বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে মতিঝিল বা শাহবাগ যেতে কতক্ষণ লাগে? অথবা উল্টোদিকে বসুন্ধরা-কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে এয়ারপোর্ট রোড ধরে উত্তরা যেতে? দু'বছর আগে হলেও যে কেউ বলতো শাহবাগ বা মতিঝিল যেতে লাগবে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট, যদি একবার বাসে চড়ে বসা যায়। ওদিকে উত্তরার দূরত্ব বেশি, তবে রাস্তাটা ওদিকে একটু ফাঁকা বলে ঐ ৪০ মিনিটই বেশি। মৌচাক হয়ে কাওরানবাজার বা ফার্মগেট যেতে অবশ্য ৫ মিনিট বাড়তি লাগতে পারতো, মগবাজার আর বাংলামটরে লালবাতির পাল্লায় পড়ে। এখন? জবাবটা শুধু উপরওয়ালা জানেন। খুব জোর কপাল হলে ঠেলাধাক্কা দিয়ে একটা বাসে যদিও বা উঠে দাঁড়ানো যায়, দেড় ঘণ্টার আগে মতিঝিল বা শাহবাগ যাওয়া অসম্ভব, উত্তরা যেতে কখনো কখনো দু'ঘণ্টাও লেগে যায় অফিস সময়ে।
ফার্মগেট যদি যেতে চান মগবাজার হয়ে, ঐ দেড় ঘণ্টাই সর্বনিম্ন। আর অতি চালাক কারো যদি একটু ঘুরে যদি মহাখালী হয়ে যাবার কুবুদ্ধি হয়, গুলশান আর মহাখালীর প্যাঁচ পার হয়ে দু'ঘণ্টার আগে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। আর মহা দুর্ভাগা কারো যদি গাজীপুর বা মীরপুরের দিকে যাবার দরকার হয়, সারাদিনের রসদপাতি সাথে নেয়াই ভাল, সকালে বের হলে বিকেলের আগে সম্ভবত পৌঁছানো যাবে না।
দায়ী কে বা কি? এক কথায় বললে, ট্রাফিক জ্যাম, যানজট। তবে এখানে যাতায়াতের যে সময়ের হিসেবটা দেয়া হলো, সেটা হলো যদি বাস বা সিএনজি বা অন্য কোন যানবাহনে উঠে বসা যায় তবেই।
তার আগে প্রশ্ন হলো, আদৌ কোন বাহন পাওয়া যাবে তো? মানুষের সাথে প্রায় পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে চললেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না। লোকাল বাস, সিটি সার্ভিস সহ প্রায় প্রতিটা বাসই পরিণত হয়েছে মুড়ির টিনে, লোকজন বিনা প্রতিবাদে চড়ছে, তাও জায়গা হচ্ছে না। পুরুষরা ঠেলাগুঁতো দিয়ে তাও ৪-৫ টা বাস ছেড়ে হলেও একটায় উঠতে পারেন, মহিলাদের অবস্থা করুণ। সুযোগ পেয়ে সিএনজি-ট্যাক্সি-রিকশাওয়ালারা এখন রাজা-বাদশাহর পর্যায়ে উঠে গেছে, অফিস সময়ে যাত্রীদের করুণ আবেদনে আকবর বাদশাহ যদিওবা সাড়া দিতেন, এদের প্রাণে অতটুকু দয়া নেই। ভাড়ার কোন লাগাম নেই, যার যা ইচ্ছা হাঁকছে, উপায়ান্তর না দেখে তাতেই রাজি যাত্রীরা।
এরপরেও যখন যেতে রাজী নয়, বদমেজাজী কোন কোন যাত্রী দু'চার ঘা লাগিয়ে দিচ্ছেন, এরপর নরক গুলজার। একটা ব্যাপার নিশ্চিত, অফিস টাইমে তথাকথিত প্রলেতারিয়েত রিকশাওয়ালা বা সিএনজিওয়ালাদের কাজকারবার দেখলে স্বয়ং লেনিনও মার্শাল ল' জারি করে এদের শায়েস্তা করার উদ্যোগ নিতেন।
ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে এই যানজটে? এখানেও এক কথায় বলতে গেলে, অপূরণীয়। বাংলাদেশে যানজটের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে তেমন কোন জরিপ হয় না, তবে যেসব দেশে আমরা যানজট কম ভাবি, যেমন আমেরিকা, সেখানেই দেখা গেছে বছরে যানজটের কারণে ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশো বিলিয়ন-- না ভুল দেখছেন না-- কয়েকশো বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে? এটাও মনে হয় উপরওয়ালা জানেন।
