আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে



একদিন তুমিহীন ভাবনারা ছিলো মুহূর্ত পলক অনড়,অটল। স্বপ্নেরা ছিলো বর্ণহীন। একদিন তুমি ছিলে প্রতি কবিতা-গানের ছত্রে ছত্রে, পাতায় পাতায়। হাসি-তামাসা, গানে-গল্পে সময় উড়ে যেতো পঙ্খীরাজের ডানায় চড়ে। কত শত পল, ক্ষণ , মিনিট, ঘন্টা বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী নদী হয়ে।

নদীর স্রোত আর সময় কখনও ফেরেনা। তুমিও ফেরোনি। না ফেরার যথেষ্ঠ কারণ ছিলো আর কারণ গুলোর মূলে নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই দায়ী করা যায়না। সেসব আজ শুধুই স্মৃতি। জীবনের সোনালী সময়।

সেই যে একদিন ছিলো, একে অন্যের মাঝে বুঁদ হয়ে থাকা। শুধু দুজনে মিলেই একটা পৃথিবী। সেই পৃথিবীতে আর কারো অস্তিত্ব ছিলোনা। ছিলোনা প্রবেশাধিকার কোনো ভয় ভীতি বা লজ্জার। যেখানে আর কিছুর প্রয়োজন ছিলোনা।

মধুকর গুন্জরিত প্রহর কেটে যেত গুন গুন সমীরণে। তবুও একটাসময় সেই মুখর পৃথিবী স্তব্ধ হলো। তারপর শুরু এক পৃথিবী অভিমানের পালা। অভিমানের মেঘে মেঘে হাসিখুশী সূর্য্যমুখি আকাশটা ধুসর হলো। ধীরে ধীরে গাঢ় গুমোট অন্ধকারে ছেয়ে গেলো চারিদিক।

জমাট বাঁধা সে অন্ধকারে বার বার হোঁচট খেয়ে চলা। নিজের মনে গুমরে মরা তবুও কি এক অপ্রতিরোধ্য জিদ শিশুর মত হাত ধরে পথ চলায়। সঙ্গ দেয় প্রতিনিয়ত। রক্ত ঝরে আখিপল্লবে, চৌচির হয় পদাঘাতে রুক্ষ কঠিন ধরাতল। তবুও বিরামহীন, ক্লান্তিহীন কিসের এক অবজ্ঞা।

অন্ধ মোহগ্রস্ত নিশিপাওয়া বালিকার মত সামনে এগিয়ে চলি। দূরে থেকে দূরে সরে যাই। একের পর এক দিগ্বীজয়ের নেশা । চারিদিকে মাতামাতি। সাথে শুধুই অবজ্ঞার অভিনয়।

হ্যা অভিনয়ই বলবো তাকে। কারণ তোমাকে ভুলতে গিয়েই বার বার তোমাকে মনে করে ফেলি তোমাকে ভালো না বাসতে গিয়েই বার বার তোমাকে ভালোবেসে ফেলি। দুরত্ব বাড়ে। সুক্ষরেখা এঁকে যায় স্মৃতির সাতকাহন। জোর করে স্মৃতির ঝাঁপি বন্ধ করি, অভ্যন্তরে ফনাতোলা ছোবলোদ্যত ক্রোধন্মাদ গোক্ষুর।

তাকেই করি বশীকরণ প্রচেষ্টা। তারপর একদিন সব অভিমান, অপমান ভুলে তুমি ......... তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে........ ভেঙে যাই আমি। বরফ গলা জল নামে আমার দুচোখ বেয়ে। নদী হয়ে যায় আমার এ পাথর দুটিচোখ। চোখের জলে বন্যা।

বাঁধভাঙা জোয়ারে প্লাবিত হই আমি.......... ছোট্ট ডিঙ্গিনৌকা বেয়ে, সাতরে আসো তুমি অভিমানী বন্ধু আমার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।