আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

সকাল আটটার মিরপুর সড়ক। নিত্যনতুন ব্র্র্যান্ডের গাড়ি, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, বাস, রিক্সা ও ভ্যানে ঠাসা। কিন্তু সে অর্থে চলছে না কিছুই। ঠেকে ঠেকে এগুচ্ছে। কোথাও কোথাও জটলা, গাড়ি চালকদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, কোথাও কোথাও গন্তব্যে সময়মত পৌঁছাতে না পারার আশঙ্কায় আরোহীর কপালে চিন্তার ভাঁজ।

সকালের ঘণ্টা দুই-তিনেক রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার যানজট পরিস্থিতি বহু মানুষের কাছেই ‘অসহনীয়’।
শুধু যে রাজধানীর মিরপুর সড়কের এই হাল তা-ই নয়। যেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বেশি সেসব দিকে সকাল থেকেই শুরু হয় মানুষের ছোটাছুটি। দেখা গেছে, দিনের অন্যান্য সময়ের তুলনায় সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত দ্বিগুণ বা তিনগুণ মানুষ রাস্তায় নামেন। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক ২০০৯ সালে, ফাইনাল রিপোর্ট অন ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনটিতে উত্তরা থেকে শুরু করে ঢাকা ময়মনসিংহ রোড, প্রগতি সরণী, ডিআইটি রোড, টয়েনবি সার্কুলার রোড থেকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত; গাবতলী থেকে মিরপুর সড়ক, জহির রায়হান সরণী থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ারপোর্ট রোড, শহীদ তাজউদ্দীন সড়ক থেকে রমনা পর্যন্ত এলাকায় ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতি কেমন তার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে রাজধানীর কলাবাগানে ভোর ৬টা-৭ট পর্যন্ত দুই হাজার ৩৩৮ জন মানুষ চলাচল করে, ৭টা থেকে ৮টায় এই সংখ্যা হয় পাঁচ হাজার ৩১৬ এবং ৮টা থেকে ৯টায় এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ২৭৩ জনে। প্রায়ই একই চিত্র দেখা গেছে মতিঝিলে। এখানে সকাল ৬টা থেকে ৭টায় আবদুল্লাহর থেকে প্রগতি সরনী হয়ে মতিঝিল পৌঁছান এক হাজার ৩০৪জন, ৭টা থেকে ৮টায় পৌঁছান দুই হাজার ৩৫৮ জন। আর ৮টা থেকে ৯টায় এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৮৮৬ জনে।

 ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।