অহহেলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গভবন ও জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণের রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবে হচ্ছে না। জাতির পিতার সমাধিসৌধের স্তম্ভ বেয়ে পানি পড়ে। এসব বিষয় নিয়ে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ”
বৈঠকে কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বিষয়টি তোলেন বলে নূর-ই-আলম জানিয়েছেন।
তবে ফজলে করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
বৈঠকে অংশ নেয়া সংসদীয় কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গভবনের দরবার হলের যেভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হওয়া প্রয়োজন সেভাবে হচ্ছে না। কার্পেটগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। বঙ্গভবনের আশেপাশের নর্দমাগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকে। বাগানের যত্ন যথাযথভাবে নেয়া হয় না।
”
এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে চাওয়া হলেও বৈঠকে থাকার তাদের প্রতিনিধি সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেনি, বলেন তিনি।
এই বৈঠকের বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গভবনের দরবার হলসহ অন্যান্য ভবনের এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারের রক্ষনাবেক্ষণ কাজ মানসম্মতভাবে দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মিরপুরের খালি ৩০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৩টি ফ্ল্যাট ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, কমিটির সদস্য মো. আব্দুছ ছাত্তার, আসাদুজ্জামান খাঁন, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, কে এম খালিদ, আজিজুল হক চৌধুরী এবং বেগম সাফিয়া খাতুন বৈঠকে ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।