বাঙ্গাল মানুষ
১২ ফুট লম্বা অজগর সাপটি কাঁঠালগাছে উঠে পাখির ছানা শিকার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। সাপের আক্রমণে আতঙ্কিত পক্ষীকুলের কিচিরমিচির শব্দে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে কাঁঠালগাছের নিচে। তারপর মানুষের আক্রমণের শিকার হয় অজগরটি। লাঠি আর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাপটি আধামরা হয়ে যায়। পরে ছুটে আসা কয়েকজন এগিয়ে আসেন সাপটিকে রক্ষা করতে।
তাঁরা সাপটিকে সুস্থ করে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের মধ্য গিলাবাদ গ্রামবাসীর হাতে আটক হওয়া ১২ ফুট লম্বা অজগর সাপটি দেখতে এখন মানুষের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। রবিবার দুপুরে গিলাবাদ গ্রামের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সাপটি ঘিরে মানুষের জটলা। এ সময় ওই বাজারের দর্জি ব্যবসায়ী মাওলানা আবদুল ওহাব আহত অজগরটির সেবা শুশ্রূষা করছিলেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তাঁর বাড়ির বাগানের কাঁঠালগাছে পাখির অদ্ভুত কিচিরমিচির শুনতে পান।
সেখানে গিয়ে কাঁঠালগাছে সাপ দেখে গ্রামবাসীকে নিয়ে সাপটি পিটিয়ে মারার চেষ্টা করেন। সাপটিকে মৃত ভেবে টেনেহিঁচড়ে গ্রামবাসী স্থানীয় গিলাবাদ বাজারে নিয়ে আসেন। বিশাল সাপের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেলের দিকে সাপটি নড়েচড়ে ওঠে। এ অবস্থায় গ্রামবাসীর কয়েকজন সাপটি বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন।
স্থানীয় কৃষক জয়নাল লাহাড়ি (২৭) বলেন, সাপটির জন্য আমাদের মায়া হচ্ছে। কিন্তু আহত সাপের চিকিৎসা তো আমাদের জানা নেই। শুনেছি চিড়িয়াখানায় সাপ বাঁচিয়ে রাখা যায়। সেখানে সাপটি পাঠাতে পারলে হয়তো সেটি বেঁচে যেত।
গিলাবাদ বাজারের বাসিন্দা বৃদ্ধ হাকিম লাহাড়ি (৮০) বলেন, জীবনে এই গ্রামে এত বড় সাপ আমি দেখিনি।
সাপটি চিড়িয়াখানায় কিভাবে পাঠানো যায় তার দাবি করেন এই বৃদ্ধ।
সাপটির সংরক্ষণকারী গিলাবাদ বাজারের দর্জি ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব বলেন, সাপটি প্রথমে শক্র ভেবে মেরে ফেলতে চেয়েছি। অথচ এখন এটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। তবে সাপটির যথাযথ চিকিৎসা ও খাবার দিতে না পেরে খারাপ লাগছে।
সূত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।