পুলিশ বলছে, বিরোধীদলীয় নেতা নিজে থেকেই গাড়িতে বসে ছিলেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারের আট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান।
১৮ দলীয় জোটের ১৯ জন নেতাকে নিয়ে গুলশানের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রওনা হন খালেদা জিয়া।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর বঙ্গভবনে পৌঁছায়। ওই সময় তিনি তার সাদা রঙের গাড়িতে বসে থাকলেও সঙ্গী অন্য নেতারা বঙ্গভবনে ঢোকেন।
বঙ্গভবনের ফটকের সামনে প্রায় ২৫ মিনিট ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের নিশান পেট্রল কারটিকে। এর ভেতরেই ছিলেন অফ হোয়াইট শাড়ি পরা খালেদা।
সোয়া ৬টার দিকে বঙ্গভবনের ফটক দিয়ে ভেতরে ঢোকে বিরোধীদলীয় নেতার গাড়ি।
বঙ্গভবনের সামনে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ উপকমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের সময় ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
“নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই তিনি বঙ্গভবন এলাকায় এসে পৌঁছান।
এখানে এসে তিনি নিজ থেকে অপেক্ষায় ছিলেন, আমরা কোনো (ঢুকতে) বাধা দিইনি। ”
খালেদা জিয়ার বঙ্গভবন এলাকায় পৌঁছনোর পর বিএনপির একদল নেতা-কর্মীকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে রাজউক ভবনের সামনে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আশরাফুজ্জামান বলেন, “গাড়িবহরের(খালেদার) আশপাশে কিছু কর্মী ছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। ”
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে চলমান সঙ্কটের মধ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনা করতে খালেদা জিয়া বঙ্গভবনে গেলেন।
নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারে দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন আট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথের পর সোমবার রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চান বিএনপি চেয়ারপারসন।
গত ২৪ এপ্রিল আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেয়ার পর তার সঙ্গে বঙ্গভবনে এটাই বিরোধীদলীয় নেতার প্রথম সাক্ষাৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।