করতে পারত। এত ঝামেলার প্রয়োজন ছিল না।
আর হ্যা, সাইদী সম্পর্কে অনেকের মনেই দুর্বলতা আছে। যারা তার ওয়াজ-মাহফিল শুনেছেন, তাদের সেই দুর্বলতা আরো বেশী।
তারা সাইদীরর অপরাধ বিশ্বাস করতে পারেন না।
ভেবে দেখুন, সাঈদী লম্বা একটা জীবন অতিবাহিত করেছেন। জীবনের প্রথম দিকে তিনি খুব খারাপ কিছু অপরাধ করেছিলেন। ধর্ষণ-হত্যা ইত্যাদি। জীবনের শেষদিকে হয়ত ভালো কিছু করেছেন।
কিন্তু তাই বলে যে তিনি প্রথম জীবনে করা অপরাধের শাস্তি পাবেন না, তা তো হয় না। সেই শাস্তিই তিনি এখন পাবেন। শাস্তিটি হল ফাঁসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।