মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে সেগুলো ব্যবহার বাতিল করার পরিকল্পনা করেছে চীন। আগামী নভেম্বর মাস থেকেই এ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। এ ব্যাপারে বন্দিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর নির্ভশীলতা কমিয়ে বিকল্প উৎস থেকে এসব সংগ্রহ করতে মোট ১৫০টি হাসপাতালকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ এখন অঙ্গপ্রতঙ্গ দান করার একটি সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা করছেন। কয়েদির অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হাসপাতালগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চীনে পুনঃস্থাপিত অঙ্গপ্রতঙ্গের দুই-তৃতীয়াংশই কয়েদিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে ধারণা রয়েছে। এ কারণে চীনকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। মানবাধিকার সংগঠগুলো বলে থাকে, এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেকটা জোর করেই কয়েদিদের কাছ থেকে নেয়া হয়ে থাকে। কয়েদি হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত থাকায় তাদের বাধা দেয়ারও কোনো উপায় থাকে না। তাই সরকার এখন পর্যায়ক্রমে বন্দিদের কাছ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনছে।
হঠাৎ করে চীন সরকারের পক্ষে বন্দিদের ওপর থেকে নির্ভরতা বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ, সেখানে স্বেচ্ছায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার কোনো সিস্টেম গড়ে তোলা হয়নি। চীনের সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনতে নিম্ন আদালতগুলোকে নির্দেশ দেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলো।
সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, মাত্র ১০০০০ রোগীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্থানান্তর করা প্রয়োজন হয়। তবে এক হিসেবে দেখা গেছে, চীনে বছরে ৩০০০০০ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্থানান্তর প্রয়োজন হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।