আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেদিনের দৈনিকে আমার এই চিঠিটি ছাপা হয়েছিল কিনা জানিনা (শেয়ার পোস্ট)


প্রিয় ব্লগার বৃন্দ, পুরোনো মেইল দেখতে দেখতে এই মেইলটি পেলাম। ২০০৬ এর প্রথম দিকে একটি জাতীয় দৈনিকে আমার এই পত্রটি প্রকাশ করার আবেদন জানিয়েছিলাম চিঠিপত্রের কলামে। জানিনা আমার সেই চিঠিটি আদো ছাপা হয়েছিল কিনা। আজ প্রায় চারটি বছর পর সেই চিঠিটি প্রকাশিত হোক সামুর পাতায়..... মাননীয় সম্পাদক, আমার লেখাটি আপনার প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার পাঠকের চিঠিপত্রের বিভাগে প্রকাশ করে বাধিত করবেন। ধন্যবাদান্তে--- মো. ফারুক হোসেন।

দুবাই, ইউএই ১২/০২/২০০৬ আজ জ্ঞানের পথ, জানার পথ অবমুক্ত হয়েছে। দেশ থেকে দেশান্তরে পৌছে যাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি। বাংলাদেশ সামপ্রদায়িক ভ্রাত্বিত্তের একটি দেশ। এদেশের সবুজ ছায়া তলে ঘুমিয়ে আছেন হাজারও পীর-পয়গাম্বার, অলি-দরদেশ, সাধক, মনি-ঋষী-খোদা প্রেমিকগণ। পৃথিবী আজ নতুন পথে যাত্রা শুরু করেছে।

আধুনিক সভ্যতা স্থান করে নিয়েছে সর্বক্ষেত্র। তবে আমরা কেনো পিছিয়ে রইবো? আজ জ্ঞানের পথ পরিসর করতে ইন্টারনেট আবির্ভুত হয়েছে। জ্ঞানের পথ হয়েছে সার্বিক, সার্বজনীন। দুনিয়ার যে কোনো জায়গা থেকে যে কেউ শরীক হতে পারছেন সকল কর্মকান্ডে। আমার আজকের আহ্বান, আমাদের দেশে সূফি-সাধকদের জীবনী নিয়ে, তাঁদের জীবনের কর্মকান্ড নিয়ে ওয়েব সাইট খোলার।

এতে দেশ-দেশান্তরের মানুষ জানতে পারবে আধ্যাত্বিক জ্ঞানের কথা। অলিকুল শিরমনী হযরত গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী (র), হযরত শাহজালাল (র), হযরত শাহ পরান (র) এর মতো আরো হাজারো পীর-পয়গাম্বার ঘুমিয়ে আছেন বাংলার মাটিতে। আমরা প্রবাসীরা বা যারা দূরে আছি তারা দেখতে চাই, বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হোক অলিদের জীবনাদর্শ নিয়ে ওয়েব সাইট। আমার জানা মতে এরকম সাইট আছে বলে মনে হয়না। তাই ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দিতে ধীরে ধীরে আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন আমাদের জানা এবং জানানোর মাধ্যম গুলো।

এই কাজ গুলো করতে এগিয়ে আসতে পারেন সংশ্লিষ্ট আউলিয়াদের বংশধর বা ভক্তবৃন্দ। এতে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তবৃন্দ জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবেন। এর সাথে সাথে আধ্যাত্বিক চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার পথ সুগম হবে আধুনিক বিশ্বের অতিব্যস্ত মানুষগুলোর দ্বারে। আজ মানুষ ধর্মের পথ থেকে সরে গিয়ে অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে। খুন-খারাবি, অন্যায়-অত্যাচার বেড়ে যাচ্ছে।

ধর্মের নাম নিয়ে অধর্মকে বাস্তবায়িত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সঠিক জ্ঞান, যা সত্য, সুশ্রী তা হচ্ছে বিলুপ্ত। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে আমাদের সেই ইসলামকে উপস্থিত করা দরকার, সেই মানুষের বাণী, কর্মকান্ড প্রদর্শন করা জরুরী যে শান্তির বাণী শ্রবণে জাহেলিয়া যুগ হয়েছিল আলোকিত এবং দেশ থেকে দেশান্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শান্তির ধর্ম ইসলাম । আজ ইসলামের নামে কতিপয় লোক ভন্ডামী শুরু করেছে, তারা শান্তি বিলীন করে অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় সোনার বাংলার আনাচে কানাচে এই মুহুর্তে দরকার সঠিক জ্ঞানের সুক্ষ্ম লালন।

আমি আহ্বান জানাবো প্রতিটি আউলিয়াদের মাজার কতৃপক্ষের কাছে তারা যেনো এগিয়ে আসেন আধুনিক বিশ্বের মানুষের কাছে। আজ ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট ধর্মের পথে, জ্ঞানের সন্ধানে অত্যান্ত আবশ্যক। এগুলোকে যদি আমরা এখনো হারাম বা না জায়েজ বলি তা হলে হাস্যকর দেখাবে। বরং বিজ্ঞানের এসব নব নব আবিষ্কার জ্ঞানার্জনের অনেক উপকারী মাধ্যম। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা।

ভাষা হলো মানুষের কথোপকথনের মাধ্যম। ভাষার যে মাধ্যম সহজ-সরল ও বোধগম্য সেটাই উত্তম বলে বিবেচিত। বিদেশের মাটিতে পর ভাষাভাষী দেশে যখন ইন্টারনেট খুলে দেশীয় মায়ের ভাষায় জ্ঞানের পথে প্রবেশ করার সুযোগ পাবো; তখন হাজারো দূরত্ব এক পলকে ম্লান হয়ে যাবে। সঠিক পথ বেছে নিতে ভুল হবে না। সুতরাং আমি জোর আহ্বান করছি এবং আশা পোষন করছি অতি শীঘ্রই আমরা দেখতে পাবো http://www.maijvandarsharif.com, http://www.shahjalal.org, http://www.shahali.com ইত্যাদি ওয়েব পেইজ।

আমার আজকের আশা আগামী দিনে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হোক এই প্রত্যাশায়। মো. ফারুক হোসেন দুবাই গ্র্যান্ড হোটেল, দুবাই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।