আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি কালো ইতিহাস, একটি অজগর নিহত ১০ অজগর সক্রিয় (প্রশাসন কোথায় থাকে????)

জনগণের আত্মা... ১৯৯৬-৯৭ সালের ঘটনা। বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসিন ছিল বর্তমান সরকার গঠনকারী ১৪ দলীয় ঐক্য জোটের তথা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সে সময় চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার একটি গ্রামের একদল ছাত্র সমাজ রাজাকার, আলবদর এর দোসর তৎকালীন জামায়াত ইসলামী’র চট্টগ্রাম মহানগরের আমীর শাহাজাহান চৌধুরী এর প্রদর্শিত অন্ধকার পথে পা দেয় তাদের বিপরীত গ্রুপ হিসেবে ছিল ছাত্রলীগ তথা গোলাম হোছেন গ্রুপ। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৩ (চন্দনাইশ) ও ১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের এম.পি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন কর্ণেল অব: অলি আহাম্মদ যিনি সে সময় সাতকানিয়া থানার রাজনৈতিক, যোগাযোগ, অবকাঠামোগত ও শিক্ষার অধপতনের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী। তখনকার চট্টগ্রাম-১৪ আসনের এলাকার (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) রাস্তা ঘাট ও অবকাঠামোগত অবস্থা দেখলে কারো মনে হতোনা যে, কোন মানুষ অত্র এলাকার উন্নয়নে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।

এই অরাজকতার কালে এরই মধ্যে জামাত সমর্তিত একদল ছাত্র রূপ নেয় সাতকানিয়া তথা চট্টগ্রামের এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী গ্রুপে যার নাম "আহামুইদ্যা গ্রুপ"। এই গ্রুপের জন্ম হয় সাতকানিয়াতে । পাঠক, শুনে অবাক হবেন কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় সহস্রাধিক হত্যা কান্ড যার কোন বিচার নেই... বিচার নেই সাতকানিয়া থানার ৬নং এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরূল কবির হত্যার, যাকে আহমইদ্যা গ্রুপ এর স্বসস্ত্র বাহীনি অমানবিক ভাবে হত্যা করে সাতকানিয়ার এওচিয়ার টেক নামক স্থানে। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর জামায়াতের হাত ধরে এই গ্রুপ চট্টগ্রাম-এ চাঁদাবাজী, খুন, লুটতরাজ সহ করেনি এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড খুবই কম আছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড গুলো জনসাধারণের কাছে জ্ঞাত, কিন্তু জান হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খূলেনি এদের বিরুদ্ধে।

যে মূখ খোলার চেষ্টা করেছে, তাকে বিদায় নিতে হয়েছে পৃথিবী থেকে, উদাহরণে বলতে পারি সাতকানিয়ার কয়েকটি হত্যাকান্ডের কথা- ** ৬নং এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির হত্যা। (গোলাম হোসেন গ্রুপের আত্মপ্রকাশ) ** কাঞ্চনা ইউনিয়নে ইউসূপ কাদেরী হত্যা। ** ৬নং এওচিয়া ইউনিয়নের যুবক ইয়াছিন হত্যা। ** কাঞ্চনা ইউনিয়নের হাফেজ আহমদ হত্যা। সহ আরো নাম অনেক হত্যাকান্ড, যা আহমুদ্যা গ্রুপের সক্রিয়তায় ঘটিত হয়।

যে গুলোর সাতকানিয়া থানায় মামলা হলেও সে গুলোর কোন সুরহা নেই। কথা হচ্ছে কেন নেই…? সেই গ্রুপের অন্যান্য কর্মকান্ড গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যbr /> ** চট্টগ্রাম সিটির মুরাদপুর সংলগ্ন আছিয়া কলোনী দখল। এই দখলদারী সন্ত্রাসীরা আছিয়া কলোনী থেকে শতাধিক মানুষকে রাতের আঁধারে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এমনকি গর্ভবতী মহিলা সহ নতুন স্বামী স্ত্রী কে। যা মধ্যযুগীয় অন্ধকার যুগকে হার মানায়। ** এই আহমদ্যা গ্রুপ জড়িত ছিল চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জামাল অপহরণ সহ অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়।

** এইট মার্ডারেও ছিল এদের ইন্ধন। 2003 সালের পর সাতকানিয়ায় ক্ষমতার জের ধরে আহমদ্যা গ্রুপের সাথে কোন্দল শুরু হয় চট্টগ্রাম-14 আসনের স্থানীয় এমপি শাহাজাহান এর সাথে। ঐ গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে আশ্রয় নেয় বিএনপির রাজনৈতিক ছায়াতলে, তৎকালীন ঐক্যজোট সরকারের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফর আহমদ, এম পি’র (বাঁশখালী) মারফতে যোগদেয় বিএনপি তে। বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো/ সাপ্তাহিক-2000 সহ বিভিন্ন মিডিয়া তাদের অপকর্ম তুলে ধরে ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, ফলে ২০০৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জামাতের এম.পি শাহাজাহান এর চক্রান্তে র্যাব-৭ এর ক্রসফায়ারে নিহত হয় ঐ গ্রুেপর দলনেতা আহামুইদ্যা সহ আরো মিনহাজ নামের অজ্ঞাত যুবক। গ্রেফতার হয় নাজিম ওরফে পান নাজিম্যা, রাশেদ শফিক মাষ্টার, নামের কয়েকজন সন্ত্রাসী যাদের পরবর্তী কালে খুবই সহজে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়।

