আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রবাসের ঈদ ও সেই দিন গুলোর সৃতি

নিজেকে হয় নাই চেনা

সত্যিকথা বলতে ঈদের আনন্দ কে প্রবাসে কিংবা স্বদেশে অবস্থানের উপর ভিত্তিকরে মুল্যায়ন করার যৌক্তিকতা খুব একটা নেই। স্বদেশে থেকেও অনেকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। সেটার কারন হতে পারে অনেক কিছু। ঈদের দিন বাবা মায়ের কাছে থেকেও দারিদ্রতা আর অন্যান্য দুশ্চিন্তা অনেকের ঈদের আনন্দে নিয়ে আসে ঘনকালো অন্ধকার। আবার অনেক মুসলমান ভাই বোনেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড় সম ভয় ভিতি নিয়ে ফিলিস্তিনের পাহাড়ের পাদদেশে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

তাদের জন্য কিসের ঈদ কিসের আনন্দ। বরং আমাদের বর্ণীল ঈদ আনন্দ যেন ওদের দিকে নিক্ষেপিত বিদ্রুপের হাসি। যে হাসি ওদের ভেঙ্গেযাওয়া অন্তরগুলোকে আবারও ভেঙ্গে চুরে খান খান করে দেয়। ওরা কিছু বলে না, কোন অভিযোগও করে না। কারন নিরানন্দের বিদঘুটে ঐ বিষাদময় আঘাতের মর্ম ওরা হাড়ে হাড়ে টের পায়।

আমরা আমাদের আনন্দ ওদের সাথে ভাগ করিনা আর ওরাও ওদের দুঃখকে আমাদের সাথে ভাগ করে না। আমরা আমাদের আনন্দ ওদের সাথে ভাগ করিনা কারন আমরা নিষ্ঠুর, হীন, ও বখিল। ওরা ওদের নিরানন্দ আমাদের সাথে ভাগ করেনা কারন ওরা মহৎ, ওরা সকল দুঃখকে একা বহন করে আমাদের আনন্দ ও সুখকে নিশ্চিত করে। এভাবে যখন ভাবি তখন প্রবাসের এই নিরামিষ ঈদের কষ্টের কথা কারও কাছে বলতে বড় লজ্জা হয়। তার পরও মন কেন যেন মানে না।

ঈদটা ঘনিয়ে এলেই এক সময়কার আনন্দ উচ্ছল ঈদের কথা মনে পড়ে আর মনের অজান্তেই দীর্ঘ স্বাস গুলো ক্রমেই আরও দীর্ঘতম হয়। রমজানের আগমন যেন রহমত, বরকত আর মাগফিরাতের পাশাপাশি ঈদের অমলিন আনন্দের বারতা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে, যত দিন যায় ঈদের প্রস্তুতি আরও দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। বন্ধু-বান্ধব আত্মিয় স্বজন সবার সাথেই সেই একই আলাপন, ঈদের দিন কি হবে, সেই প্ল্যান নিয়ে। ঈদের কেনাকাটা, বন্ধুদের জন্য ঈদ কার্ড বিতরন, এসব নিয়ে যেন ঈদের আগেই এ এক অন্য ঈদের আনন্দ বয়ে যায় সবার মনে। আরও আছে, ঘটা করে ইফতার পার্টি, মায়ের বানানো ইফতার প্রতিবেশির দোরে দোরে পৌছে দেয়া, সাহরির সময় এলাকার রাস্তায় যুবকদের ভোরের পাখি সেজে গেয়ে যাওয়া গান, সাহরী ও ইফতারের সময় বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান, ইফতারের পর দরাজ কন্ঠের সুমধুর গান এগুলোর সবগুলোর ভেতরেই কেমন যেন একটা আনন্দ খুজে পেতাম।

রমজানকে কেন্দ্র করে পুরোপ দেশটাই যেন কেমন বদলে যেত। সকল ক্ষেত্রে একটা পবিত্রতার ছাপ যেন লেগেই থাকতো। দেশে যারা আছেন তারা একবার উপরে বর্ণিত বিষয়গুলোর অনুপস্থিতিতে একটি রমজান মাসের চিন্তা করুন দেখুন কেমন লাগে? বাউন্ডেলে কৈশর গুলো আমার ঢাকার অলিতে গলিতে ছুটোছুটিতেই কেটেছে। শবে বরাত ও শবে ক্বদরের রাত্রে ইবাদতের নামে বাসা থেকে বেরুতাম আর ছুটে বেড়াতাম বন্ধুদের সাথে। যদিও এখন ভালই বুঝি যে, ওগুলো মোটেই ভালো কাজ ছিলোনা, তারপরও ঐগুলো করে অনেক মজা লুটতাম।

