আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গভবন যেখানে রাজাকারদের আমন্ত্রন জানিয়ে সেক্টর কমান্ডারদের বাইরে রাখে - সেখানে সামহোয়ার ব্যতিক্রম হবে কেন? ( ব্লগার আব্দুর রাজ্জাক শিপনের আহ্বানের জবাব)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

আজকের খবরটা দেখেছেন নিশ্চয়। ১৯৭১ সালের গনহত্যাকারী আল বদর বাহিনী প্রাদেশিক প্রধান মুজাহিদ আর বরিশালের চিহ্নিত রাজাকার সাঈদী যখন বঙ্গভবনে সহাস্যবদনে চা পান করছে....দেশটা স্বাধীন করে এই চা-চাক্রের আয়োজনকারী সরকারকে ক্ষমতায় বসে দেশ চালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন যে বীর মুক্তিযুদ্ধারা...সেই সেক্টর কমান্ডারগন বাইরে কোথাও সমাবেশ করছেন। এটা কি স্বাভাবিক? না, এটা হলো দেশটাকে উল্টে রাখা হয়েছে। বাড়ীর মালিক বাইরে আর চোরের বাড়ীর ভিতরের উতসব করছে। এর জন্যে বাংলাদেশকে অনেক মুল্য দিতে হয়েছে।

বোমাবাজি আর বিচারক হত্যা, রাজনৈতিক দলের সমাবেশে বোমা হামলা, মুক্তবুদ্ধির চর্চার সকল কেন্দ্রের উপর হামলা, হুমায়ুন আজাদ আর শামসুর রাহমানের উপর হামলা - সবই দেখতে হয়েছে। গনহত্যাকারীর রক্ষার জন্যে শহীদ জননীকে রাস্ট্রদ্রোহী মামলায় পড়তে হয়েছে। সেই উল্টোরথের যাত্রা কিছুটা স্থিমিত হলেও থেমে যায়নি... এই উল্টে থাকা সমাজেরই একটা অংশ হলো আমাদের ব্লগ সাম হোয়ার ইন ডট নেট। যেখানে নিপু রাজাকারের শিবির নিয়া পোস্টকে স্বাভাবিক মনে করা হয়। মুক্তিযুদ্ধা আর ৩০ লক্ষ শহীদকে অপমানের প্রতিবাদে কেউ যদি রাজাকারের বাচ্চাদের গালি দেয়...তাকে ব্যান করা হয়।

এটাইতো সমাজের বর্তমান অবস্থান। আর আমরা সাধারনরা কি হতাশ? মোটেও না। যারা পদার্থ বিদ্যার ইকুইলিব্লিয়াম থিয়োরীটা জানেন - তারা জানে কোন অসম সাম্যাবস্থা স্থায়ী হয় না। রাজাকাররা সামরিক শাসনের ঘোলা জলে কিছু মাছ শিকার করেছে...কিন্তু সেগুলো স্থায়ীত্ব কতটুকু? এইতো এখন সবাই জেগে উঠছে। নতুন প্রজন্ম জানছে - কারা পাকি হানাদারদের সাথে কসাইয়ের কাজ করেছে, কারা শহীদ মুনির চৌধুরীকে বাসা থেকে ধরে এনেছে।

কারা বাড়ি বাড়ি ব্লগ হলো একটা মালিকের। এখানে সাধারন ব্লগারদের নিয়ে ওদের মাথা ব্যথা নেই। থাকার কথাও না। মুল বিষয়টা হলো- এই ব্লগ কোন সময়ই মুক্তিযুদ্ধকে ওদের নীতিমালার অংশ হিসাবে বিবেচনায় আনেনি। বরঞ্চ কে কাকে গালি দিলো সেটাই মুখ্য।

যেমন ধরুন - যখন আমি দেখি মুক্তিযুদ্ধকে কেউ ভারতের কাছে পরাধীনতার প্রক্রিয়া হিসাবে একটা পোস্ট দেয়- সেটা যে ৩০ লক্ষ শহীদকে অপমান করা হলো সেটার বিবেচনায় আনার চেয়ে যখন সেই বিতর্কিত ব্লগারকে এই অপমানের প্রতিবাদে একটা গালি দেয় - তাহলে তাকে ব্যান করার বিষয়েই ব্লগমডুদের বেশ ততপর দেখা যায়। এটা অনেকটা পুলিশের প্রহারায় বাইতুল মোকারম থেকে মগবাজার পর্যণ্ত জামাতিদের মিছিলে মতো মনে হয় না? মডুরা জানেই না - হয়তো গালি দেওয়া ব্লগারের বাবা মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদদেরই একজন ... সমস্যাটা এখানেই...পরাজিত একদলকে তাদের পুরানো ততপরতা চালানোর সুযোগ করে দিয়ে বিজয়ীদের অপমানিত করার যে প্রক্রিয়া চলে আসছে ৭৫ এর পর থেকে ---তার বাইরে এই ব্লগ না। এটা বুঝতে হবে। আর সেই বুঝের মধ্যে থেকেই ব্লগিং করি ...করছি...করবো। (সাফল্য...বুড়া রাজাকাদের বানী এখন আর ব্লগে আসে না)।

ব্লগে একটা কমেন্ট দিয়েই শেষ করছি...খুব ভাল করে লক্ষ্য করুন। ভাষার মারপ‌্যাচে কতবড় কুতসিত কথি বলেছে গনহত্যাকারীদের সমর্থকরা। সুশীল ব্লগারদের দৃষ্টির অনেক নীচ দিয়েই এই কমেন্ট থেকে যাবে...নয় কি? একেমন দেখা বলেছেন : ২০০৭-১২-১৬ ০৩:৩৫:৫৪ দেখা যাক কেমন বিচার হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি রাজাকার যাদেরকে আপনারা দোষী সাব্যস্ত করতেছেন তাদের শরীরের একগাছা চুল ছিড়া দুরে থাক ধরার সাহস আপনারা যারা আগেই বিচার করে ফেলেছেন তাদের নেই। চ্যালেন্জ করলাম।

অপেক্ষা করতে থাকলাম সেই দিন ক্ষনের! কেমন? সবাইকে ধন্যবাদ, হ্যাপি ব্লগিং।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.