আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যানজটে অচল মহাসড়ক

তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে সিরাজগঞ্জের বাইপাস পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকা। এই মহাসড়কে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া যানজট গতকাল রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টায় একটি দ্বিতল বাস বিকল ও একই স্থানে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে কয়েকটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সূত্রপাত হয়। যানজটের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত-শত যানবাহন আটকা পড়ে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানজটের কারণে তাদের ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা একই স্থানে আটকা থাকতে হয়েছে।

মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই সড়ক দিয়ে দেশের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। একইভাবে মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল ভোর থেকে ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বেড়ে যায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে। এতে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এই ফেরিঘাটের উভয় প্রান্তে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের দিকে যেসব যানবাহন যাচ্ছে, সেগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে আছে। আর চন্দ্রার পরে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার দিকে কোনো গাড়ি আসছে না বললেই চলে। মির্জাপুর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় একটি বাস বিকল হওয়ায় এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আমাদের মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, পরপর দুই দিনের হরতাল, ঈদ শেষে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটের ফেরিঘাটে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ফেরিঘাটের দুই পাশে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। গতকাল বিকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। ফেরিঘাটের দুই পাশে অনেক নারী ও শিশুকে পানি ও খাবারের অভাবে কষ্ট করতে হয়েছে।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।