আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐশীর সুইসাইডাল নোট- নিশ্চিতভাবেই অন্যকারো তৈরী করে দেয়া

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই

ঐশীর সুইসাইডাল নোটকে ভুয়া বলে মনে হচ্ছে। মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে ভাষায় ঐ ধরনের দক্ষতা থাকা- নেশাগ্রস্ত, বেপরোয়া জীবনের অধিকারী, একটি তরুণী মেয়ের থাকা সম্ভব বলে মনে হয় না। ভাষায় ঐ ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হলে অনেক সাধনা করা প্রয়োজন, সবসময় যে মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডদের সাথে ডিজে ক্লাবে ঘুরে বেড়ায় সে সাধনা করার সময় কোথায় পেল। আবার যদি ধরেও নেই মেয়েটি আসলেই ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করেছে, তাহলে তাকে অবশ্যই আসতে হয়েছিল বাংলা সাহিত্যের কাছে- পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে সে নিশ্চয় ভাষায় ঐ ধরনের দক্ষতা অর্জন করেনি। বাংলা সাহিত্যের মান নিশ্চয় এত জঘন্য নয় যে, তার উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক পড়া একটি মেয়ে অবলীলায়, ঠান্ডা মাথায় খুন করে ফেলতে পারে।

আরেকটি বিষয় হল, আমরা যতদূর জানি- ঐশীর ধরনের একটি মেয়ে বাংলায় কথা বলার সময় যথেচ্ছ পরিমানে ইংরেজী শব্দ ব্যাবহার করে থাকে। এই অভ্যাসটা ঐ ধরনের মেয়েদের অনেকটা মজ্জাগত হয়ে গিয়েছে। অবাক করা বিষয় তার সুসাইডাল নোটে একটি ইংরেজী শব্দেরও অনুপ্রবেশ নেই। অতি সতর্কতার সাথে ইংরেজী শব্দকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, যাতে করে মার্জিত, বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে আস্থা স্থাপন কারী শহুরে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের মনে ঐশীর প্রতি একধরনের সহানূভূতি তৈরী হতে পারে সহজেই। সুইসাইডাল নোটে প্রচুর পরিমান ইংরেজী শব্দের অনুপ্রবেশ থাকলে এদের কাছ থেকে এই সহানুভুতি পাওয়াটা সম্ভব ছিল না, তারা ঐশীকে দূরের একজন কেউ মনে করত।

ঐশীর এই ভুয়া সুইসাইডাল নোটে কার কি লাভ হচ্ছে- কোন উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এটি তৈরী করা হয়েছে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না, তবে পত্রিকাগুলোর কাটতি যে বেশ বেড়ে গেছে তা নিশ্চয় করে বলা যায়। বাঙ্গালী সংস্কৃতি ধারন করে শহুরে মধ্যবিত্ত পত্রিকার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, ঐশীর ভুয়া সুইসাইডাল নোট পড়ার জন্য। ঐশীর সুইসাইডাল নোট বলে চালিয়ে দেওয়া রচনাটি যে তৈরী করেছে সে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, অনেক ভালমানের চিঠি-সাহিত্য তিনি রচনা করতে পেরেছেন। এই চিঠি সাহিত্যের ভেতরে আবেগের পারদের উঠা-নামা, যে দক্ষতার সাথে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তা এক কথায় অসাধারণ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।