একটা সময় অবশ্য এসব কু কর্ম বাদ দিয়েছি এবং সেটা বেশ আগেই। আর পটকা ফোটানোর ব্যপারটাতো আছেই। এখন ওসবের স্থান শুধুই সৃতির পাতায়। এই সৃতিগুলো বার বার মনের পর্দায় ভেষে উঠে, আর মনে মনে বলে উঠি, যদি আবার সেই দিন গুলোতে ফিরে যেতে পারতাম, কতইনা ভালো হতো। ইফতারের পর বার বার ঘড়ির দিকে তাকাতাম আর কান পেতে রাখতাম যে কখন মুয়াজ্জিন আজান দিবে, তখনি ছুটে যাব মসজিদে।

মসজিদের ছাদে নির্দিষ্ট স্থানে আমাদের বন্ধুদের আড্ডা চলতো। এদিকে তারাবিহের নামাজ চলতো আর আমরা ফরজ নামাজটা পড়েই বসে যেতাম আড্ডায়, জ্বীন ভুতের গল্প থেকে শুরু করে রাক্ষস খোক্ষশের গল্প, রকমারি হাসির গল্প যেমন টোনা আর টুনির গল্প, একাঙ্গুইল্লার গল্প, রাজা বাদসাহদের গল্প এভাবে একের পর এক চলতেই থাকতো। কোন গল্প শুনে হাসিতে গড়িয়ে পড়তাম আবার কোন গল্প শুনে পরবর্তিতে কি ঘটতে যাচ্ছে তা শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতাম কিছু গল্প শুনে মনে মনে ভিতি অনুভব করলেও বন্ধুদের সামনে প্রকাশ করতাম না পাছে তারা আবার আমাকে ভিতুর ডীম বলে ডাকতে শুরু করে। মাঝে মাঝে বন্ধুরা গল্প বলেই যেত, কিন্তু শেষ আর করতে পারতো না তখন আমরা বুঝতে পারতাম যে, সে এই গল্পটা ততক্ষনাৎ বানিয়ে তার পর বলছে। যখন স্কুল জীবনের রমজানগুলো কাটিয়েছি তখন এরকমটা নিয়মিত প্রতি রমজানেই চলতো ।

স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে যখন কলেজে যাব যাব করছি অর্থাৎ যখন এস এস সি / দাখিল পরিক্ষার ক্যান্ডিডেট ছিলাম তখন এই আড্ডাটা আরেকটু অন্য দিকে মোড় নিল। তখনকার আড্ডার জন্য নির্দিষ্টকরে কোন গন্ডি বাধা ছিলো না। এক এক দিন এক এক বিষয় নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতাম এতে কখন যে তারাবিহের নামাজ শেষ হয়ে মসজিদ খালি হয়ে যেত তা টেরই পেতাম না। একদিন ঘটলো এক দুর্ঘটনা। এখন এটাকে দুর্ঘটনা বলছি কিন্তু তখন এসব ব্যপারগুলোকে থোড়াই কেয়ার করতাম।

তো যেই ঘটনাটা ঘটলো তা ছিলো এরকম, একদিন নামাজের সময় আড্ডায় মেতেছি সকলে মিলে। সেইযে আড্ডায় ডুবলাম, ডুব মেরেই রইলাম। এদিকে নামাজ শেষ হয়ে পুরো মসজিদ খালি হয়ে গেল, মসজিদের খাদেম নিচের গেটে তালা ঝুলিয়ে ইতিমধ্যেই ঘুমুতে চেলে গেছেন। এদিকে আমাদের কোন খবর নেই, আড্ডায় ডুবেই আছি। আমরা ছাদের এমন এক কোনার আড্ডা মারতাম যে কাছে না গেলে বোঝারই উপায় থাকে না যে ওখানে কেউ আছে।

তাই যা হবার তাই হলো। আড্ডা ছেড়ে যখন উঠলাম তখন দেখি মসজিদ থেকে বের হবার সব দরজা বন্ধ। মসজিদের যে অংশে খাদেম হাফেজিখানার ছাত্ররা থাকে তাতেও ঢোকার কোন উপায় নেই। সব ছাত্ররা নাক ডেকে ঘুমুচ্ছে। কি করা যায়!! আমরাতো ভেবেই হয়রান।

