.
মধ্যযুগের পর মগজ বেচে দেয়া আমাদের মুসলিমদের পরবর্তি ইতিহাস ধরা খাওয়ার ইতিহাস। হাটু সম্বল করে বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চা আগায় না। সেই বোধটাও আমরা মেনে নিতে পারিনা। যেচে যদি কেউ আমাদের বুঝাতে আসে ব্যাপারটা, খেপে তেলে বেগুন হয়ে বুদ্ধির ঠুলি গোড়ালিতে নামিয়ে ঘাই ঘপাং শুরু করে দেই। আমাদের সমস্যাটা কি?? চোখে ধর্মের ছানি, কানে জাত্যাভিমানের বয়ড়া, মুখে প্রস্তর যুগের বোবাত্ব ... অথচ হাতে জিহাদের তরবারী নিয়ে আর কতকাল আমরা সভ্য দুনিয়ার ভারবাহী দুম্বা প্রজাতি হিসেবে হাস্যস্পদ থাকবো???
সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই সামহোয়ার ইন ব্লগ-এর কথাই ধরা যাক।
তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশের ইন্টারনেট সুবিধা প্রাপ্ত শিক্ষিত তরুনদের সমাগম এখানে। আশা করা স্বাভাবিক যে, এই সমাগমের তরুন'রা শিক্ষার আলো প্রাপ্ত এবং সভ্য, মক্তব, মাদ্রাসার জঙ্গি কিংবা পোটেনশিয়াল জঙ্গিদের থেকে তারা অনেক অনেক উন্নত, সভ্যতর আচরন করবে। একটা সময় পর্যন্ত অবস্থা তাই ছিল। উগ্র ধর্মছাগু আর হাটূ জ্ঞানের জেহাদী মোল্লারা আম ব্লগারদের প্যাদানীতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্লগ ছাড়তে বাধ্য হত।
আর এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ন বিপরীত।
ঠিক এই মূহুর্তের সক্রিয় ব্লগারদের সংখ্যার একটা বিশাল অংশ স্রেফ ধর্ম উম্মাদ ছাগু ক্যাটাগোরাইজড।
জ্বী আমি জানি আপনারা এই কথাটা শোনার পর কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আপনাদের জন্য কিছু নমুনা হাজির করি তাহলেঃ
১. ব্লগার হাসিব মীর নবী মুহম্মদের বহু বিয়ে ডিফেন্ড করার উদ্দেশ্যে একটা পোস্ট দেয়। তার উদ্দেশ্য সৎ ছিল। প্রিয় নবীর বিবাহ সংখ্যাধিক নিয়ে সাম্প্রতিক ব্লগ উত্তেজনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে নবীকে ডিফেন্ড করার জন্য কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেন।
তবে ঐ যে বল্লাম, ধর্ম উম্মাদ ছাগু শ্রেণীটার কথা। তারা কি পড়ল না পড়ল কে জানে, স্রেফ মুহুম্মদের বিবাহ ঘটিত টাইটেল দেখেই আক্রমন শুরু করে দিল, জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ল। কতটা রামছাগল হলে এরকম আচরন সমষ্টিগত ভাবে একটা শ্রেনী বা একটা ধর্মজাতি করতে পারে সেটা গবেষনার বিষয়। সত্যি কথা বলতে বিশ্ব মুসলিমের একটা সহজাত গুনাগুন খুব সহজেই প্রকাশিত হল এখানে।
কিংবা নিষিক্তের সরিয়ে ফেলা পোস্টটা, যেটাতে খুব নিরীহভাবে নবী মুহম্মদ (সা.)এর বিবাহ তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল।
শেষবার ৮০ টার মত মাইনাস দেখেছিলাম। অসংখ্য রিপোর্ট খাওয়া পোস্টটি টিকতেও পারেনি। কেন মুসলমানরা প্রিয় নবীর বহুবিবাহ নিয়ে এতটা হীনমন্নতায় ভোগে যে কি করছে না করছে ভেবে দেখারও সময় নেই, আগেই তলোয়ার বের করে ঝাপ দিতে হয়?
