ফরমালিন মানব দেহের জন্য খারাপ। ফরম্যালডিহাইড বা মিথান্যাল গ্যাসের ৪০% জলীয় দ্রবনকে ফরমালিন বলা হয় । ফরম্যালডিহাইড (H-CHO) এক ধরনের কার্বনাইল যৌগ । এটি একটি অতিকার্যকর জীবানুনাশক। প্রায় ৫০০ ডিগ্রি সে, তাপমাত্রায় উত্তপ্ত সিলভার অথবা কপার প্রভাবকের উপর দিয়ে মিথানল ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়।
ফরম্যালডিহাইড সাধারন তাপমাত্রায় একটি বর্ণহীন গ্যাস এবং একটি দাহ্য পদার্খ।
ফরমালিনের বৈধ ব্যবহার
পৃখিবীব্যাপী ফরমালিনের ব্যাপক ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। যুক্তরাস্ট্রের চ্যাম্পিয়ন এনসাইক্লোপিডিয়া এর তথ্যমতে ফরমালিনের ব্যাবহারের ক্ষেত্রগুলো নিম্নরুপঃ
১. বিশ্বের উৎপাদিত অর্ধেকেরও বেশি ফরম্যালডিহাইড ব্যাবহৃত হয় কাঠ এবং কনস্ট্রাকশন কারখানায় ।
২. ফেন্টাইরাইথ্রিল, হেক্সামিথাইল ইনটিট্রামাইন, বিউটানিডিয়ল তৈরীতে ।
৩. পোশাক শিল্পে, লোশন, সাবান, শ্যাম্পুতে ।
৪. মৃত দেহ সংরক্ষনে ।
৫. পার্টিক্যাল বোর্ড, প্লাইউড, ফাইবার বোর্ড, আঠা, কাগজের কোটিং, স্থায়ী প্রেস ফ্রেব্রিক তৈরীতে ।
৬. পশুপাখির খামারে জীবানু নাশক হিসেবে ।
৭. মাছের ছত্রাক এ প্রোটোযোয়া রোগের চিকিৎসায় ।
৮. রাসায়নিক শিল্পে ব্যাকেলাইট রামক প্লাস্টিক ও ফরমিকা তৈরীতে ।
৯. আয়না প্রস্তুতে বিজারক হিসেবে ও রন্জক দ্রব্যের কারখানায় ।
১০. মৎস ও চিংড়ি হ্যাচারীতে ।
১১. এছাড়াও ল্যবরেটারীতে প্রিজরভেটিব হিসেবে ।
মানব দেহে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব
ইকোসিস্টেম ও জনস্বাস্থ্যের জন্যে ফরমালিন সবচাইতে ক্ষতিকর যৌগ গুলির অন্যতম। ফরমালিন নিয়ে যারা কাজ করে তাদের নাকের প্রদাহ, শ্বাসকস্ট চর্ম প্রদাহ, অ্যাজমা ইত্যাদি উপসর্গ দেখাদেয়।
দীর্যমেয়াদে ফরমালিনের সংস্পর্শে কাজ করলে রক্তের লি ম্প্রোসাইট পরিবর্তন, নাশিকা টিস্যুতে মিউটেটিভ প্রভাব ঘটতে পারে। তাৎক্ষনিক সমস্যা দেখা না দিলেও যারা দীর্যমেয়াদে ফরমালিনের সংস্পর্শে আসলে মারাত্নক স্থায়ী সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৭৮ সালে (EPA)ফরমালিনের দীর্যমেয়াদে সংস্পশ মানবদেহের জন্যে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃস্টিকারী হিসেবে শ্রেনীবিন্যাশ করেছেন। National Cancer Institute, USA এর একাধিক জরিপে দেখা গেছে যারা দীর্যমেয়াদে ফরমালিনের সংস্পর্শে কাজ করেন তাদের ন্যাজল ক্যান্সার, ন্যাসোফোরিন্জিয়াল ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, ব্রেন ক্যান্সার ও ফুসফুস ক্যান্সার বেশি হয়। ফরমালিন DNA পরিবর্তনের কারন হিসেবে চিহ্নিত, যা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্যে একটি বিরাট হুমকি।
আর মেয়েদের ক্ষেত্রে গভস্ত ভ্রুনের অসাভাবিকতা, গর্ভপাত, মিসকারেজ, সহ প্রসাব জনিত জটিলতার সৃস্টি হয়। তাই গর্ভবতি মহিলাদের ফরমালিন নিয়ে কাজ করা নিশেধ।
উল্লেখিত স্বাস্থ্য ঝুকির পাশাপাশি ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য গ্রহনের কারনে অকাল মৃত্যু, কিডনি সহ নানান অঙ্গহানী ঘটতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ ফরমালিন মুক্ত খাদ্য গ্রহন করা। আর ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য দব্যে যাতে বাজার হতে অপসারন করা যায় এসব বিষয়ে কঠোর আইন ও এর প্রয়োগ করা অতি জরুরি।
এছাড়া BSTI ও ভ্র্র্র্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম দ্রুত, কার্যকরী ও সময় উপযোগি হওয়া একান্ত দরকার । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।