এক বন্ধু রাসেল পরামর্শ দিল “চল জোরে চিৎকার দিয়ে কাউকে ডাকি যেন দরজা খুলে দেয়” বাধ সাধলো নাসির। সে বল্ল “তুমি মিয়া কেমনে বুঝবা আমার কি জ্বালা। আমি এই মাদ্রাসার ছাত্র। তোমাদের সাথে আমিও এখানে আছি এটা হুজুরের কানে গেলে বেতের বাড়িতো এক্টাও মাটিতে পড়বে না বরং বাসায় খানাদানাও জুটবে না। পড়তো স্কুলে, দিনে চার ঘন্টার জন্য গিয়ে করে আস আট ক্লা্ তার পরে তোমাদের আর পায় কে? আর আমাদের সারাদিন হয়তো হুজুরের চোখে চোখে নয়তো আব্বু আম্মুর চোখে চোখে থাকতে হয়” আমি বললাম “কারই বিপদ কম নয়, সময় মতো বাসায় যেতে পারিনি, এখন যত দেরি হবে ততই বিপদ, পিটিয়ে আব্বু হাড্ডি মাংশ আলাদা করে ফেলবে” একথায় সবাই আগত পরিনতির কথা ভেবে কেমন চুপশে গেল।

একটা ভয় যেন সবার মনেই ঝড় বয়ে আনলো। কি করা যায় এমনটা ভেবে কেউ যখন কিছু পাচ্ছে না তখন এতক্ষন চুপ মেরে থাকা মুন্না বলে উঠলো পেয়েছি!!! আমরা বললাম কি? ও বল্ল “সিড়িঘরের যে কেচিগেটটা (কলাপ্সিপল গেট) আছে ওটার তালা লাগানো হয় উপরের অংশে। আমরা যদি একদম নীচের অংশ ধরে জোরে টান দেই তাহলে ওখানে মোটামুটি বড়ধরনের একটা ফাঁকা জায়গা তৈরী হতে পারে চল চেষ্টা করে দেখি!! সবাই চল্লাম ছুটে। গেটের নীচের অংশ ধরে টান দিতেই মোটামুটি একটা ফাঁকা যায়গা তৈরী হল। কষ্ট করে এক এক করে সবাই বের হলাম।

সর্ব শেষ যখন মুজাম্মিল বেরুচ্ছিল তখন কোত্থেকে যেন মুয়াজ্জিন হুজুর এসে হাজির হলেন। একেবারে হাতে নাতে ধরা খেলাম। হুজুর খুব সরল সোজা একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের কর্মকান্ড দেখে তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তার চোখদুটো কোটর থেকে এক প্রকার বেরিয়ে আসছিল। ইয়া বড় বড় চোখ করে তিনি শুধু এটুকুই বলতে পারলেন “তোরা!!!” আমি বললাম “হুজুর আমরা উপরে ছিলাম, কখন যে গেট বন্ধ হল বুঝতেই পারি নি, তাই এভাবে বের হলাম।

হুজুর আমাকে এবং আব্বুকে ভালোভাবেই চিনতেন। আমার কথা বলার পর তিনি যেন ব্যপারটা আরও বেশি গুলিয়ে ফেললেন। বেশি সরল সোজা মানুষের যা হয় আর কি। তিনি চুপ করে রইলেন। এদিকে আমরা অজানা কোন আশংকায় ভয়ে মরে যাবার যোগাড়।

অনেক ক্ষন পর তিনি বললেন “নামাজতো শেষ হল সেই কবে, তার পরও তোরা উপরে কি করছিলি?” এবার বুঝলাম হুজুরের কোথায় মেলাতে পারছেন না। সত্য বলতে হবে, গড় গড় করে বলেই ফেললাম “ হুজুর আমরা একটু গল্প করছিলাম কিন্তু গল্প শেষ করে দেখি অনেক রাত হয়ে গেছে” হুজুর কি বুঝলেন আমি জানিনা তবে পরে যে কথা গুলো বললেন সগুলো আমাদের মনে এক বিরাট ভয় ঢুকিয়ে দিল, তিনি বললেন “ এই দুষ্টের দল, আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ হতো তাহলে তোদের চুরির দায়ে বেধে আচ্ছা মার লাগাতো, গত কদিন আগে দোতালা থেকে মসজিদের ফ্যান চুরি গেছে সাতটা, আমরা তো বুঝতেই পারছিলাম না কিভাবে চোর ঢুকলো! আজ বুঝলাম। এখ যদি আমার জায়গায় অন্য কেউ হতো তাহলে তোদেরকেই সন্দেহ করে বসতো” এবার তিনি আমার দিকে ফিরে বললেন “ এই ছোকরা!! তোর বাবা তো একজন ভালো মানুষ তুই কেন এসব কাজ করিস? দাড়া তোর বাবা কে পেলেই আমি এই ঘটনা বলবো” পরে অবশ্য হুজুর আব্বুকে কিছুই বলেননি। ঐ ঘটনার পরও তিনি অনেক বছর বেঁচে ছিলেন। সম্ভবত আমি যখন কলেজ পাশ করে বেরিয়েছি তখন তিনি ইন্তিকাল করেন।