২. পরিবেশবাদী ঈগলপাখির সেই পোস্ট'টা মনে আছে আপনাদের? মধ্য রমজানের ঠিক সেহেরীর আগে প্রভার প্রথম ভিডিও নিতে কারা কারা ব্যাকুল আকুল আগ্রহে মেইল আইডি সোপর্দ করেছিল? শতর উপরে রিকোয়েস্ট ছিল, একজন মাত্র নাস্তিক পেয়েছি সেখানে, বাদ বাকি সব ঈমান্দার খাটি মোমিন মুসলমান। কেউ কেউ আবার ধর্ম রক্ষার জিহাদে অগ্রগামী সৈনিক।
৩. স্যাম্পল মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ।
ধর্ম রক্ষায় নিবেদিত প্রান জিহাদী।
এমনকি ধর্ম রক্ষায় সামহোয়ারইন ব্লগ নিষিদ্ধ করার দাবীও তুলেছেন কয়েকদিন আগে।
অথচ আজ বিকেলে এক নারী ব্লগার'কে কুৎসিত ইঙ্গিত করতে একটু দ্বিধা করেননি এই রামছাগলটি।
তাকে মানা করা হলে আরও কুৎসিত ভাষায় চালিয়ে যান তার ছাগ্লামী।
৪. নেপালের মসজিদের মিথ্যে অলোকিকত্বনিয়ে কম ব্লগ আসেনি।
কিন্তু এটার মত বিনোদন খুব কমই আছে। শেষ মন্তব্য পর্যন্ত পড়লে বুঝবেন বিনোদন কি জিনিষ। কয়েকটা পদার্থ বিজ্ঞানী রামছাগলের কাতারে নেমে এসেছেন স্রেফ ধর্ম ঢোল পেটাতে, এর থেকে উৎকৃষ্ট নমুনা আর কি হতে পারে! একটু কষ্ট করে ইউটিউবের মূল ভিডিওটির প্রথম দিককার কমেন্টগুলো পড়লে সমান বিনোদন পাবেন।
... .... ..... ....... ......... এভাবে শত শত উদাহরন দেয়া যাবে। জোগার করতে এবং পড়তে লেখক পাঠক দুই তরফেই কষ্টসাধ্য হবে বিধায় এ পর্যন্তই থাক।
প্রিয় মোমিন মুসমলান ভাই ও বোনেরা।
আমি নিধর্মী মানুষ। ধর্ম পার্থক্যের মধ্যযুগীয় প্রথাটি বাদ দিলে দিনশেষে আমরা ভাই ভাই। পরস্পরের শুভাকাংখি। না হলে, আপনি আমার দোজখ কামনা করতেই পারেন; কিন্তু একজন ভাইয়ের মত, শুভাকাংখি বন্ধুর মতো আমি বরাবরই চাই আপনার দুনিয়াবি জীবনের উৎকর্ষতা।
প্রাগৈতিহাসিক ভারবাহী হাস্যস্পদ দুম্বা বিশেষ হয়ে আর কত দিন চলবেন? আপনারা সভ্যতায় অচল। রামছাগল দিয়ে সভ্যতা গড়ে না। ধ্বংস হয়। আপনারা সে পথেই হাটছেন। নিজেদের ধ্বংস করবেন।
অন্যদের ক্ষয়ক্ষতি করেই করবেন। এবং দোষ দেবেনও অন্যদের। নিজেদের দোষ নিজে দেখার যে নুন্যতম ইচ্ছা শক্তি সেটা ক্ষয় করেছেন ধর্মছানি রোগে। তাই আমাকেও বলতে হচ্ছে যথেষ্ঠ রুক্ষ ভাষায়, এবং একটু খোলামেলা ভাবেই। নিজেদের সভ্যতার উপযোগী করতে কখনও দেরি হয়ে যায়নি।
তবে সময় এগুচ্ছে গুনিতক হারে। শীঘ্রই যদি আপনারা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি, দর্শন, স্পর্শকাতরতা, বুদ্ধিবৃত্তিক মনন, বিপক্ষের মতবাদের প্রতি সম্মান ইত্যাদিতে আমূল পরিবর্তন না আনেন, নিজেদের সভ্যায়ন না ঘটান, তবে নিচের ভিডিওর মোল্লার মতই হবে ইসলাম তথা মুসলিমদের সামগ্রিক অবস্থা। শুভ রাত্রি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।