বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।
আমি সারা দেশের অন্যান্য বেসরকারী কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে একজন। অত্যন্ত সুখের(?) সাথে জানাচ্ছি যে, শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক গতকাল বেতন ভাতা ব্যাংক হতে তুলতে পারিনি, সারা দেশে আমার মতোই হতভাগা হাজার হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন উত্তোলন সম্ভব হয়নি। আমাদের স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের মহান ব্যবস্থাপক গতকাল আমাদের কলেজের করণীককে বেলা ২.৩০ মিনিটের সময় বেতন ভাতার বিল জমা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং দুর্ব্যহার করে উন্নাসিকতা প্রকাশ করেন।
সারা দেশের মানুষ ঈদের কেনাকাটা করছে, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, কিছুই করার নেই। চাল, ডাল হয়তো বাকীতে পাড়ার দোকানদারের নিকট থেকে নিতে পারব কিন্তু ছেলেমেয়ের সখের কাপড় তো আর বাকীতে কেনা যাবে না, এমনকি বউয়ের পছন্দের শাড়িটি হয়তো ফুড়িয়ে যাবে-আমার আফসোস হয়তো এক সময় হতাশায় রুপ নিবে, আমার পক্ষে কেমন করে খুশীতে ঈদ উদযাপন সম্ভব হবে?
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি কি জানেন, আমরা বিগত এক বছর যাবত নিয়মিত তারিখে বেতন ভাতা তুলতে পারি না। কেন পারি না, তা বলতে পারব না। আমার মতো মফস্বলে থেকে শিক্ষামন্ত্রণালয় বা অর্থ মন্ত্রণালয়ে কারা বসে আমাদের ভিক্ষা স্বরূপ প্রতি মাসে বেতন বিল তৈরী করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে প্রদান করে তা আমাদের জানা নেই। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি নির্দেশ দিলেও রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখতে বললেও আমাদের মহান ব্যবস্থাপক কেন দুপুর আড়াইটায় আমাদের করণীককে ফেরত দিল আমাদের জানা নেই।
প্রতি মাসে বেতনের জন্য আমরা চাতক পাখির মতো পত্রিকার পাতায় চেয়ে থাকি, তারপর আবার ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এখন বলুন আমরা কার কাছে যাব, ছেলে মেয়েদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। আমাদের জন্য কেন ঈদ নামক এই দিনটি আসে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।