এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আজ সিঙ্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ৬২ রানে হার মানেন বাংলাদেশের যুবারা। কাল সিঙ্গাপুরকে ৮ উইকেটে হারানোর পর আসল পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েই ব্যর্থতার পরিচয় দিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে সংগৃহীত শ্রীলঙ্কার ২৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ৪৭.৪ ওভারে ১৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের নির্জীব বোলিং মোকাবিলা করতে কোনো বেগ পেতে হয়নি লঙ্কান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের। উদারা জয়াসুন্দরে ও শেহান জয়াসুরিয়া ১৫৭ রানের জুটি গড়ে প্রথমেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন বাংলাদেশকে। জয়াসুন্দরে ৭০ ও জয়াসুরিয়া ৮৫ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলেন। উদ্বোধনী জুটি ভিত্তি গড়ে দিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বাকি ব্যাটসম্যানরা ঠান্ডা মাথায় খেলেই দলকে নিয়ে যান বড় সংগ্রহের দিকে।
বাংলাদেশের পক্ষে সাব্বির রহমান ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার।
তিনি ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪৪ রানের খরচায়। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নূর হোসেন ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন ৩০ রানের বিনিময়ে।
২৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল একেবারেই যাচ্ছেতাই। স্কোরবোর্ডে দলের পক্ষে কোনো রান না তুলেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। তবে রনি তালুকদার গতকালের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
৫৬ রান করে রনি রান আউটের দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে ভালো কিছু আশা করাই যেত। রনির পাশাপাশি লিটন দাস ৩৯, আসিফ আহমেদ ৩৬, মাহমুদুল হাসান ২১ এবং সাব্বির রহমান ১৪ রান করে লড়াইটা চালিয়েছিলেন প্রাণপণ। তবে লেট অর্ডারে খুব তাড়াতাড়িই আরিফুল হক (৫), নূর হোসেন (৩) ও দেওয়ান সাব্বির (৫) ফিরে গেলে লক্ষ্য থেকে ৬২ রান দূরেই থেমে যেতে হয় বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার পেসার চারিথ জায়ামপাথিই মূলত সর্বনাশটা করেছেন বাংলাদেশের। মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি জয় থেকে বঞ্চিত করেন বাংলাদেশকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।