সোমবার রাতে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
দলের স্থায়ী কমিটি ও ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিরোধী দলের আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করেন খালেদা জিয়া। সকালে সংবাদ সম্মেলনে তা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি ঘোষণার পর বিকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশে যোগ দেন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে ফিরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে তৃণমূল পর্যায়ে দলের শক্তি জোরদার করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর শুরু করার নির্দেশ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
১৮ দলীয় জোটের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা সফর করবেন। ৭৫টি রাজনৈতিক জেলা সফরের জন্য ৫৬টি কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনমত সংগঠিত করতে আগামী এক মাসে রাজধানী ঢাকাসহ আট জেলায় জনসভা করবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
খালেদা জিয়ার প্রথম জনসভা হবে ৭ সেপ্টেম্বর নরসিংদীতে।
এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে, ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুরে, ২২ সেপ্টেম্বর খুলনায়, ২৮ সেপ্টেম্বর বরিশালে ৫ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করবেন তিনি।
কোরবানির ঈদের পরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে জনসভাও করবেন খালেদা। ওই জনসভার তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান ফখরুল।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার ‘এক চুলও’ নড়বে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণার পরদিন বিএনপির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে বক্তব্যে খালেদা জিয়া ‘আস্ফালন’ না করে নির্দলীয় সরকারের বিল সংসদে তুলে তা পাস করতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “দেশের ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এখনো সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের বিল পার্লামেন্টে এনে তা পাস করুন, দেশে অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।