তাদের প্রধান নিহত হওয়ার ফলে অনেক বছর (২০০৪-০৮) তেমন অরাজকতা বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার কারণে তারা রাজনীতির মাঠে না নামলেও বর্তমানে সক্রিয় হয়েছে কয়েকটি গ্রুপ। যারা অতিষ্ঠ করে তুলছে জনজীবন। আহামুইদ্যা গ্রুপের যারা নীরব ছিল তারা ২০০৮ এর নির্বাচনে এলডিপি এর আশ্রয় নেয় কিন্তু নির্মম ভাবে হারের পর তারা আজ মাতাল কুকুরের মত দিশেহারা। তারা নিজেদের রাজনীতিবিদ দাবী করে কিন্তু তারা নিজেরাই জানেনা রাজনীতি কি জিনিস এবং এটি কেন করতে হয়।

এখন তাদের একমাত্র আয় রাতের আধাঁরে ডাকাতি। এ নিয়ে সাতকানিয়া থানার ও কোন হস্তক্ষেপ নেই। থাকবে কোথা থেকে…? সাতকানিয়া থানার এস.আই শফিকের কল্যাণে তারা এসব কাজ চালিয়ে যায়। একটি সূত্রে জানা যায় যে, আহমুদুল হক ওরফে আহমদ্যার বড় ভাই মাহমুদুল হক (বর্তমান 6নং এওচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান) আহমুদ্যার রেখে যায়া লুটের টাকা দিয়ে সৌদি আরব ও বাংলাদেশে গড়েছে সম্পদের অট্টালিকা। সৌদি আরবে মাহমুদুল হকের কোম্পানীতে বড় পদে চাকরী করে এস.আই শফিকে ছোট ভাই।

সে সম্পর্কের কারণে এখনো সাতকানিয়া থানা থেকে বদলী করলে দেখা যায় কয়েক দিন পর আবার তার পোষ্টিং সাতকানিয়াতে। অবাক দুনিয়া… উর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছ প্রশ্ন: এই ধরণের রক্ষকের নামে ভক্ষক আর কতদিন? যে এস.আই সামান্য একটি হারানো আইডি কার্ডের জিডি করার জন্য নিয়ে নেয় 3000 টাকা তার কাছে জাতি আর কি আশা করতে পারে? আসি প্রথম আলো বিষয়ে: সন্ত্রাসী মুক্ত করতে বেশ লেখা লেখি হয়েছে প্রথম আলোতে। আহমুদ্যা নিহত হওয়ার প্রধান কৃতিত্ব প্রথম আলোর কিন্তু একটি সন্ত্রাসীকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করলেই কি সন্ত্রাসী কমে যায়? আহমদ্যা নিহত হওয়ার পর যারা বর্তমানে সাতকানিয়াতে নানা অপকর্ম, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, হুমকী সহ নানা সন্ত্রাসী করে যাচ্ছে ও তাতে সহযোগীতা করে যাচ্ছে তাদেরে একটি ছোট্ট লিষ্ট। ১. শফিক, সাতকানিয়া থানার বর্তমান এস.আই.। ২. এডভোকেট রিটু (সাতকানিয়া আইনজীবি সমিতির সা: সম্পাদক) ৩. রানা, প্রতিনিধি, প্রথম আলো।

৪. নুরুল হক, স্থানীয় স্কুল মাষ্টার। ৫. আইয়ুব, (স্থানীয় ঔষধ দোকানী) ৬. সেলিম রাজা ওরফে গাজা সেলিম (জনকল্যান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক) ৭. মুন্সি, (বেকার/ডাকাতি) ৮. নেজাম ওরফে পান নাজিম, (বেকার/ডাকাতি) ৯. তৈয়ব ওরফে লম্বা তৈয়ব। (বেকার/ডাকাতি) ১০. শফিক মাষ্টার। (স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক) ১১. ইলিয়াছ (বর্তমান এওচিয়া ইউনিয়নের 7 নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনছুর এর ছোট ভাই) ১২. রাশেদ ( রিয়েল টেক রিয়াল স্টেট, বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম) সহ আরো অনেকে। যারা বর্তমানে 6 নং এ্ওচিয়া ইউনিয়নকে জ্বেলে খাচ্ছে।

যে দলই ক্ষমতায় থাকুকনা কেন তারা দল চেঞ্জ করে ও ক্ষমতা ধরে রাখে। এদের থেকে কি এওচিয়া ইউনিয়নবাসী কি কখনোই মুক্তি পাবে না???? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.