আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবারের মতো শেষ হলো বইমেলা

www.nationalnews.com.bd

গত এক মাসের প্রাণের উচ্ছ্বাস এবারের মতো শেষ হলো। রোববার অমর একুশের গ্রন্থমেলার শেষ দিনে প্রাণের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। শেষবারের মতো এবারের মেলায় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের প্রচণ্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। শেষ দিন ঢাকার বাইরে থেকেও অনেকে মেলায় এসেছিলেন। কেরানীগঞ্জ থেকে আসা জ্যোতি দাস শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, আমাদের প্রাণের মেলায় আবারো হয়তো এক বছর পর আসব।

আশা করি ততদিনে আরো নতুন নতুন বই কিনতে পারবো নতুন বইয়ের প্রতি আগ্রহের পাশাপাশি পুরোনো অনেক বই এবারের মেলায় বেশ চলেছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। তবে এবারের মেলায় লেখকরা বসার জায়গা নিয়ে বাংলা একাডেমীর সাথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। তারপরও একদিন বৃষ্টির হানা বাদে এবারের মেলা ছিল প্রাণবন্ত আর মুখরিত। রোববার বিকেলে মেলার মূল মঞ্চ রবীন্দ্র মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমীর সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা ভাষণ দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১০-এর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১০ এর সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমী পরিচালক শাহিদা খাতুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সেরা গ্রন্থের জন্য বিজয় প্রকাশের মেঘমল্লার, সুর্বণ প্রকাশনীর মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র এক এবং পাঠক সমাবেশের শহীদুল্লাহ জহির স্মারক গ্রন্থকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার দেয়া হয়। এ ছাড়া স্টলের অঙ্গসজ্জার জন্য সেরা তিনটি স্টলকে সরদার জয়েনউদ্‌দীন স্মৃতি পুরস্কার দেয়া হয়। স্টল তিনটি হলো UBU¤^i, কথাপ্রকাশ এবং মাওলা ব্রাদার্স। গ্রন্থমেলায় সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ ক্রয়কারী হিসেবে নজরুল ইসলামকে পলান সরকার পুরস্কার দেয়া হয়।

এছাড়াও গ্রন্থ ক্রয়কারী হিসেবে ডা. ফাতেমা আমিনকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। বইমেলার শেষ দিনে প্রকাশিত হয়েছে নতুন ৯৪টি বই। এরমধ্যে গল্প ২৫টি, উপন্যাস ৮ টি, প্রবন্ধ ১১ টি, কবিতা ২৩ টি, ছড়া ২ টি, শিশুতোষ ৭ টি, জীবনীমূলক ৫ টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ২ টি, নাটক ১ টি, রাজনীতি বিষয়ক ১ টি, কম্পিউটার ১টি, রম্য/ ধাঁধা ১ টি, ধর্মীয় ১ টি এবং অন্যান্য ৬টি। এবারের বইমেলায় মোট নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৪টি। এটা গতবারের চেয়ে ৬১৩টি বেশি।

এবারে সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই (৮০৭টি)। দ্বিতীয় স্থানে আছে উপন্যাস (৫৮১টি) এবং তৃতীয় স্থানে আছে গল্পের বই (৩৭৮টি)। এবারে সবচেয়ে হতাশার বিষয় হচ্ছে সীমিতসংখ্যক শিশুতোষ বই প্রকাশ। যার সংখ্যা মাত্র ১২৯ টি, যেখানে গতবার ছিলো ২১২টি। এবারে বইমেলায় প্রায় ৭০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।

শনিবার পর্যন্ত মেলার মোট ৬৫, লাখ ৪৪ হাজার ৯০৬ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গতবার মেলার শেষ দিন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিলো ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৩২৩ টাকার বই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.