এতো গেল আর্থিক ক্ষতির ব্যাপার, পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ভয়াবহ আকারে, শারীরিক ক্ষতিও কম নয়। বিশেষ করে, এখনকার ছোট ছোট শিশুদের দিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, বেশিরভাগের চোখে চশমা, হাঁপানি বেড়েছে মারাত্মকভাবে, সম্ভবত শ্রবণক্ষমতাও সমানুপাতিক হারে কমছে। আর ৮ ঘণ্টা অফিসের কর্মঘণ্টা, সাথে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা, এবং অনেকের জন্যই আরো বেশি সময় বেরিয়ে যাচ্ছে স্রেফ রাস্তায়। মেজাজের অবস্থা? বাদ দিন। যানজট একটা উন্নত শহরেরও কি অবস্থা করতে পারে, ব্যাংকক তার একটা বড় উদাহরণ।
ব্যাংককের শহরকাঠামো ভবিষ্যৎ উন্নতির কথা ভেবে তৈরি হয়নি, ফলে ব্যাংকক যখন এশিয়ান টাইগারে পরিণত হয়ে উঠতে লাগলো, আর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেল যানবাহন আর পরিবহণের চাহিদা, ভয়াবহ যানজটে নগরী প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে পর্যটন, সবকিছুতেই মারাত্মক রকমের বিরূপ প্রভাবের ঝক্কি সামাল দিতে থাইল্যান্ডের তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
এই অসহনীয় যানজটের কারণটা কি? সবাই জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তাঘাটের অপ্রতুলতার কথাই আগে তুলবে, জানা কথা। সেটা ভুলও নয়, এইটুকু দেশে এত মানুষ থাকলে, এবং শুধু রাজধানীতে কোটির উপর লোক জড়ো হবার কারণে, এবং তারচেয়েও বড় কথা, দেশের সমস্ত বড়সড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আর গার্মেন্টসগুলো ঢাকাতেই এনে জড়ো করার ফলে এ অবস্থা হবেই। আর লোকজন আসছেই স্রোতের মত, সব কাজকর্ম ঢাকাকেন্দ্রিক বলে ঢাকায় এলে রুজির একটা ব্যবস্থা হবেই সে গতর খেটে হোক বা মাথা খাটিয়ে, এটা সবারই বিশ্বাস হয়ে গেছে।
কিন্তু এরচেয়েও বড় যে কারণটা সহজে চোখে পড়ে না, সেটা হলো চরম অব্যবস্থাপনা, কি পরিবহণ ব্যবস্থার, কি ট্রাফিক ব্যবস্থার। বাকিটা পূরণ করে দিয়েছি আমরা, অর্থাৎ আমজনতা। কিভাবে? কয়েকটা উদাহরণ দেয়া যাক, নিজেদের দোষ ধরেই শুরু করি। শুরু করা যাক একটা মডেল নিয়ে। টিভি সেন্টার থেকে শাহবাগ ধরেই এগোনো যাক, বাকি রাস্তাগুলোর অবস্থা কমবেশি একই।
রাস্তাটায় প্রাইভেট গাড়ির স্রোত দেখলে কে বলবে বাংলাদেশ একটা গরীব দেশ? হাজারে হাজারে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি, গায়ে গায়ে লেগে, একটা মানুষ যাবারও জায়গা নেই। যেগুলো চলছে না, সেগুলো রাস্তার ধারে পার্ক করা। পার্কিংয়ের জায়গা নেই বলে সদর রাস্তায় দাঁড়ানো এই গাড়িগুলো দুই লেনেই অন্তত তিনভাগের একভাগ জায়গা খেয়ে দিয়ে একটা "বটলনেক" বা বোতলের গলার মত অবস্থার সৃষ্টি করেছে, ফলে ঐ জায়গা থেকে জট শুরু হয়ে সেটা পেছনে লম্বা হয়েছে। এখানে আবার বলে রাখা ভাল, এসব গাড়ির প্রায় কোনটাতেই ২-৩ জনের বেশী আরোহী থাকে না, জায়গার কি ভয়ানক অপচয়। যারা রাস্তা থেকে রিকশা তুলে দেয়া নিয়ে অস্থির, তারা আগে প্রাইভেট গাড়ি তুলে নেবার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়, কারণ একটা গাড়ি মোটামুটি ৪টা রিকশার সমান জায়গা নিয়ে যাত্রী নিচ্ছে চারভাগের এক ভাগ।
