গভীর কিছু শেখার আছে ....
ঈদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তারিনের সঙ্গে কথা হলো গতকাল বিকেলে-
বর্তমানে আপনার কোন কোন ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হচ্ছে?
না, আমার কোন ধারাবাহিক নাটক বর্তমানে প্রচার হচ্ছে না। তবে দুটি ধারাবাহিকে শূটিং করেছি সেগুলোর প্রচার হয়ত শীঘ্রই শুরু হবে। নাটক দুটি হচ্ছে গোলাম সোহরাব দোদুলের পরিচালনায় 'ক্যাফেটেরিয়া' ও বিপুল রায়হানের পরিচালনায় 'নেইলির হোটেল'।
নতুন কোন নাটকে কাজ করেছেন?
মাত্র তো ঈদ শেষ হলো, নতুন নাটকের কাজ এখনও শুরু করিনি। ঈদ-উল-আযহার নাটকের কাজের পাশাপাশি ধারাবাহিক নাটকের শূটিং শুরু করব।
ঈদের নাটক দেখেছেন?
ঈদে নিজের অভিনীত নাটক ছাড়াও অন্যদের নাটক দেখতে চেষ্টা করেছি। তবে বিরক্ত লেগেছে চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচারের সংখ্যা দেখে। তারা এক একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে এত বেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে যে একজন সাধারণ দর্শক হিসেবেও আমি খুবই বিরক্ত।
এবারের ঈদের নাটক সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?
এবারের ঈদে অল্প-বিস্তর যে কয়টি নাটকই দেখেছি তা দেখে আমার মনে হয়েছে নাটকগুলোর মাঝে কি যেন একটা নেই। হয়ত গল্পের দুর্বলতার কারণেও এমনটি মনে হতে পারে।
মোটকথা, মন ছুঁয়ে যাওয়া নাটক এবারের ঈদে আমার চোখে পড়েনি। তবুও এগুলোর মাঝে যে নাটকগুলো ভাল লেগেছে সেগুলো হলো কবি ও যন্ত্রর-মন্ত্রর, ব্রেকিং নিউজ, শায়লা, প্রকৃতস্থ প্রভৃতি। মোশাররফ করিমের নাটক যে কয়টি দেখেছি ভাল লেগেছে। বাংলাভিশনে প্রচারিত অপি করিমের একটি নাটকও বেশ ভাল লেগেছে।
ঈদে অনুষ্ঠানগুলোর মাঝে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমাতে চ্যানেলগুলোর প্রতি আপনার কি কোন সাজেশন আছে?
আসলে আমার সাজেশন কোন মূল্য তো চ্যানেলগুলো দেবে না।
এজন্য তারাই ঠিক করুক কিভাবে অনুষ্ঠানগুলোর মাঝে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমানো যেতে পারে। তবে একজন শিল্পী হিসেবে আমি বলতে চাই যে, আমরা যখন নাটক বা টেলিফিল্মে অভিনয় করি, তখন দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই কাজ করি।
এতো কষ্ট করে করা একটি কাজ যখন দর্শকরা কেবল বিজ্ঞাপনের অত্যাচারে না দেখেন তখন আমাদের কাছেও তা খারাপ লাগে। তাই চ্যানেলগুলোর উচিত বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমাতে নীতিমালা তৈরি করে তা অনুসরণ করা।
দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।