আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টারভিউ : সালমা রোজী

গভীর কিছু শেখার আছে ....

প্রবাসী অভিনেত্রী সালমা রোজী। আমেরিকার ডালাসে বসবাস করেও নিয়মিত একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন। শর্ট ফিল্মেও অভিনয় করেছেন তিনি। মিডিয়া নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক কর্মকান্ডসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে এই আলাপচারিতায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবাসী এই অভিনেত্রীর ইন্টারভিউ নিয়েছি- এবারের ঈদে কোন্ কোন্ নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন? _এবারের ঈদের দ্বিতীয় দিন বৈশাখী টিভিতে 'স্ট্রিট সিঙ্গার' নামে আমার অভিনীত একটা টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে।

ফরহাদ হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় এই টেলিফিল্মটি গত বছর আমেরিকার টেক্সাসে চিত্রায়িত হয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী প্রিতম আহমেদ এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া ঈদের চতুর্থ দিন মারুফ রেহমানের রচনা ও শহীদুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় আমার অভিনীত 'ঝামেলা নন স্টপ' নাটকটি প্রচার হয়েছে। নতুন কি নাটকের কাজ করেছেন? _ লীনা ফেরদৌসের রচনা ও ফরহাদ হোসেনের পরিচালনায় 'আনা আনা পাই পাই' নামক একটি এক ঘণ্টার নাটক শেষ করেছি। আমার বিপরীতে ছিলেন হাসান মাসুদ।

হাসান মাসুদের বিপরীতে এটি আমার প্রথম কাজ। বাংলাদেশ থেকে কঞ্জুস প্রকৃতির একজন মানুষ ডিভি লটারি নিয়ে আমেরিকাতে এসে কি সমস্যায় পড়ে, তার কিছুটা নমুনা দেখানো হয়েছে এই নাটকে। কমেডিধর্মী নাটক 'আনা আনা পাই পাই' আগামী ঈদ_উল- আজহায় প্রচার হবে। তাছাড়া ফরহাদ হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় 'সেই কফি শপ' নামে আরেকটি টেলিফিল্মের কিছু অংশের শূটিং হয়েছিল কয়েক মাস আগে। আমার বিপরীতে ছিলেন টনি ডায়েস।

কিন্তু শূটিং-এর সময় টনি ডায়েসের বাবা মারা গেলে শূটিং স্থগিত হয়ে যায়। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই এটির শূটিং শুরু হবে। 'আনা আনা পাই পাই' ও 'সে কফি শপ'-এর শূটিং হয়েছে আমেরিকার ডালাস শহরে। মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন? _ মাত্র একটা মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছি। তবে আরও করার ইচ্ছে আছে।

তবে আমেরিকার 'অবাক থিয়েটার' ও 'ডালাস বাংলা থিয়েটার' এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় কম করছেন। কেন? _আসলে বিদেশে খুব বেশি ধারাবাহিক নাটকের শূটিং হয় না। তবুও কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি। হুমায়ূন আহমেদের 'অচিন রাগিনী' ও 'উড়ে যায় বকপক্ষী' ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি।

এছাড়া এ বছরের প্রথম দিকে এটিএন বাংলায় প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক 'যোজন যোজন দূর'-এও অভিনয় করেছি। ফিল্মে অভিনয় করছেন কবে নাগাদ? _ আমেরিকায় কয়েকটি শর্ট ফিল্মে কাজ করেছি। এগুলো হলো এন্থনি কলামাতির 'ইন্করাপ্টিবল অফ বেল এ্যান্ড ডেভন', ফরহাদ হোসেনের 'একজন আজমল হোসেন', আসিফ ইকবালের 'কঙ্কাল' প্রভৃতি। তবে বাংলাদেশে এখনও কোন ফিল্মে কাজ করা হয়নি। তবে সময় সুযোগ এবং চরিত্র পছন্দ হলে অবশ্যই করব।

মাঝে দেশে যাওয়ায় নার্গিস আক্তারের একটা ফিল্মে কাজ করার কথা ছিল, যার শূটিং শুরু হবে এই অক্টোবর থেকেই। কিন্তু আমি যেহেতু গত মাসে চলে এসেছি আমেরিকায়, তাই সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে করব। প্রবাসে থেকে বাংলাদেশী নাটকে কাজ করাটা মোটেই সহজ নয়। কিভাবে সম্ভব করছেন? _ খুবই সত্যি কথা।

এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং কষ্ট-সাধ্য ব্যাপার। শুধু মাত্র ইচ্ছা আর মনের জোরেই সেটা সম্ভব হয়। আমেরিকাতে নাটক নির্মাণ খুবই ব্যয়বহুলও। সব মিলিয়ে একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ, তারপরও করি। আর ফ্যামিলির সাপোর্ট থাকায় পারি, না হলে কিছুতেই সম্ভব হতো না।

আপনি তো আমেরিকা এবং বাংলাদেশ দু'জায়গাতেই নাটক করেছেন। কোথায় কাজ করতে আপনার বেশি ভাল লাগে? _ আমেরিকায় সুন্দর সুন্দর লোকেসনে কাজ করতে ভাল লাগে। কিন্তু অভিনয়ের আনন্দ ও সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশে অনেক বেশি। বাংলাদেশে অভিনয়ের সময় অভিনয় ছাড়া নিজেকে তেমন কিছুই করতে হয় না। কিন্তু আমেরিকাতে একজন শিল্পীকে অভিনয়ের পাশাপাশি একজন ক্রু মেম্বারের মতো সাহায্য করতে হয়।

প্রয়োজনে খাবার রান্না এবং সাপস্নাই দিতে হয়, নিজের মেকাপ-পোশাক নিজেকেই রেডি করতে হয়। ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? _ অবশ্যই অভিনয় করা। এছাড়া বাংলাদেশী হাউস ওয়াইফদের জন্য ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজের একটা ভিডিও এ্যালবাম করার ইচ্ছা আছে। যারা সময়ের অভাবে অথবা খরচের জন্য জিমে যেতে পারেন না, তারা ঘরে বসেই এই ভিডিও দেখে এক্সারসাইজ করতে পারবেন। দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।