একইভাবে, হিসেব করে দেখা গেছে, একটা ডাবলডেকার যে পরিমাণ জায়গা নেয়, সেটা ৪টা প্রাইভেট গাড়ির সমান। একটা ডাবলডেকারে লোক ধরে মোটামুটি বসে গেলেও ৮০ জন, ৪টা প্রাইভেট গাড়িতে? সর্বোচ্চ ১৬ জন। তারপরেও দেখা যায়, একেকটা গাড়িতে হয়তো নবাবী চালে ১ জন বা ২ জন বসে যাচ্ছেন, আবার মাইক্রোবাস বা নোয়াহ গাড়ি বা বিলাসবহুল পাজেরো বা জীপগুলো জায়গা নেয় আরো বেশি, লোক কিন্তু সেই ২ জন বা ৩ জনই থাকছে।
এবারে একটু গণপরিবহণ বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের দিকে চোখ ফেরানো যাক। এগুলোই যানজটের সমাধান হবার কথা, কিন্তু অব্যবস্থাপনার জন্য এরা উল্টো যানজট বাড়াচ্ছে।
যেহেতু এই বাসগুলোর মালিকানা বিভিন্ন পক্ষের হাতে, কাজেই যাত্রী তোলা হয় প্রতিযোগীতা করে। ব্যস্ত ডিআইটি সড়কের দিকেই দেখা যাক, এমনিতেই যেখানে যানবাহনের তুলনায় রাস্তার ধারণক্ষমতা কম, সেখানে প্রতি মিনিটেই দু'টো তিনটে কোম্পানির পরিবহণ প্রায় পুরোটা রাস্তা আটকে যাত্রী তুলছে, পেছনে যে জট বেড়ে যাচ্ছে খেয়ালই নেই। ওদিকে যাত্রীরা সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছেন, সে-ও ঐ রাস্তার উপরই। কাজেই রাস্তার প্রকৃত ধারণক্ষমতার অর্ধেকও আসলে কখনো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
আমাদের পৌর কর্তৃপক্ষ, মানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ওদিকে রাজউক আবার আরেক চিড়িয়া।
যেখানে সেখানে বড় রাস্তার গা ঘেঁষেই মার্কেট বানানোর অনুমতি দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, ওদিকে অমন দানবীয় শপিং কমপ্লেক্সগুলোর কোনটার গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা আছে কিনা দেখার দরকাই নেই। ধরা যাক মৌচাক মার্কেট, সেখান থেকে মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ার আর কনকর্ড টুইন টাওয়ার, একটু এগোলেই কর্ণফুলী শপিং কমপ্লেক্স। উল্টোদিকে গেলে মগবাজারের দিকে আড়ং, বিশাল সেন্টার। কোনটারই পার্কিংয়ের জায়গা নেই, আর বড়লোকরা শপিং করেন বলে গাড়ি ছাড়া তাদের মান যায়, সেই গাড়ি আবার জনগণের রাস্তায় পার্কিং করে চরম যানজট বাঁধিয়ে "সরকার কেন যে এই জ্যামের কিছু করে না" বলে মুখখিস্তি করে এই দেশের যে কিছু হবে না সেই ভবিষ্যৎবাণীও করে যান। এই রাস্তার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়া হয়েছে বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্ক করতে দিয়ে।
