পিছনের পায়ের ছাপের রেখাটা র্দীঘ আর অস্পষ্ট হয়ে আসছে... ক্রমশঃ...
জাপানী ঐতিহ্যের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে কিমোনো। জাপানে কিমোনো পরা মূলতঃ ইডো পিরিয়ড (১৬০০-১৮৬৮ সাল) থেকে শুরু হয়। ওবি-র সাথে কিমোনোর প্রচলন ইডো পিরিয়ডের মাঝামাঝি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে সামুরাই মহিলাদের মাঝেও কিমোনো ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলন ঘটে। সামুরাই-রা ছাড়াও পরবর্তীতে অন্যান্যদের মাঝে কিমোনো এবং ফুরিসোড-এর ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় বিশেষ করে কাবুকি স্টেজে।
কিমোনো পরার কৌশলঃ
কিমোনো পরার কৌশল খুব একটা জটিল নয়। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরন করতে হয়। ধাপগুলো হচ্ছে-
১) ছবির মতো করে কিমোনোর কলারের কাছে (ইরিসাকি অংশে) ডানহাতে ধরতে হবে। এরপর বামহাতে ছবির মতো করে ইয়োকাতা অংশে ধরতে হবে...
২) ইয়োকাতা অংশ শরীরের পেছন দিয়ে নিয়ে কিমোনোকে শরীরের পিছনে আনতে হবে...
৩) এবার কিমোনোকে ঘাড়ের উপর ফেলে, নিচের দিকে ছবির মতো করে যতদুর সম্ভব দুরে দুহাত দিয়ে (ইয়োকাতা অংশে) ধরতে হবে...
৪) এরপর ইয়োকাতা অংশ এমন করে ধরতে হবে যেন কিমোনোর কোন অংশই মেঝেতে লেগে না থাকে...
৫) এবার বামহাতের ইয়োকাতা অংশ ভিতরের দিকে ছবির মতো করে রেখে দেখতে হবে কিমোনোর বামপাশের অংশ পায়ের গোড়ালির হাড়ের উপর পর্যন্ত থাকে কিনা...
৬) অনূরূপভাবে ডানপাশের ইয়োকাতা অংশও ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে...
৭) ডানপাশের ইয়োকাতা অংশ ভেতরের দিকে রেখে বামপাশের অংশ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপর বামহাতে সাদা বেল্ট (কোশিহিমো) নিতে হবে...
৮) সাদা বেল্টটি কোমরের কাছে শক্ত করে বাধতে হবে।
কোন কুচি থাকলে তা সরিয়ে সমান করে দিতে হবে...
৯) এরপর দুহাত দিয়ে বেল্টের ভেতরের কুচিগুলো বাহিরের দিকে খুলে দিতে হবে। এটা সামনেরও পিছনের দুইদিকেই এমনভাবে করতে হবে যেনো বেল্টটি দেখা না যায়...
১০) এবার ছবির মতো করে কিমোনোর সামনের অংশ ঠিক করতে হবে...
১১) এরপর ডানপাশের অংশ ছবির মতো করে ত্রিভুজের মতো করে ভাজ করতে হবে...
১২) ডানপাশের ত্রিভুজের অংশটা ভিতরে রেখে বামপাশের অংশ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার আর একটা সাদা বেল্ট নিতে হবে...
১৩) দ্বিতীয় সাদা বেল্টটা ছবির মতো করে বাধতে হবে...
১৪) পিছন দিকটা ছবির মতো আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে...
১৫) এবার ওবি বোর্ড (ওবি ইটা) নিতে হবে...
১৬) ওবি বোর্ডটি ছবির মতো করে সামনের দিকে পরতে হবে...
এটাই হলো কিমোনো পরার কৌশল।
কিমোনোর প্রকারভেদঃ
বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রকমের কিমোনো ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে-
গিসাঃ
এই কিমোনো সাধারণতঃ শিল্পীরা ব্যবহার করে-
উচিকাকেঃ
উচিকাকে কিমোনো বিয়েতে ব্যবহার করা হয়-
ফুরিসোডঃ
জাপানীজ মেয়েরা যখন ২০ বছর বয়স্ক হয়, তখন তাদের অফিসিয়ালি এডাল্ট ধরা হয়।
এসময় মেয়েরা ভোটের অধিকার পায় এবং অফিসিয়ালি ধুমপান ও এলকোহল সেবনের অনুমতি পায়। এই ২০ বছর বয়সের দিনটিকে উদযাপনের জন্য ফুরিসোড কিমোনো পরে জাপানীজ মেয়েরা। এই কিমোনো পরাটা নিজেকে সিঙ্গেল হিসাবে প্রকাশেরও একটা উপায়।
ইয়োকাতাঃ
এই কিমোনো সাধারণতঃ গরমে পরা হয়। সামার ফেস্টিভালে সাধারণতঃ এই কিমোনোর প্রচলন বেশী।
ইয়োকাতা সাধারণতঃ হালকা রং-এর হয়।
হোওমোনগিঃ
জাপানীজ মেয়েরা বিয়ের পর হোওমোনগি কিমোনো পরে। এটা বিবাহিতের প্রতিক।
তোমেসোডেঃ
তোমেসোডে কিমোনো নিকট আত্মীয়ের (যেমনঃ বোন, মেয়ে) বিয়েতে পরা হয়। বন্ধুর বিয়েতে কিন্তু কেউ তোমেসোডে পরবে না।
সেক্ষেত্রে হোওমোনগি পরবে। নিচের ছবিতে কালো কিমোনোটা তোমেসোডে আর সাদাটা উচিকাকে।
আর একটা কথা, ছেলেদের জন্যও কিন্তু কিমোনো আছে...
ভালো থাকবেন সবাই...
(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।