অনেক অমায়িক একজন মানুষ ছিলেন তিনি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করেন আমীন। এভাবে সৃতিময় দিন গুলোকে ফেলে এসে এমন এক স্থানে এসে পড়েছি যেখানে এসে সারাদিন রোজা রেখে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্লাস করে আবার এসাইনমেন্ট, কুইজ, মিডটার্ম, প্রজেক্ট পেপার তৈরীর কাজে ঘোড়ার মত দৌড়াতে হয়। সারাদিন শেষে ইফতারের সময় যখন আসে তখন মনটা যেন হাহাকার করে উঠে। বাবা, মা, ভাই , বোন কেউ পাশে নেই, নেই সেই চিরাচরিত বুট-মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনী, হালিম সহ প্রিয় খাবারে কোন কিছু।

সোজা কথায় ওসব ছাড়া বাঙ্গালীর ইফতার কখনই তৃপ্তিদায়ক হতে পারে না। এখানে ঈদের দিনটা কাটে পুরোই নিরামিষ, সকালে উঠে ভার্সিটির কেন্দ্রিয় মসজিদে গিয়ে বিরাট বড় ঈদের জামাত, ওটাই ঈদের একমাত্র আকর্ষন এখানে। আরেকটা ব্যপার যেটা দেশে পাই না সেটা হলো জুমার খুৎবা কিংবা ঈদের খুৎবা কোনটাতেই আমাদের দেশের ইমামদের মত এখানে বার চান্দের কাহিনি বিশিষ্ট গদবাধা খুৎবা পড়া হয় না, বরং বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই এখানের সকল খুৎবাগুলো সাজানো হয়। যার কারনে ইসলামের যৌক্তিকতা ভিবিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে আমরা বুঝতে সক্ষম হই। ঈদের নামাজ শেষে মন মরা ভাবটা কাটাতে হয়তো কোথাও ঘুরতে যাওয়া নয়তো রুমে এসে ঘুমিয়ে দিনটা পার করে দেয়া অথবা বাংলাদেশি শিক্ষকদের বাসায় গিয়ে কুশল বিনিময় ও কিছু ভালো মন্দ খেয়ে আবার রুমে ফিরে আসা।

এই হলো এখানকার ঈদ। তাছাড়া ইন্টারন্যশনাল স্টুডেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে একসাথে খাবার আয়োজন ও ঈদের পরদিন ঘুরতে যাওয়া হয়। কিন্তু সেটা নতুন ছাত্ররা ভালো উপভোগ করলেও পুরাতন ছাত্রদের কাছে তেমন আকর্ষনীয় মোটেই নয়। কোন কোন সময় মন এত বেশী খারাপ হয়ে যায় যে মনকে আর বাগে আনা যায় না। তখন যতটা সম্ভব একাকী কথাও গিয়ে নির্লিপ্ত মনে বসে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।

মাঝে মাঝে যখন দেশে ফিরি তখন বন্ধুরা ও আত্মীয় স্বজনেরা বিদ্রুপ করে বলে থাকেন যে আমরা বিদেশে পড়তে এসে নিজেদেরকে অনেক বড় ভেবে ফেলি তাই কারও কোন খোজ খবর রাখি না, ফোন করি না, আরও কত কি! আমি ব্যক্তিগত ভাবে এসব কথার প্রত্যুত্তরে কিছুই বলি না। কারন আসল ব্যপারটা পুরোই উলটো। আর এটা এমন একটা ব্যপার ওনাদেরকে বুঝানোই মুশকিল। প্রতিটি বিষেশ বিষেশ দিবসেই পরিচিত সবাইকে অন্তত একটা ম্যাসেজ পাঠাই। কিন্তু তার প্রত্যুত্তরে ধন্যবাদ জানিয়ে কোন ম্যাসেজ আমি পাই না।

আমি জানিনা অন্য প্রবাসী ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে কি হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়। তথাপিও এ ধরনের কথা সবার কাছ থেকে শুনেই যেতে হয়। এভাবে যখন নিজের ঈদের নিরানন্দের কথা ভাবি তখন মনটা অবশ্যই খারাপ হয়ে যায়, কিন্তু পরক্ষনেই আমার চাইতে যারা ঈদের দিনে আরও মানবেতর ভাবে জীবন অতিবাহিত করে তাদের কথা মনে করে এই ভেবে শান্তি পাই যে, অন্তত ওদের চাইতে তো ঢের ভালো আছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।