চারদিক থেকে আসা ভারি যানবাহনের স্রোতে এমনিতেই বিপর্যস্ত এই মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থা যে এই বিশাল কম্প্লেক্স চালু হলে হাজার হাজার বাড়তি গাড়ির চাপে পুরোপুরি ভেঙে পড়বে, সেটা বুঝতে জনগণের কষ্ট হয়না, শুধু যেসব বিশেষজ্ঞের বোঝা দরকার, তারাই বোঝেন নি, বা বুঝতে চান নি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্য বলতে পারি, রাজউক বা সিটি কর্পোরেশনের কর্তা থেকে প্রকৌশলী পর্যন্ত সকলেই উপরি পাওনার হিসেব করতে করতে আর যা-ই হোক, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা আর প্রকৌশলবিদ্যা পানিতে ফেলে দিয়েছেন বহু আগেই। এরমাঝেই বসুন্ধরাতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মূল ক্যাম্পাস নিয়ে যাওয়াতে প্রায় দশ হাজার ছাত্রছাত্রীর ভিড়, সাথে আশপাশেরই গ্রামীন ফোনের হেড অফিস, সাথে ভিকারুন্নিসা আর স্কলাস্টিকার মত স্কুল মিলে কী অবস্থা, ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন।
আবার ফিরে আসি আমাদের, অর্থাৎ আমজনতার কর্মকাণ্ডে। যাত্রী এবং পথচারীরা মূলত যে ঝামেলাটা করে থাকেন, সেটাকে পরিবহণ প্রকৌশলের ভাষায় বলা হয় "সাইড ফ্রিকশান"।
এর মাঝে রাস্তার ধারে পার্কিং যেমন আছে, তেমনই আছে ফুটপাথ দখল করে রাখার ফলে মানুষজনের রাস্তা ধরে হাঁটা, এবং সাথে যোগ হয় রাস্তা দখল করে নানাবিধ নির্মাণ কাজ চালানো, নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা, রেন্ট-আ-কার বানানো বা বিভিন্ন দোকানের মেরামতির কাজ চালানো। তারউপরে আছে কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই "সাইড রোড" বা পার্শ্ব রাস্তা বের করে দেয়া, যেখান থেকে যখন তখন যানবাহন বের হয়ে শুধু রাস্তার জটই বাড়ায় না, দুর্ঘটনার আশংকাও থাকে ষোল আনা। আমাদের আরেক অবদান হলো রাস্তা পার হওয়া, বেশিরভাগ ব্যস্ত রাস্তাতেই ওভারব্রিজ নেই, যেখানেও আছে, সেখানেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অবশ্যই ট্রাফিক প্রবাহকে স্তব্ধ করে দিয়ে দৌড়ে-হেঁটে দলেবলে রাস্তা পার হতে আমাদের উৎসাহের কমতি নেই। কেউ যদি কখনো নিউমার্কেট বা ফার্মগেটের ওভারব্রিজের উপর উঠে নিচে তাকান, এই পার্কিং-জনতা-হকার-পথচারী মিলে যে বিশাল একটা গেরো লাগে সেটা খুব ভালভাবে দেখতে পাবেন। যেকোন ইন্টারসেকশন হলো যানজটের আরেকটা উৎস, ভিআইপি রোড বলে বিচিত্র একটা ধারণা চালু আছে এখানে, তাতে একদিকে লালবাতি জ্বলে মাত্র ১৫ সেকেন্ড, ওদিকে আরেক মাথায় আটকে রাখা হচ্ছে ৫-৭ মিনিট, লেজ লম্বা হচ্ছে, হোক, কার কি যায় আসে? গোলচত্বর বা রাউন্ডঅ্যাবাউট বানিয়ে একই সাথে সিগন্যাল গুলোর উন্নতি এবং সৌন্দর্যবর্ধনের একটা কাজও করা হয়েছিল এককালে, সমস্যা হলো, যারা পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলনা রাউন্ডঅ্যাবাউট বানালে কি বিশাল পরিমাণ জায়গার দরকার হতে পারে।
ফলাফল? আবারো যানজট, আমাদের জীবন অতিষ্ঠ করা।
[ আপাতত সমস্যা আর কারণ নিয়ে কয়েকটা কথা বলা হলো, নিশ্চিতভাবেই আরো বেশ কিছু ব্যাপার চোখ এড়িয়ে গেছে, কেউ যোগ করে দিতে পারেন। পরের পর্বে চেষ্টা করা হবে সম্ভাব্য কিছু সমাধান নিয়ে আলোচনা করার। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।