সত্যানুসন্ধিৎসু
অ্যানথ্রাক্সের বদৌলতে এবারের ঈদে সারাদেশে মাত্র এক দিনে ৮,০০,০০০ গরু ও এক লাখ ছাগলের জীবন রক্ষা পেলো। এপর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা যায়, অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে শ'দুয়েক গরু ও শ খানেক ছাগল মারা গেছে। কোনো মানুষ মরেনি। এই ক্ষতি তেমন উল্রেখযোগ্য কোনো ক্ষতি বলা যায় না। ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রতি পরিবারে গড়ে ৫জন সদস্য এবং পরিবারপ্রতি ২ কেজি গোশতের হিসাবে গরু-ছাগলের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে।
আজ রাত ৮টায় এলাকার কাঁচা বাজারের সবগুলো কসাইয়ের গোশতের দোকান বন্ধ দেখে এ ধারনাই জন্মেছে আমার।
প্রতি ১০ দিনে আরো ৮ লাখ করে গরু ও এক লাখ করে ছাগলের প্রাণও রক্ষা পাবে। "অ্যানথ্রাক্স আতংক" কতদিন চলবে কে জানে! তবে এটুকু বলা যায়, এই রোগের প্রাদুর্ভাবে আমাদেরকে গোমাংস ভক্ষণে একদিকে যেমন সংযমী হতে বাধ্য করেছে, অন্যদিকে অপব্যয় না করার ফলে এবং রাজনীতির ভুয়া বোলচালে বিভ্রান্ত না হয়েও আমাদের গ্রামীন অর্থনীতিতে কিছুটা অবদানের ব্যাপারও আছে এতে।
জীবনের সব ক্ষেত্রে এভাবে যদি সংযমী হতে পারতাম তবে গর্ববোধ করার মত কিছু একটা করতে পারতাম বলেই মনে করি। বাংলাদেশের উন্নতি হতে বেশিদিন লাগতো না।
সম্পদের পাহাড় জমতো।
যাক গে। এবার কল্পনা থেকে বাস্তবে আসি। ঈদের কয়েকটি অতিপরিচিত লোভনীয় খাবারের ছবির প্রতি চোখ বুলাই:
কমন সেমাই
কমন লাচ্ছা সেমাই
শুকনো সেমাই
কোপ্তা পোলাউ
কাবুলি পোলাউ
ফ্রায়েড বিফ
ফ্রায়েড চিকেন
খাসির বিরিয়ানী
চিকেন টিক্কা
গোশত-সাদাভাত
খাসির গোশতের তরকারী
ভাজা ইলিশ
টমোটো সালাদ
মিক্সড সালাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।